সেচখালের পাড়ের মাটি কেটে নেওয়ার জন্য ছোট হয়ে যাচ্ছে পাড়। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই ভেঙে পড়ছে পাড়। সমস্যা হচ্ছে চাষের কাজেও। এমন অভিযোগ বুদবুদ ও কাঁকসার বিভিন্ন এলাকার মানুষের। তাঁদের আরও অভিযোগ, এলাকার কিছু বাসিন্দা নিজেদের প্রয়োজনে পাড় থেকে মাটি কেটে নিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুদবুদ ও কাঁকসার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে চলে গিয়েছে ওই সেচখালগুলি। ডিভিসির তৈরি ওই সেচখালের জলে শুধু বুদবুদ ও কাঁকসা নয়, জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষের কাজ করা হয়। মূল সেচখাল থেকে বেশ কয়েকটি খাল বেরিয়ে গিয়েছে বুদবুদ ও কাঁকসায়। বুদবুদের শালডাঙা, চাকতেঁতুল হয়ে একটি খাল কসবার দিকে গিয়েছে। চাকতেঁতুল পেরোনোর পর ওই খালের পাড় বেশ উঁচু। ওই উঁচু অংশ থেকেই মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাঁদের আশঙ্কা, মাটি কাটা বন্ধ না হলে পাড়টি ছোট হতে হতে মিশে যাবে সেচখালের সঙ্গে। আর সে রকম হলে সেচখালের জল বাইরে বেরিয়ে যাবে। ক্ষতি হবে চাষবাসে। তাই মাটি কাটা রুখতে অবিলম্বে কোনও পদক্ষেপ করা হোক, এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
|
বুদবুদ থানার চাকতেঁতুল এলাকায় তোলা নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেচখালের পাড়ের মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে আউশগ্রামেও। মূল সেচখাল থেকে বেরিয়ে পানাগড় হয়ে একটি সেচখাল চলে গিয়েছে বুদবুদ ও আউশগ্রামে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পাড়ের মাটি কেটে নিচ্ছেন এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা। কেউ বাড়ির রাস্তায় মোরাম বিছানোর কাজ করছেন। কেউ আবার বাড়ির দেওয়ালে মাটি দেওয়ার কাজ করছেন। এর ফলে একটু বৃষ্টিতেই পাড়ের মাটি গিয়ে পড়ছে সেচখালের ভিতর। মজে যেতে বসেছে সেচখালটি। অভিযোগ, কাঁকসার রাজবাঁধ থেকে যাওয়া একটি সেচখালের পাড় থেকেও মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে।
পাড় থেকে মাটি কেটে নেওয়ার ব্যাপারে গলসি ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এ রকম যদি ঘটে থাকে অবিলম্বে তার প্রতিকার করতে হবে।” বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি। |