|
|
|
|
দূরশিক্ষায় বিএ-বিএড পড়াতে চায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়
পিনাকী গঙ্গোপাধ্যায় • কলকাতা |
দূরশিক্ষায় বিএড এবং বিএ নতুন এই দুই পাঠ্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। বিএড চালু করার মতো পরিকাঠামো বিশ্ববিদ্যালয়ের আদৌ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের (এনসিটিই) দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে আসেন। উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এনসিটিই-কে বিএড পাঠ্যক্রম চালুর ব্যাপারে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো প্রতিনিধিরা ঘুরে গিয়েছেন।”
এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী তাদের প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি, ভবন, গ্রন্থাগার, শিক্ষক, গবেষণাগার, প্রেক্ষাগৃহ-সহ নানা জিনিস খতিয়ে দেখে ভুবনেশ্বরে কাউন্সিলের আঞ্চলিক কার্যালয় গোপন রিপোর্ট জমা দেবেন। পরিকাঠামোগত ত্রুটি থাকলে তা শোধরানোর জন্য দু’মাস সময় দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা করতে পারলে তবেই মিলবে অনুমোদন। চলতি শিক্ষাবর্ষেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে দূরশিক্ষায় বিএ পাঠ্যক্রম চালুর অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ডিসট্যান্স এডুকেশন ব্যুরো (ডিএবি)। ইন্দিরা গাঁধী ওপেন ইউনিভার্সিটি (ইগনু) এবং নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসওইউ) ছাড়া রাজ্যের আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে দূরশিক্ষায় বিএ বা বিএড পাঠ্যক্রম পড়ানো হয় না। কোর্স দু’টি চালু হলে রাজ্যের পড়ুয়ারা উপকৃত হবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এ রাজ্যে বর্তমানে বিএড পাঠ্যক্রমের চাহিদা যথেষ্ট। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন বিএড বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করায় পড়ুয়ারা চাইছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই ডিগ্রি অর্জন করতে। সিবিএসসি বা আইসিএসসি মাধ্যমের স্কুলগুলিতেও বিএড থাকলে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়। অথচ, রাজ্য জুড়ে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ পড়ুয়ার তুলনায় সরকারি বিএড কলেজ হাতে গোনা। কলকাতার ডেভিড হেয়ার, হেস্টিংস বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নিজস্ব সেন্টারে সরকারি ভাবে মাত্র কয়েক হাজার টাকায় বিএড করা গেলেও বাকি সবই আধা-সরকারি অথবা বেসরকারি কলেজ। বেসরকারি বিএড কলেজগুলির বিরুদ্ধে প্রতি বছরই নানা কারণে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ব্যাপক ভাবে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কলেজগুলি তা মানতে নারাজ।
এনএসওইউ বা ইগনু-তে বিএড পড়ার ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা আছে বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ। যেমন, এনএসওইউতে ‘স্পেশ্যাল বিএড’ ছাড়া অন্য কোনও পাঠ্যক্রম পড়ানো হয় না। আবার ইগনু-তে বাংলার মতো গুরুত্বপূর্ণ ভাষায় বিএড করা যায় না। সে দিক থেকেও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রশ্ন হল, সেখানে বিএডে কী-কী বিষয় চালু করা হবে? কোর্স ফি-ই বা কেমন হবে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের কর্তা দেবকুমার পাঁজা বলেন, “ভূগোলের মতো পরীক্ষাগার-নির্ভর বিষয় ছাড়া কলা বিভাগের সব বিষয়েই বিএড করানো হবে। ফি থাকবে ছাত্রছাত্রীদের সাধ্যের মধ্যে।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এনসিটিই-র নিয়ম মেনে প্রথম থেকেই দু’বছরের পাঠ্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দূরশিক্ষায় বিএসসি পাঠ্যক্রম কেন করা হচ্ছে না? বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তি, অধিকাংশ কলেজেই বিএসসি-র জন্য নির্ধারিত আসন খালি থেকে যায়। তাই দূরশিক্ষায় ওই পাঠ্যক্রম চালু করা অর্থহীন। তা ছাড়া, বিজ্ঞানের বিষয়গুলি পরীক্ষাগার-নির্ভর হওয়ায় তা চালু করার আগে উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। সেটাও আপাতত সম্ভব নয়।
|
বামফ্রন্টের নেতাই-অস্বস্তি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দু’দিন পরে রাজ্যসভার ভোট। তারও দু’দিন পরে ব্রিগেড সমাবেশ। বামফ্রন্টের মধ্যে যখন ঐক্যের পরিবেশ শক্তিশালী করার তোড়জোড়, সেই সময়েই অস্বস্তি হয়ে দেখা দিল নেতাই-প্রশ্ন! রাজ্যসভার নির্বাচন এবং ব্রিগেড নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার আলিমুদ্দিনে বসেছিল বামফ্রন্টের বৈঠক। বাম সূত্রের খবর, সেই আলোচনার মধ্যেই আরএসপি নেতৃত্ব নেতাই-প্রসঙ্গ তোলেন। সমর্থন করেন অন্যান্য শরিক নেতারাও। তাঁদের প্রশ্ন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এখন হঠাৎ নেতাই নিয়ে ভুল স্বীকার করেতে গেলেন কেন? এতে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল প্রচারের হাতিয়ার পেয়ে গেল! তা ছাড়া, বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরে নানা আইনি প্রশ্ন তোলার সুযোগও পেয়ে গিয়েছে শাসক দল। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু অবশ্য বৈঠকে কোনও মতামত দেননি। |
|
|
|
|
|