‘পড়ুয়ারা স্কুলে আসছে কম, ঘাটতি শেখার মানেও’ (১৭-১) সংবাদ প্রসঙ্গে এই পত্রের অবতারণা। আমি ‘সর্বশিক্ষা মিশন জেলা প্রকল্প দফতর’, নদিয়া জেলায় কর্মরত। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঠ্যক্রম, শিক্ষার্থী এবং সন্তোষজনক শিক্ষার মান-বিষয়গুলি আমার কাছে কম-বেশি অবগত। বর্তমানে বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো যথেষ্ট উন্নত। শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা পর্যাপ্ত। তবু পড়াশোনার মানে উন্নতি হচ্ছে না। এ বিষয়ে সংবাদে অনেকগুলি কারণ দেখানো হয়েছে। মনে হয় আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। |
এক, স্কুল শিক্ষা এবং সর্বশিক্ষা মিশনকে আমলাতান্ত্রিক বাঁধন থেকে মুক্ত করতে হবে। কারণ, দায়িত্বপ্রাপ্ত আমলারা মিশনের উদ্দেশ্যকে মূল পথ থেকে সরিয়ে এনে করণিক গড়ার দফতরে পরিণত করেছেন।
দুই, পরিদর্শকদের আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। নিয়মিত নজরদারি করলে শেখার মান বাড়বে সন্দেহ নেই। পরিদর্শকদেরও আরও ওয়াকিবহাল হওয়া জরুরি। যেমন, অনেক পরিদর্শক নিজেরা জানেন না, তৃতীয় শ্রেণিতে কটি পাঠ্য বই আছে।
তিন, নিয়মিত ‘উত্কর্ষ অভিধান’ করতে হবে।
চার, নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কারের ন্যায় স্কুলের জন্য ‘উত্কর্ষ পুরস্কার’ চালু করতে হবে।
পাঁচ, শিক্ষক সমাজকে সংগঠন-সর্বস্ব মনোভাব ছেড়ে শিক্ষার প্রতি অধিকতর আগ্রহী হয়ে উঠতে হবে।
জেলায় অনেক স্কুলে ১০ জন ছাত্র পিছু এক জন শিক্ষক রয়েছেন। তবু শিক্ষার মান খুব খারাপ। তাই সবার আগে শিক্ষকদের দায়িত্ব কর্তব্য শিক্ষার অধিকার আইনের ২৪ (১), ২৮ ধারা অনুযায়ী মান্য করতে হবে।
সুজিতকুমার বিশ্বাস।
পায়রাডাঙা, নদিয়া |