|
|
|
|
আনন্দplus এক্সক্লুসিভ ‘বাদশাহি আংটি’র
ফার্স্ট লুক |
বাদশাহি আবির |
ফেলুদা নতুন! তোপসেও! অথচ গল্পটা ফেলুদা সিরিজের প্রথম নভেল। আছে চিড়িয়াখানা, আছে
লখনউ।
লালমোহনবাবু? নাহ্! পরিচালক সন্দীপ রায়-এর মুখোমুখি ইন্দ্রনীল রায়। |
সব তা হলে ফাইনাল?
হ্যাঁ, সব ফাইনাল মোটামুটি। ফেব্রুয়ারির থার্ড উইক থেকে শ্যুটিং শুরু ‘বাদশাহি আংটি’র। একেবারে নতুন ফেলুদা এ বার। একদম নিউ স্টার্ট। ফার্স্ট লুকটা মানুষ আনন্দplus এই দেখবে।
নতুন ফেলুদা হিসেবে আবির বলে কি প্রেশারটা একটু বেশি?
না, সেটার জন্য কোনও আলাদা প্রেশার নেই। কিন্তু ‘বাদশাহি আংটি’ হল প্রথম ফেলুদা নভেল। বহু মানুষ আছেন যাঁরা ফেলুদার পরের গল্পগুলো পড়েননি, কিন্তু ‘বাদশাহি আংটি’ ঠিক পড়েছেন। ইট ইজ দ্য মোস্ট ওয়াইডলি রেড ফেলুদা। তাই সেটার একটা প্রেশার
তো আছেই।
আবিরের প্রসঙ্গে আসি...
তার আগে বলি, আবিরকে ফেলুদা হিসেবে চুজ করার আগে কিন্তু আমরা পরীক্ষানিরীক্ষা করেছিলাম। যাকে বলে অ্যাক্লিমাটাইজেশন।
‘যেখানে ভূতের ভয়’য়ের একটা গল্পে আমরা ফেলুদার মতো গেট-আপ করেছিলাম আবিরের। তখন শ্যুটিংয়ের সময় অনেকে আমাকে বলেছিল, বাবুদা, আবির কিন্তু পুরো ফেলুদা।
এই প্রসেসটা শুরু আগেই হয়ে গিয়েছিল। আর আজ আবিরেরও একটা হিউজ ফলোয়িং আছে। ফোটোশ্যুটের ছবিগুলো আমাদের খুব ভাল লেগেছে। এটা ফেলুদাকে একদম রি-বুট করা। ক্লিন স্লেট-য়ে শুরু।
|
|
ক্লিন স্লেট-য়ে মানে?
মানে এই ফেলুদাকে অনেক ভাবে রি-ডিসকভার করবে দর্শকরা। এমন কিছু এলিমেন্ট আছে, যা দর্শকেরা আগে দেখেনি ফেলুদা সিরিজে।
যেমন?
যেমন এই ফেলুদা যখন লখনউ গিয়েছে, তখন তার প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরের ভিজিটিং কার্ড-ও নেই! কোল্ট .৩২-টাও আসেনি তখনও। লালমোহনবাবুও তো নেই!
মানে আপনি কনটেম্পোরারি করছেন না ফেলুদাকে? মোবাইল ফোন থাকবে না ফেলুদার?
দেখুন, কনটেম্পোরারি তো আমার নিজেরই সব সময় যে করতে ভাল লাগে, তা নয়। ট্রু টু দ্য স্টোরি করার মধ্যে কিন্তু আলাদা একটা মজা আছে। তাই খুব একটা কনটেম্পোরারি করছি না এই ছবিটা। শুধু একটা জায়গায় একটু চেঞ্জ করছি...
কী সেটা?
গল্পে একটা প্রাইভেট চিড়িয়াখানার প্রসঙ্গ আছে। সেটা তো আজ আর আমাদের দেশে আইনত সম্ভব নয়। তাই সেই জায়গাটায় একটু চেঞ্জ করব। না হলে সেন্সরে প্রবলেম হবে।
ছবি শুরুর আগে আবিরকে কী ব্রিফ দিচ্ছেন?
(হেসে) একটা মজার গল্প বলি। যখন বেণুর (সব্যসাচী) সঙ্গে ফেলুদা শুরু করেছিলাম, বেণু আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল ওর ব্রিফ কী। আমি বেণুকে বলেছিলাম, তোমার একটাই ব্রিফ, পুরনো ফেলুদাগুলো দেখো না। আমি আবিরকেও একই কথা বলেছি। আর ‘সোনার কেল্লা’, ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ থেকে ‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’ কিছু যেন আবির আর না দেখে। তবে বেণুর কথাই যখন উঠল, তখন আর একটা ব্যাপারও বলি। বেণুই কিন্তু আমাকে প্রথম আবিরের কথা বলে। |
তাঁদের চোখে ফেলুদা |
|
সৌমিত্র |
সব্যসাচী |
কৌশিক |
রিঅ্যাকশন ফেলুদা,
ইউএসপি মগজাস্ত্র |
অ্যাকশন ফেলুদা,
ইউএসপি পৌরুষাস্ত্র |
কমলেশ্বর |
বুদ্ধিদীপ্ত |
আধুনিক এবং
পুরুষালি |
সৃজিত |
সেরিব্রাল |
আগ্নেয়াস্ত্র |
|
তাই?
হ্যাঁ, আউটডোরে একদিন ওর আর আমার কথা হচ্ছিল। ও-ই বলে ভবিষ্যতে কেউ যদি ফেলুদা হতে পারে, তা হলে সে আবির। এটা আজ থেকে তিন-চার বছর আগের কথা। এর মধ্যে আবিরও অনেকটা ম্যাচিওর্ড হয়েছে। তাই আজ ও-ই আইডিয়াল। নতুন ফেলুদা মানে তো।
তোপসেও নতুন?
হ্যাঁ, তোপসের খোঁজ চলছে এখনও। আমি আইডিয়ালি একজন ১৪-১৫ বছরের ছেলেকে খুঁজছি। এর মধ্যেই ফাইনাল হয়ে যাবে।
লখনউতে রেকি কেমন হল ‘বাদশাহি আংটি’র?
ভীষণ ভাল। লখনউ তো অনেক
বদলে গিয়েছে। কিন্তু বেসিক জিওগ্রাফিটা একই রকম আছে। অদ্ভুত কিছু চেঞ্জ হয়েছে দেখলাম। বইতে হজরতগঞ্জে কোয়ালিটি রেস্তোরাঁর কথা আছে। রেকি করতে গিয়ে দেখলাম কোয়ালিটিটা কাফে কফি ডে হয়ে গিয়েছে (হাসি)। এই রকম অদ্ভুত সব ব্যাপার। আর একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার ঘটল। আমরা একটা বইয়ের দোকান সিলেক্ট করলাম। যখন গিয়ে নিজের পরিচয় দিলাম, সেই দোকানদার তো প্রায় আকাশ থেকে পড়লেন। কো-ইনসিডেন্সটা দেখুন! ওই দোকানে আগে নাকি ওঁর দাদু বসতেন। এবং বাবা নাকি যখন লখনউ গিয়েছিলেন, সেই বইয়ের দোকানের ওপরের ফ্লোরে গিয়ে একা একা কমিকস্ পড়তেন।
লখনউ আর হরিদ্বারে শ্যুটিং হবে?
হ্যাঁ, লখনউ আর হরিদ্বারে শ্যুটিং হবে। আর একটা ছোট শিডিউল ঝাড়গ্রামে করব। মনে হচ্ছে জমে যাবে।
এখন সুটকেস প্রায় গোছানো শেষ। লখনউ কলিং।
|
এঁদের মতে |
যদি সত্যজিৎ রায়ের আঁকা ফেলুদার ইলাস্ট্রেশনগুলো দেখেন, তবে দেখবেন সেগুলোর সঙ্গে সব চেয়ে বেশি মিল আবিরের। এই একটা কারণেই আবির একেবারে পারফেক্ট কাস্টিং। আবিরের মধ্যে একটা সাবেকি বাঙালিয়ানাও রয়েছে আর অবশ্যই হাইটটাও আছে।
কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। |
|
ফেলুদার চরিত্রে আবির আমার খুব পছন্দের কাস্টিং। তার কারণ ফেলুদার মধ্যে একটা অদ্ভুত দৃঢ় বাঙালিয়ানা আছে যেটা আবিরের মধ্যে দেখতে পাই। ফেলুদার মধ্যে এক গৃহস্থ বাঙালি রয়েছে কিন্তু সে একটু অন্য রকম। আবির নিজেও বাস্তব জীবনে তাই। আর অনেকেই রয়েছে যারা যুগের সঙ্গে নিজেদের আপডেট করতে করতে অনেক অনিয়ম করে ফেলে। সে দিক থেকে ফেলুদার মতোই আবির খুব ডিসিপ্লিনড। আবিরের চেহারাতেও সেই অনিয়মের ছাপটা নেই।
আবিরই পারফেক্ট।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় |
|
আবির ইজ আ ফ্যান্টাস্টিক চয়েস। পার্সোনালি ‘টিনটোরেটোর যিশু’ দেখার পর আমার মনে হয়েছিল বেণুদা (সব্যসাচী চক্রবর্তী)-র পরে ফেলুদার চরিত্র যদি কেউ করতে পারে তা হলে সেটা আবির নয়তো টোটা (রায়চৌধুরী)। পরে দেখলাম বাবুদা (সন্দীপ রায়) আবিরকেই ফাইনালাইজ করল। আমার মতে এটাই বেস্ট চয়েস।
সৃজিত মুখোপাধ্যায় |
|
|
|
|
|
|