|
মাঞ্জা দিয়ে |
পঞ্চমীর আকাশ |
লাটাই-ঘুড়ির সঙ্গে বই-খাতার সম্পর্কটা সেই আদ্যিকাল থেকেই জাতশত্তুরের। সকাল-সন্ধে লগা হাতে ঘুড়ির পিছনে পাঁই-পাঁই করে ছোটা ছেলের পালকে জ্ঞানীগুণীরা বখে যাওয়ার দলেই ফেলেন। চোখে চশমা আঁটা ভাল ছেলের দল তো আকাশের দিকে চায়ই না, পাছে কোনও ঘুড়ি চোখ টানে। সেখানে খোদ বিদ্যাদেবীর বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে ঘুড়ি লটকানো? সরস্বতী পুজোর সকাল মানেই চাঁদিয়াল, মুখপোড়া, শতরঞ্জিতে আকাশ ছয়লাপ। হাওয়ায় শান দেওয়া মাঞ্জার শনশন। হাল্কা শীতের রোদ মাখা ছাদে-ছাদে চিত্কার-ভেঁপু-ঘণ্টা-কাঁসর। ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে বালি বা পুব পাড়ে সোদপুর-ভাটপাড়ার মতো কিছু জায়গায় এটাই দস্তুর। |
|
কলকাতা থেকে কালনা, নৈহাটি থেকে নবদ্বীপ ঘুড়ি ওড়ে বিশ্বকর্মা পুজোর রোদ-মেঘ-বৃষ্টি মাখা আকাশে। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে ওড়ে পৌষ পার্বণে। গঙ্গার দুই তীরে কোন্নগর, উত্তরপাড়া, আড়িয়াদহে কিছু কাল আগেও সরস্বতী পুজোতেই বেশি ঘুড়ি উড়ত। ইদানীং পাল্লাটা বিশ্বকর্মার দিকে বেশি ঝুঁকেছে। অন্য অনেক পরিবর্তন হলেও বালি বা ভাটপাড়া কিন্তু এই জায়গাটায় বদলায়নি। ‘জয়জয় দেবী চরাচরসারে’ সেরেই টোপাকুল মুখে ছেলে-বুড়োর দল সোজা ছাদে। যেখানে এখনও ঘুড়ির টানেই বিবাহিত মেয়েরা এই দিনে বাপেরবাড়ি চলে আসেন। নানা দিক থেকে ধেয়ে আসেন আত্মীয়েরা। যে সব উড়ুক্কু ছেলেছোকরার দল ঘুমেও প্যাঁচ খেলে, ‘কাইট ক্লাব’ করে, কঞ্চির ভার আর মাঞ্জার ধারই যাদের চিন্তার এক মাত্র বিষয়, সেই নেশাড়ুরাও ছুটে আসে আকাশের দখল নিতে। এ বার যেমন শ্রীরামপুর থেকে বালি সাঁপুইপাড়ায় ছুটেছিল ববি, বাবাই, মাসুদা, শিলাজিত্রা।
কিন্তু যে মোদ্দা প্রশ্নটার নিরসন বিদ্যার দেবীর সঙ্গে ঘুড়ির সুতো বাঁধা কোন গিঁটে? এক সময়ে বালিতে থাকতেন, সেখানকার ঘুড়ি ওড়ানো নিয়ে প্রচুর লেখালেখিও করেছেন কিন্নর রায়। তিনিও অসহায় “কেন সরস্বতী পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানো শুরু হল, তা কিন্তু কোথাও পাইনি।” থুত্থুরে বুড়োরাও মাথা নাড়ছেন ‘কী জানি! অত তলিয়ে ভাবিনি। এমন ধারাই তো দেখে আসছি চিরটাকাল।’ পাশের ছাদে বুড়ি তখন টান দিচ্ছেন সুতোয় ভো কাট্টা...! (সঙ্গের ছবিটি মঙ্গলবার বালিতে তোলা)
|
মুন্ডাদের গান |
পশ্চিম মেদিনীপুরে আদিবাসী জনজাতিগুলির মধ্যে জনসংখ্যার বিচারে সাঁওতালদের পরেই আছেন মুণ্ডারা। ঝাড়গ্রাম মহকুমার গোপীবল্লভপুর ১ ও ২, নয়াগ্রাম ও সাঁকরাইল ব্লকের সুবর্ণরেখা লাগোয়া এলাকায় তাঁদের বসবাস সবচেয়ে বেশি। কিন্তু মুদ্রিত সাহিত্য অথবা সংকলিত সঙ্গীতের নিরিখে সাঁওতালদের তুলনায় তাঁরা অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন বলে মুণ্ডা সমাজের কর্তাব্যক্তিরা মনে করছেন। সাঁওতালির জন্য অলচিকি লিপি রয়েছে। কিন্তু মুণ্ডাদের ভাষা মুণ্ডারির সরকার স্বীকৃত কোনও লিপি নেই। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা মুণ্ডারি কথ্যভাষাও প্রায় ভুলে গিয়েছেন বলে আক্ষেপ করেন প্রবীণেরা। এ রাজ্যে বাংলা হরফে মুণ্ডারি ভাষায় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা হাতে গোনা। বছর দুই আগে প্রকাশিত শ্রীহরি সিংহের লেখা মুণ্ডারি সাসাংকির (মুণ্ডারি সংস্কৃতি) বইটি জেলায় মুণ্ডারি ভাষার মুদ্রিত প্রথম বই। এত দিন মুণ্ডারি গানের ক্যাসেট বা সিডি ছিল না। তবে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী মুণ্ডা সমাজ সুসার সঙ্ঘ-এর ঝাড়গ্রাম টাউন কমিটির উদ্যোগে এবং মহকুমা তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের আর্থিক সহযোগিতায় দশটি গানের অডিও সিডি সুড়া সাকাম্ (নতুন পাতার সৃষ্টি) প্রকাশিত হয়েছে। গানের বিষয় কারাম (বপন), দং (প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান), আঁদি (বিবাহ), যাদুর (বিরহ), বাদি (আধুনিকতা) ইত্যাদি। এই চেষ্টা মুণ্ডা সমাজের আক্ষেপ হয়তো কিছুটা কমাবে।
|
পোড়া মা |
অষ্টাদশ শতকের নবদ্বীপে এক বটের নীচে নিয়মিত বসত বিদগ্ধ জনের বিতর্কসভা। শহরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ‘পোড়ামা’ হিসেবে সেই প্রাচীন বট আজও দাঁড়িয়ে। বছরভর দক্ষিণাকালীর ধ্যানে ষোড়শপচারে তার পুজো হয়। শুধু সরস্বতীর পুজোর দিনটিতে পুজো হয় তন্ত্রোক্ত নীল সরস্বতী বা মহা সরস্বতীর ধ্যানে। শহরের বহু পুরানো বাড়ির ছেলেমেয়ের হাতেখড়িও হয় এখানেই। ‘নবদ্বীপে সংস্কৃত চর্চার ইতিহাস’ বইয়ে পণ্ডিত গোপেন্দুভূষণ সাংখ্যতীর্থ লিখছেন, ‘পোড়ামা নামটি নিয়ে নানা মত আছে। যেহেতু এখানে স্মরণাতীত কাল থেকে বিদ্যাচর্চা হয়েছে তাই পড়ুয়াদের মা থেকে পোড়ামা।’ অনেকে মনে করেন, আগে এখানে নীল সরস্বতীর পুজো হত। বহিরাগত হামলায় দেবীমূর্তি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে পোড়া-মা। আবার ‘বিদগ্ধজননী’ও বলা হয় তাঁকে। বিদগ্ধ মানে ‘বিশেষ রূপে শিক্ষিত’ হলেও অনেকেই তাকে ‘দগ্ধ’ বা পোড়ার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। যে ব্যাখ্যাই হোক, বিদ্যার সঙ্গেই তার সম্পর্ক। সরস্বতী পুজোয় নবদ্বীপ অতীতকেই হয়তো এক বার ছুঁতে চায়।
|
মেলা সাইট |
সামতাবেড়ে ছাড়িয়ে শরত্ মেলা পাড়ি দিল বিশ্বে। ১৯২৬ থেকে ১৯৩৮ পর্যন্ত বাগনানের সামতাবেড়েতে ছিলেন শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। স্থানীয় ইতিহাস বলছে, গ্রামের নাম সামতা। তারই এক প্রান্তে বাড়ি করেন কথাশিল্পী। তিনিই নাম দেন সামতাবেড়ে। তার কাছেই পানিত্রাসে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে হয়ে গেল শরত্ মেলা। গত ২২ জানুয়ারি, তার উদ্বোধনের দিন চালু হল ওয়েবসাইট www.saratmela.com। যাতে ক্লিক করলেই জানা যাবে ৪২ বছরের এই মেলা এবং শরত্চন্দ্র সম্পর্কে নানা তথ্য। শরত্ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও মেলা পরিচালন সমিতি যৌথ ভাবে তৈরি করেছে সাইটটি।
|
দিল্লির পথে ছৌ |
এর আগে চিন গিয়েছেন, প্যারিসও। কিন্তু দিল্লিতে ২৬ জানুয়ারি ট্যাবলোয় পশ্চিমবঙ্গের হয়ে ছৌ নাচার সময়ে যে অনুভূতি, তেমনটা আর কখনও হয়নি কোটশিলার মাতকুমা গ্রামের যোধারাম কুমারের। শুধু জনতার হাততালি নয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিচারেও নজরকাড়া ট্যাবলোর স্বীকৃতি পেয়েছে পুরুলিয়ার এই দল শিবশক্তি ছৌ নাচ অ্যাকাডেমি। যে দলের বিশেষত্ব বড় মুখোশ ব্যবহারে। |
|
যোধারাম বলেন, “এমনিতে এক-একটা পালায় আমরা ২৫-৩০ জনকে নিই। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কথা মতো মাত্র ১০ জনকে নিয়ে মহিষাসুরমর্দ্দিনী করতে হয়েছে। সেটা চ্যালেঞ্জ ছিল।” পুরুলিয়া-ঝালদা রাস্তা থেকে কয়েক কিলোমিটার ভিতরে মাতকুমা গ্রামের প্রায় সমস্ত বাড়িই কাঁচা। পাশে কংসাবতী থাকলেও রুক্ষ মাটিতে চাষবাস হয় না বিশেষ। যোধারাম বলেন, “সরকারি স্বীকৃতি ভাল। কিন্তু মানুষের মধ্যে ছৌ দেখার আগ্রহ জাগাতে না পারলে সরকারি সুবিধা পেয়ে লাভ হবে না। দর্শকের ভালবাসাতেই আমাদের অস্তিত্ব।”
|
মার্কিনদেশে মনিকা |
কোথায় সুদূর মার্কিন মুলুকে সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আর কোথায় কোচবিহারের দিনহাটায় অজগাঁ ভুতকুড়া। তবে দূরত্ব বেড়ি পরাতে পারেনি স্বাধীনতার উড়ানকে। গাঁয়ের কিশোরী মনিকা বর্মনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার অর্জনের লড়াই স্বীকৃতি পেল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ‘সবলা’ প্রকল্পে সব্জি চাষ করে মনিকার স্বনির্ভর হওয়ার কাহিনি জেনেছিলেন ‘স্মাইল পিঙ্কি’ খ্যাত অস্কারজয়ী পরিচালক মেগান মাইলান। তা নিয়েই তিনি বানিয়ে ফেলেছেন তথ্যচিত্র ‘আফটার মাই গার্ডেন গ্রোজ’। গত বছর নভেম্বরে, কোচবিহারে এসে ছবির শ্যুটিং করে যান মেগান। |
|
দেখে যান, ‘সবলা’ প্রকল্পে মনিকা-সহ কয়েক হাজার কিশোরী কেমন চাষ করছে। জমির আয়ই তাদের স্বনির্ভরতা আর আত্মপ্রত্যয় দিচ্ছে। আখেরে নাবালিকাদের বিয়েতেও যা দাঁড়ি টানতে পারে। স্কুলছুট মনিকা যে দিন তার নিজের ফলানো কুমড়ো বিক্রি করল, আর তার বাবা মেয়ের ভাগের কুড়ি টাকা তুলে দিলেন মনিকার হাতে, সাক্ষী ছিলেন মেগান। মুহূর্তটা ধরে রেখেছিলেন ক্যামেরায়। এমনই মুঠো-মুঠো মুহূর্ত গেঁথে তৈরি ‘আফটার মাই গার্ডেন গ্রোজ’। সদ্য সেই ছবির প্রিমিয়র হল সানড্যান্সে। মেগান বললেন, “মনিকার গল্প সকলকে জানাতে পেরে আমি সম্মানিত।”
|
সরপুরিয়ায় শান |
|
কৃষ্ণনগর মজল তাঁর গানে আর তিনি মজলেন সরপুরিয়ায়। শুধু যে খেলেন তা নয়, নিয়েও গেলেন সঙ্গে করে। কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ মাঠে প্রথম নদিয়া মহোত্সবে গাইতে উঠেই বললেন, “সরপুরিয়ার নাম আগেই শুনেছি। খাওয়ার ইচ্ছে ছিল। এসেই এক পিস খেয়ে নিয়েছি। তাই এত ভাল মুডে!” গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই উত্সবে প্রথম দিনেই গান শোনান হরিহরণ। শেষ দিন শান ছাড়াও ছিল চন্দ্রবিন্দু। বাংলাদেশের ছেঁউরিয়া আখড়ার লালনগীতি ও কাশ্মীরের লোকনৃত্য শিল্পীরা আগাগোড়াই হাজির ছিলেন উত্সবে।
|
মিস্টার কুল |
সরস্বতী পুজো মানেই কুল খাওয়ার গ্রিন সিগন্যাল। সেই কুল যদি হয় পুরুষ্টু, রসালো আপেল কুল, তা হলে মনে-মনে একটা ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ দিতে পারেন আবু সাহিদ বিশ্বাসকে। দেগঙ্গার চাকলা এলাকার এই চাষি আপেল কুলের চারা নিয়ে আসেন বসিরহাটের আমিনুল মণ্ডলের থেকে। তাইল্যান্ডের কুলের সঙ্গে দিশি কুলের সঙ্কর করে আপেল কুল তৈরি করেন আমিনুল। তা থেকে বাণিজ্যিক হারে চারা তৈরির কাজটা নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন আবু সাহিদ। এখন বসিরহাটের কয়েক হাজার চাষি আপেল কুল চাষ করছেন। এক বিঘে জমিতে আপেল কুলের গাছ হয় গড়ে দেড়শোটা, চাষের খরচ ২০ হাজার টাকা। বিক্রি করে চাষি পাচ্ছেন প্রায় এক লক্ষ টাকা। আপেল কুল আকারে নারকুলে কুলের প্রায় চারগুণ। স্বাদে মিষ্টি, দ্রুত পেকে নষ্ট হয় না। এখন মহারাষ্ট্র, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাতেও চাষ হচ্ছে চাকলায় তৈরি চারা থেকেই। গত তিন বছরে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার চারা বিক্রি করেছেন, জানালেন আবু সাহিদ। বিএ, বি কম-পাশ আবু সাহিদ এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন আরও সাত প্রজাতির কুল নিয়ে। চাকলার মঞ্জিলহাটে বিঘে পাঁচেক করে চারটে বাগান তাঁর। একটায় কেবল আপেল কুলের গাছ। গোটা বাগানটাই মশারির মতো জালে ঘেরা। বেঁটে গাছে হাত বাড়ালেই কুল। নাসপাতির চাইতে একটু ছোট তার আকার। তাঁর গবেষণা নিয়ে বলার জন্য আবু সাহিদ ডাক পাচ্ছেন নানা রাজ্য থেকে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক দীপক সারেঙ্গীর কথায়, “উনি উদ্ভাবক। শুধু আপেল কুল নয়, বিভিন্ন ফল নিয়ে ওঁর কাজে রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে বহু চাষি উপকৃত হয়েছেন।”
|
|
|
|
|
সারদাপ্রসাদ |
তাঁর প্রথম পরিচয় ছিল, তিনি কবি। কিন্তু পুরুলিয়ায় ডাইন-বিরোধী আন্দোলনেও তাঁর ভূমিকা কিছু কম ছিল না। আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বেশ কয়েক বার আক্রান্ত হয়েছেন। খুন হয়েছেন তাঁর জামাই পালু টুডু। কিন্তু দমে যাননি সারদাপ্রসাদ কিস্কু। সারা জীবন প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৭৩ সালে জাতীয় শিক্ষকের সম্মানও পান। জীবন উপান্তে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অর্থকষ্টও ছিল। ১৯৮৫ সালে কলকাতায় নাটক আয়োজন করে সংগৃহীত অর্থ বোরো থানার দাড়িকাডোবা গ্রামে কবির কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। পরের বছরই মার্চে তাঁর মৃত্যু হয়। জন্ম হয়েছিল ১৯২৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। রবিবার, জন্মদিনে বোরোর জামতোড়িয়া গ্রামে পৃথক ভাবে কবিকে স্মরণ করল সারদাপ্রসাদ কিস্কু স্মৃতি রক্ষা কমিটি এবং জানাম দিশম উতনাও গাঁওতা। |
|
|