|
|
|
|
একা কাদম্বরী |
আর তাঁর সব মনের কথা বলবেন ইন্দ্রাণী সেন। গায়িকা প্রথম ভাষ্যপাঠে। জানালেন সংযুক্তা বসুকে। |
আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে বসন্তের বাতাসটুকুর মতো... |
এই ভাবেই এত দিন কাদম্বরী দেবী বেঁচে এসেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানে, কবিতায়।
সিডিতে এই প্রথম নিজের কথা নিজের বয়ানে একেবারে গদ্যের ভাষায় বলবেন তাঁর নতুন বৌঠান। কাদম্বরী দেবী। কিছুটা স্পর্ধা নিয়ে স্রোতের বিরুদ্ধে সাঁতার কেটে। পটে লেখা ছবির ফ্রেমের খাঁচা থেকে বেরিয়ে।
হোক না তা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে কোনও ভাষ্যরচয়িতার কল্পনা গাঁথা সিডি। তাতেও নাকি থাকবে আদতে কাদম্বরীর জীবনটা কেমন ছিল তার সরাসরি ছবি। এমনটাই দাবি করছেন গায়িকা ইন্দ্রাণী সেন।
ইন্দ্রাণী সেনের ভাষ্যপাঠেই সোচ্চার হবেন কাদম্বরী। সঙ্গে থাকবে ইন্দ্রাণীর গাওয়া আটটা গান। যার মধ্যে বেশ কিছু গান রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন তাঁর নতুন বৌঠানের স্মৃতিতে। ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সঙ্গীত মেলা উপলক্ষে প্রকাশ অপেক্ষায় থাকা সিডির নাম ‘আমিই কাদম্বরী’। কেমন এই কাদম্বরী? তিনি কি বলতে পারবেন তাঁর জীবনের নগ্ন সত্যি কথাগুলো? “হ্যাঁ, এই কালেকশনে কাদম্বরী বলবেন তাঁর নিঃসঙ্গতার কথা, ঠাকুরপরিবারের অভিজাত অন্দরমহলে একা থাকতে থাকতে বালক রবির সঙ্গে বন্ধুত্ব, স্বামী-সংসার নিয়ে অতৃপ্তি, আর দেওর রবীন্দ্রনাথের অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠার কথা। মূল ভাষ্যটা নানা গবেষণার পর বর্ধমানের এক স্কুল শিক্ষক দেবেশ ঠাকুর রচনা করলেও আমিও এতে কিছু কিছু কথা যোগ করেছি,” বলছেন ইন্দ্রাণী সেন। |
|
কাদম্বরী দেবী |
সিডিতে একটাই চরিত্র। কাদম্বরী নিজে। প্রশান্তকুমার পালের ‘রবিজীবনী’ অবলম্বনে নাট্যরূপ তৈরি। আত্মহত্যার আগে রবীন্দ্রনাথকে লেখা কাদম্বরীর একটা কাল্পনিক চিঠির হাহাকার এই রকম...“বিয়ের সাজে সাজলে তুমি। আর আমার জীবনে নেমে এল কালরাত্রি।...বুঝলাম আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। এই পরিবার এই স্বজনদের আমি কেউ নই। এমনকী তোমারও কেউ নই।...তাই চলে যাচ্ছি। সর্বনাশের পথে পা বাড়াবার আগে যদি তোমাকে ভানু বলে ডাকতে পারতাম!...যাবার আগে বলি শুধু তুমি আমায় ভুলো না। আমি তোমার প্রথম প্রেম, প্রথম শোক, প্রথম শ্লোক, প্রথম সর্বনাশ।”
কিন্তু হঠাৎ কাদম্বরীর কথা মনে এল কেন? এমন বহুচর্চিত একটি বিষয়? ইন্দ্রাণী বলেছেন, “কাদম্বরী দেবীর প্রতি আমার সহমর্মিতা অনেক দিনের। কিন্তু এর আগে সুযোগ হয়নি তাঁর কথা বলার।” |
|
|
|
|
|