গ্রামের রাস্তা ভর্তি খন্দ। অধিকাংশ জায়গাতেই উঠে গিয়েছে পিচ। নিকাশির সমস্যায় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা ভেসে যায় জলে। নামেই পুর এলাকা। কিন্তু এলাকায় পরিষেবার নামগন্ধও নেই। দুর্গাপুর পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বীরভানপুর গ্রামের অবস্থা এমনই।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দামোদরের তীরের প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের বীরভানপুর গ্রামের জনসংখ্যা হল প্রায় পাঁচ হাজার। গ্রামটির আশপাশে রয়েছে বেশ কিছু কলকারখানা। গ্রাম থেকে দুর্গাপুর স্টেশনও খুব একটা দুরে নয়। কিন্তু এর পরেও তাঁদের গ্রাম দীর্ঘদিন ধরেই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা সর্বেশ্বর মাজি, তুষার মুখোপাধ্যায়দের অভিযোগ, গ্রামের রাস্তায় বহু বছর পিচ পড়েনি। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তার গর্তগুলি জলে ভরে গিয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়। গ্রামের ভিতরের রাস্তাগুলি সরু হওয়ায় গাড়ি চলাচলে অসুবিধা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। |
রাস্তায় জমে থাকে নোংরা জল। —নিজস্ব চিত্র। |
শুধু রাস্তাই নয়, নিকাশি ও পানীয় জলের সরবরাহ নিয়েও সমস্যা রয়েছে গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের নিকাশি ব্যবস্থা এতটাই খারাপ যে, সামান্য বৃষ্টিতেই জল উঠে আসে রাস্তার উপরে। তখন রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করাই দায় হয়ে যায়। রাস্তার পাশে অনেক জায়গায় পাকা নর্দমাও ভেঙে গিয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, অপরিকল্পিত ভাবে নর্দমা তৈরির ফলেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। গ্রামের গৃহবধূ কল্যাণী চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “নর্দমার মধ্যে প্লাস্টিকের প্যাকেট পড়ে থাকে। এর ফলেও জল নিকাশিতে সমস্যা তৈরি হয়।”
গ্রামের কিছু জায়গায় পুরসভার পক্ষ থেকে ট্যাপ কল লাগানো হলেও সেগুলির বেশির ভাগই খারাপ। কোনও কলে জল পড়ে না, তো কোথাও আবার ট্যাপটাই নেই। কলগুলিকে ঠিক করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা পুরসভার কাছে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন। পানীয় জলের সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলার গৌরী বিশ্বাস। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে পুরসভার সংশ্লিষ্ট দফতরের মেয়র পারিষদের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মেটানো হবে।” অন্য সমস্যাগুলির বিষয়ে তাঁর কাছে এখনও কোনও অভিযোগ আসেনি জানিয়ে তিনি বিষয়গুলি খোঁজ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। |