টুকরো খবর
হৃৎপিণ্ডে ডার্ট, বাঁচলেন যুবক
এক ফুট লম্বা ধাতব ডার্ট বিঁধে গিয়েছিল ২২ বছরের এক যুবকের হৃৎপিণ্ডে। সেই অবস্থায় ভুটান থেকে তাঁকে আনা হয় কলকাতায়। শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে ডার্টটি বার করেন চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘পেনিট্রেটিং কার্ডিয়াক ট্রমা’-র ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছনোর আগে রোগীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনা বিরল। কয়েক দিন পরে ভুটানের স্বাধীনতা দিবস। তার আগে গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে ডার্ট বেঁধানোর খেলা চলার সময়ে ওই ঘটনা ঘটে। ডার্টের বেশির ভাগ অংশই হৃৎপিণ্ডে ঢুকে যায়। শনিবার তাকে কলকাতায় আনেন পরিজনেরা। বাইপাসের মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসক কুণাল সরকারের নেতৃত্বে একটি দল কার্ডিও-পালমোনারি বাইপাস করে ডার্টটি বার করেন। আপাতত ওই যুবক সুস্থ। দিন কয়েকের মধ্যে দেশে ফিরবেন তিনি। কুণালবাবু বলেন, “ঘটনাস্থলে ডার্টটি বার করার চেষ্টা করলে তখনই মারা যেতেন ওই যুবক। ওঁরা যে সময় নষ্ট না করে চলে এসেছেন, এটাই বড় কথা।”

হাসপাতালের চক্ষুবিভাগ বন্ধ
দু’দিন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাসপাতালের বহির্বিভাগে চক্ষু বিভাগ বন্ধ হয়ে রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বিভাগের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ছুটি নিয়ে চলে যাওয়ায় ওই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওই চিকিৎসক ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটিতে। ফলে দূরদূরান্ত থেকে রোগীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চিকিৎসকের অভাবে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাসপাতালে রোগী পরিষেবা বিপর্যস্ত। একজন চিকিৎসকের উপর নির্ভর করে জেলা হাসপাতালের বুক, চোখ, কান, দন্ত, চর্ম বিভাগ ও প্যাথলজি এবং ব্লাডব্যাঙ্ক ইউনিট চলছে। ফলে ওই বিভাগগুলি দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ছুটি নিতেই বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে হাসপাতালের সুপার ছুটিতে। ভারপ্রাপ্ত সুপার প্রদীপ ধর বলেন, “অধিকাংশ চিকিৎসকের বাড়ি বাইরের জেলায়। প্রাপ্য ছুটি নিয়ে তাঁরা বাড়ি যেতেই পারেন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে স্বাস্থ্য বিভাগে একাধিক বার জানানো হয়েছে।” একই কথা জানান মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কাজল মণ্ডল। এদিন কুমারগঞ্জের বটুন থেকে চোখের অসুখে আক্রান্ত ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন চাষি রণজিৎ সরকার।

কড়ার ওষুধ চোখে, হরকা হাসপাতালে
চোখের সমস্যায় কিছু দিন ধরেই ভুগছেন তিনি। ভুগছেন পায়ের কড়া নিয়েও। নিয়মিত তাই চোখে আর পায়ের কড়ায়, দু’জায়গাতেই ওষুধ লাগাতে হয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিধায়ক হরকাবাহাদুর ছেত্রীকে। বৃহস্পতিবার সকালে ভুল করে পায়ের কড়ার সেই ওষুধই কয়েক ফোঁটে ঢেলে ফেলেছিলেন বাঁ চোখে। আদতে বোরিক অ্যাসিড জাতীয় সেই ড্রপ চোখে পড়তেই শুরু হয় তীব্র জ্বলন। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। খবর যায় দার্জিলিঙে মোর্চার সদর কার্যালয়ে। কালিম্পং থেকে নামিয়ে এনে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে সরকারি উদ্যোগে বিকেলের বিমানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের সঙ্গে তাঁকে উড়িয়ে আনা হয় কলকাতায়। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধেয় সল্টলেকের একটি চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কালিম্পঙের বিধায়ক। তবে চিকিৎসকেরা আশ্বস্ত করেছেন, ভয়ের কিছু নেই। চোখ নষ্ট হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.