শিশুর পেটে লাথি, অভিযুক্ত চিকিৎসক
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডায়মন্ডহারবার |
ভর্তি থাকা এক শিশুর পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালের এক শিশু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। সৌরেন্দ্রমোহন মণ্ডল নামে ওই চিকিৎসক অবশ্য দোষ স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “রাগের মাথায় করে ফেলেছি। আমি অনুতপ্ত।” ঘটনাটি বুধবার সকালের। তার পরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই হাসপাতালের সুপার ও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান শিশুর পরিবারের লোকজন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, পেটে ব্যাথা ও বমি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সাগরের ধসপাড়া গ্রাম থেকে এসে ভর্তি হয়েছিল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শ্রীকৃষ্ণ বর। এই ক’দিনে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। এ দিন দুপুরে তার ছুটি হওয়ার কথা ছিল। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনতলার ওয়ার্ডে অন্য শিশুদের দেখার সময়ে শিশু চিকিৎসক সৌরেন্দ্রবাবু তাকে লাথি মারেন বলে অভিযোগ। শ্রীকৃষ্ণের বাবা মানসবাবু অভিযোগ করেন, “আমার ছেলে বেডের নীচে বসে খেলছিল। আচমকা ওই চিকিৎসক ওর পেটে লাথি মারেন। পেট ফুলে ওঠে, ব্যথা শুরু হয়।” চিকিৎসকের বক্তব্য, শ্রীকৃষ্ণ ওয়ার্ডের ভিতর জলের বোতল নিয়ে ছোড়াছুড়ি করছিল। পাশের বেডে আরও শিশু ছিল। দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। বারণ করা সত্ত্বেও সে না শোনায় রাগের মাথায় তিনি এমন কাজ করে ফেলেছেন। হাসপাতালের সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, “দুর্র্ভাগ্যজনক ঘটনা। শ্রীকৃষ্ণের পেটে আলট্রাসোনোগ্রাফি করা হয়েছে। কিছু ধরা পড়েনি। ওকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।” চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? সুপার বলেন, “আলোচনা চলছে।”
|
বাড়ি ফিরল অসুস্থ পড়ুয়া |
খিচুড়ি খেয়ে সরস্বতী পুজোর দিন অসুস্থ হয়ে পড়া রাইপুর ব্লকের ডুমুরতোড় বাঘবাদিনী হাইস্কুল ও ডুমুরতোড় প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা আপাতত সুস্থ। মঙ্গলবার ওই দুটি স্কুলের শ’খানেক ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। অসুস্থদের মধ্যে অনেককেই ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও রাইপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় রাতেই সবাইকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাস বুধবার বলেন, “পড়ুয়ারা সকলেই সুস্থ হয়ে উঠেছে। খিচুড়ি খেয়ে কী ভাবে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তিনি জানান, ওই গ্রামে মেডিক্যাল টিম রয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। |