আনন্দplus এক্সক্লুসিভ
ব্যাঙ্ককে বঙ্কুবাবু
দেব-য়ের সহ-অভিনেতা সিংহ। আর সেখানে বব বিশ্বাস নাকি বঁড়শি দিয়ে সমুদ্র থেকে তুলছেন বিকিনি পরা এক রাশিয়ান মডেলকে।
তাইল্যান্ডের হুয়া হিন শহরে শ্যুটিং চলছিল অনিন্দ্য বিকাশ দত্তর ‘বঙ্কুবাবু’-র। সেখানেই এই অবাস্তব দৃশ্য।
হিমশীতল জলে কমলা রঙের বিকিনি পরে ওলগা দাঁড়িয়ে। তাঁর চার ফুট দূরে দাঁড়িয়ে শাশ্বত। হাতে বঁড়শি রেডি। পরিচালক বলছেন ‘রান ওলগা রান’। আর তাই শুনেই হিন্দি সিনেমার ড্রিম সিকোয়েন্সের নায়িকাদের মতো ওলগা ছুটে আসছেন শাশ্বতর দিকে।
দূরে এক পাথরের ঢিপির ওপর দাঁড়িয়ে রজতাভ দত্ত, রূপা ভট্টাচার্য, লাবণি সরকার, অরুণিমা ঘোষ আর অর্জুন চক্রবর্তী। ফ্রেমে তাঁরাও রয়েছেন। এই ‘রান ওলগা রান’-য়ের দৃশ্য দেখে তাঁরা উৎফুল্ল। এ দিকে ভিজে গায়ে ঠকঠক করে কাঁপছেন ওলগা।
পাশ থেকে শাশ্বতকে ছুড়ে দেওয়া হল প্রশ্ন। এত দিন সিনেমা করছেন, এই রকম একটা অভিজ্ঞতা হবে, ভাবতে পেরেছিলেন? দেব যেখানে জন্তুজানোয়ার নিয়ে ব্যস্ত, সেখানে আপনি... শাশ্বত একটু হাসলেন। তার পর বললেন, “দেব যার সঙ্গে অভিনয় করেছে, সে নারীচরিত্রের থেকে কম জটিল। অনেক বেশি নিরীহ! একটা সিংহ কী করতে পারে, তা আমার জানা আছে। কিন্তু একজন মহিলা কী করবে, তা কেউ বলতে পারে না।” পাশ থেকে রূপা বলে ওঠেন, “একজন মহিলাও হয়তো সেটা নিজেও জানেন না।”
হাসির রোল পড়ে যাওয়ার আগেই পরিচালকের ডাক। “আলো পড়ে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে।”

তাইল্যান্ড যাচ্ছেন এখন!
কলকাতার বিমানবন্দরে পৌঁছনোর আগে এই কথাটা জনে জনে বলেছিলেন। ও দেশে তো এখন এমার্জেন্সি। গুলিগোলা চলছে। সেখানে এখন শ্যুটিং করতে যাওয়া! কারেন্সি এক্সচেঞ্জ অফিসের কেরানি থেকে শুরু করে নিউজ চ্যানেলে চোখ রাখা হিতৈষী মানুষেরা বারংবার এই কথাই বললেন।
কিন্তু ব্যাঙ্ককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে নেমে কে বলবে যে সে দেশে এমার্জেন্সি? আর হুয়া হিন শহর তার থেকেও আর এক কাঠি ওপরে। তাইল্যান্ডের রাজা থাকেন সে শহরে। একেবারে আলস্যের শহর। নির্ভেজাল অবসরের জীবন কাটাতে প্রচুর ইউরোপিয়ান ট্যুরিস্ট সেখানে আসেন। শহরটাকে দেখে মনে হয় যেন আড়মোড়া ভেঙে উঠতেই চায় না! ব্যাঙ্কক, পটায়া সব সময় জমজমাট থাকে। কিন্তু হুয়া হিন যাকে বলে ‘ল্যাদ খাওয়া শহর’।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ওলগা। ছবি: প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত
এমার্জেন্সি বলে যে তাইল্যান্ডে কিছু জারি হয়েছিল, তা বোঝাই দায়।
হিংসার চিহ্ন খুঁজতে গেলে একমাত্র তা পাওয়া যাবে মোরগ লড়াইয়ের মাঠে। রোববার দুপুরে ছোট ছোট মঞ্চ তৈরি করে আজও মোড়গ লড়াই হয় এ শহরে। রক্তাক্ত মুরগিদের জেতা-হারার ওপর খেলা হয় জুয়া।
তবে এ সব সিনেমার শ্যুটিংয়ের অঙ্গ নয়। ব্যাঙ্কক, পটায়া, ফুকেত-য়ে যদিও প্রচুর সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে, এই হুয়া হিন শহরে টালিগঞ্জ কোনও দিন শু্যট করেনি। এক দিকে পাহাড়, অন্য দিকে সমুদ্র এ যেন এক অদ্ভুত সমন্বয়। আর তার মাঝে বঙ্কুবাবু ওরফে শাশ্বত। তাইল্যান্ডের সবচেয়ে প্রাচীন রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুরু করে এখানকার জাগ্রত মাঙ্কি মাউন্টেনে শ্যুটিং করে যাচ্ছেন তিনি।

রাজামশাই তোমারে সেলাম
হুয়া হিন শহরে শ্যুটিং। আর রাজপ্রাসাদ দেখা হবে না। তা কি হয়? কিন্তু স্থানীয় কোঅর্ডিনেটর জানিয়ে দিলেন রাজপ্রাসাদ সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাইল্যান্ডের বিশাল সমস্যা হল ভাষা। যত বারই তাইল্যান্ড যান না কেন, সবাই এই প্রশ্নটা করেন। “যেখানে ট্যুরিজমের এত রমরমা সেখানে কেন কেউ ইংরেজি শেখে না?” ইশারাতেই বোঝাতে হয় সব কিছু। যত বলা হয় যে, ইন্টারনেটে এক রাজমহলের কথা বলা হয়েছে, সে কথা কেউ কানেই নেয় না। শেষ পর্যন্ত এক ট্যাক্সিচালক রাজি হলেন মারুএখাথাইওয়ান প্রাসাদে নিয়ে যেতে। সমুদ্রতটে রাজা ভাজিরাবুধ (রামা সিক্স)-য়ের এই রাজপ্রাসাদ। গরমকালে রাজা থাকতেন সেখানে। এক মহলে থাকতেন রাজা নিজে। লম্বা করিডর দিয়ে সোজা হেঁটে বিচে চলে যেতেন স্নান করতে। সেখানে আলাদা পোশাক বদলের ঘরে রাখা থাকত তাঁর স্নানপোশাক।
রজতাভ, রূপা। মিঠুনের মতো
‘অল হোয়াইট’ পোশাকে
হুয়া হিন রেল
স্টেশনে লাবণী-শাশ্বত
দূরে প্রহরীরা দাঁড়িয়ে থাকত বিভিন্ন রঙের মশাল জ্বালিয়ে। অন্য এক মহলে থাকতেন রানি-রাজকুমারীরা। পালঙ্ক থেকে মশারি, বাথটাব থেকে বাদ্যযন্ত্র সবই প্রাসাদের দোতলায় এখনও রেখে দেওয়া আছে সাজিয়ে। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে শাশ্বত এক ঘণ্টার জন্য গিয়েছিলেন সেখানে। কিন্তু বঙ্কুবাবুর মেক আপ-য়ে। পরনে হলুদ রঙের শার্ট প্যান্ট। গালে ঝুলে যাওয়া দুটো মাংসের টোপলা। তাই দেখে সব ট্যুরিস্ট একেবারে থ! শাশ্বত মনে হয় ব্যাপারটা খুব উপভোগ করলেন। “একটা বাচ্চা মেয়ে তো আমাকে দেখে প্রায় ছিটকে অন্য দিকে চলে গেল সাইকেল নিয়ে,” হেসে বললেন শাশ্বত।

যখন তারকারা ফ্যান
তবে সিনেমাতে এই নতুন লুকটাই শাশ্বতর চমক। ফিল্মে তিনি হলেন রাজেশ খন্নার ফ্যান। লম্বা ফুল স্লিভ শার্ট। হাতে পোলকা ডটের রুমাল। খানিকটা মুমতাজের মতো করে সাজানো হয়েছে লাবণিকে। হুয়া হিন রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে গোটা এক বেলা দু’জনে মিলে রাজেশ খন্নার গানের স্টেপ প্র্যাকটিস করে গেলেন। সঙ্গে বলিউডের কোরিওগ্রাফার স্ট্যানলি। “আরে, সাতচল্লিশ বছর বয়সে এসে কি এত কোমর দোলানো যায়?” প্রায় পনেরো বার রিহার্সাল করার পর হেসে বললেন লাবণি। ফিল্মে তিনি শাশ্বতর স্ত্রী-র ভূমিকায়। কাছেই দাঁড়িয়ে রজতাভ। ছবিতে যিনি মিঠুন চক্রবর্তীর অন্ধ ভক্ত। পরনে তাঁর সাদা শার্ট, প্যান্ট আর জুতো। তার মাঝে রুপোলি কিছু প্যাটার্ন। ‘আশ্চর্য প্রদীপ’য়ের জিনির ভোলবদল যাকে বলে। মিঠুনের এই ‘অল হোয়াইট’ লুক-য়ে বিচে তাঁর শ্যুটিং। ‘ডিস্কো ডান্সার’ আর ‘ডান্স ডান্স’ সিনেমাতে মিঠুনের স্টেপস মাথায় রেখে স্ট্যানলি একের পর এক টাস্ক দিয়ে চলেছেন রজতাভকে। সঙ্গে অভিনেত্রী রূপা। রজতাভর হাতে গিটার। পা ঢুকে যাচ্ছে বালিতে। ও দিকে সুয্যিমামার প্রতাপে চাঁদি ফেটে যাচ্ছে। “জুতোটা এমন ছুঁচলো যে পায়ের মাঞ্জাতে এসে লাগছে। ‘এক থি ডায়েন’ যখন করছিলাম, সেখানে আমার একটা নাচ ছিল ইমরান হাসমির সঙ্গে। তবে সেটা আলাদা,”
তাই রাজপ্রাসাদে ‘বব’
রিহার্সালের মাঝে বলেন রজতাভ। আর অনুরাগ বসুর ‘জগ্গা জাসুস’য়ে? যেখানে তিনি এক পুলিশ ইন্সপেক্টরের ভূমিকায়? যেখানে তাঁর সহ-অভিনেতা হিসেবে রণবীর কপূর ছাড়াও হয়তো দেখা যাবে গোবিন্দাকে? কনট্র্যাক্ট সই করা বলে তা নিয়ে কিছু বলতে নারাজ রজতাভ। শুধু বলেন, “অনুরাগ চেয়েছিল আমি ‘বরফি’তে সৌরভ শুক্ল যে চরিত্রটা করেছেন, সেটা করি। কিন্তু হিন্দি সিনেমার প্রবলেম হল ডেট। এক কি দু’দিনের শ্যুটিং দরকার। কিন্তু গোটা মাসটা খালি রাখতে হবে। সেটা ডিফিকাল্ট।”

অরুণিমা ঘোষ
কহো না প্যার হ্যায়
শুধু রাজেশ খন্না, মিঠুন চক্রবর্তী নন, এই গানে হৃতিক রোশনের প্রসঙ্গ এসেছে। ফিল্মে শাশ্বতর ছোট ছেলের ভূমিকায় সব্যসাচী চক্রবর্তীর পুত্র অর্জুন। ছবিতে তিনি হৃতিক-ভক্ত। প্রথম দিন শ্যুটিংয়ের সময় খালি গায়ে তেল মেখে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন বিচে। গানের দৃশ্যে তাঁকে ছুটে আসতে হবে অরুণিমার দিকে। অর্জুনের লিপে গানটা লিখেছেন রূপম ইসলাম। “কথাগুলো ‘কহো না প্যার হ্যায়’-য়ের একটা অনুবাদ। ‘বলে দাও না এটা প্রেম’,” বললেন অর্জুন। বাস্তবে অর্জুন অবশ্য হৃতিককে পছন্দ করলেও তাঁর বেশি পছন্দের তারকা হলেন রণবীর কপূর।

মৎস্যকন্যা
বিচে ডেকচেয়ারে বসে অর্জুন তেল মেখে রেডি। কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। তার মধ্যে স্যুইমস্যুট পরে হাজির অরুণিমা। মাঝে মাঝেই অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর গৌরী ছুটে গিয়ে অরুণিমাকে ভিজিয়ে আসছেন ওয়াটার স্প্রে দিয়ে। হাঁটু-জলে দাঁড়িয়ে থেকে শট দিতে হবে। তার পর আবার ছুটে আসতে হবে ঢেউয়ের বিপরীতে। “ঢেউ এসে ফেলে দিচ্ছে তো! ওখানে ছুটতে গেলে আমি তো পড়ে যাব!” বলেন অরুণিমা। কিন্তু ঢেউ আছড়ে পড়লেও পড়ে যাননি তিনি। পড়ে গেলেন অন্য একটা শট দিতে গিয়ে। অর্জুন বসে আছেন বিচে। পিছন থেকে অরুণিমা ছুটে আসছেন। ক্ষণিকের মধ্যে চোখে পড়ল অরুণিমা সোজা অর্জুনকে ডিঙিয়ে একেবারে মুখ থুবড়ে বালিতে ধপাস! “তুই ইচ্ছে করে আমাকে এ ভাবে ফেলে দিলি অর্জুন!” বলেই হেসে ফেলেন তিনি। অর্জুন খানিকটা হতভম্ব। “না, মানে, আমি কেন তোমাকে ফেলব!” বলতে না বলতেই অরুণিমা আবার মজা করে বলেন, “ওই যে ফ্লাইটে আমি তোর মুখ হাঁ করা ছবি তুলেছিলাম ক্যামেরাতে... ওই জন্যই!” শুধু এই দৃশ্যে নয়, আরেক দিন শ্যুটিংয়ের সময় এক মজার কাণ্ড হল। “একটা বাঁদর এসে আমার পাফ-টা খাবার ভেবে ছিনিয়ে নিয়ে গেল!” বলেই হেসে ফেলেন অরুণিমা।

‘বিগ বস’ থেকে টালিগঞ্জ
যাঁরা ‘বিগ বস’ দেখেছেন জ্যোতিষী মহেশ জালানের বিনোদন করার ক্ষমতা সম্পর্কে তাঁদের আন্দাজ আছে। ‘বঙ্কুবাবু’র আরও একটা বিশেষ চমক হল, এই সিনেমায় অভিনেতা হিসেবে মহেশ জালানের অভিষেক হচ্ছে। ছবিতে তাঁর ৫টা লুক। চরিত্রের নাম ‘ম্যাজিক ম্যান’। ভোর ছ’টায় তাঁকে মেক আপ করিয়ে বিচে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁর শ্যুটিং হতে সেই গোধূলি লগ্ন। গায়ে নামাবলি নেই। হাওয়াইয়ান শার্ট আর বারমুডা। পাশে পাঁচ জন রাশিয়ান মডেল। দূরে দাঁড়িয়ে তাঁর স্ত্রী। স্বামীর এমন দুর্লভ দৃশ্যের ছবি ক্যামেরাবন্দি করে চলেছেন। “অভিনয় করা নিয়ে আমার টেনশন নেই। এ বার ভাবছি মুম্বইয়ে যাব,” বলেন মহেশ। শোনা যাচ্ছে যে, অষ্টমী ফিল্মস-এর এই প্রযোজনায় অভিনয় ছাড়া কিছু টাকাও লগ্নি করেছেন তিনি।
ডিনারে টিম ‘বঙ্কুবাবু’। রজতাভ, শাশ্বত, অর্জুন, অরুণিমা। সঙ্গে পরিচালক অনিন্দ্যবিকাশ
কোথায় তোমার আসবে টেলিফোন?
কলকাতাতে শাশ্বতকে কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে রাজি করাতে পারেননি। কিন্তু অন্য দেশে পাড়ি দিয়েই স্লিং ব্যাগ থেকে বব বের করলেন ছোট্ট একটা মোবাইল। “দেশের বাইরে গেলে মোবাইল ব্যবহার করতেই হয়। কিন্তু যেই দেশে ফিরব, অমনি ওটা বন্ধ। শুধু কল করতে পারি, আর ফোন রিসিভ করতে পারি আমি। এসএমএস তো দূরের কথা, একটা নাম্বার সেভ করতেও জানি না,” বলেন বব।

আড্ডা, ম্যাসাজ এবং...
আর সেখানেই তো যত গণ্ডগোল। রোজ শ্যুটিং শেষে শাশ্বত আর রজতাভ মিলে চলে যেতেন চাটশিলা নাইট মার্কেটে। সেখানে ছোট একটা স্ক্যোয়ারে বসে সারা সন্ধে এক গিটারবাদকের গান শোনা আর আড্ডা দেওয়া। ডিনারে পর্ক অ্যান্ড রাইস। আর তার ফাঁকে একটু ফুট ম্যাসাজ। আড্ডা শুরু হওয়ার আগে একবার, মাঝে একবার, আর শেষ হওয়ার পরেও। ইয়ার্কি মেরে বলা হত ‘বব’য়ের অ্যারিস্টটেলিয়ান ফান্ডা। শুরুতে আছে, মাঝখানে আছে। আবার শেষেও আছে। যদিও গল্পগুজবে এত দেরি হয়ে যেত যে, শেষ ফুট ম্যাসাজটা নেওয়ার আগেই সবার ঝাঁপি বন্ধ। শুধু মাত্র বসে থাকতেন ফুডকোর্টের এক মহিলা। ভাঙা ভাঙা ইংরিজি বলতে পারেন তিনি। সযত্নে শাশ্বতকে খাবার, পানীয় সার্ভ করতেন। যাওয়ার আগের দিন হঠাৎ এসে অরুণিমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট আছে কি না। তা দেখে পাশ থেকে রজতাভ বলে ওঠেন, “আসলে ওঁর ইচ্ছে শাশ্বতকে এই প্রশ্নটা করার। এখন যদি জানতে পারে যে ও মোবাইল-ই ব্যবহার করে না, তা হলে মূর্ছা যাবে!”

স্মৃতিটুকু থাক
এই প্রথম বার তাইল্যান্ডে গেলেন শাশ্বত। এয়ারপোর্টে ফিরে গিয়ে বললেন, “আমার দারুণ লেগেছে দেশটা। ওই স্ক্যোয়ারে বসে আড্ডাটাও যেন এক অন্য নেশা।” লাউঞ্জে চোখে পড়ল এক সাহেব। নিবিড় আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে আছেন এক তাই মহিলাকে। হয়তো এক সপ্তাহের জন্য এসেছিলেন হুয়া হিনে। তখনকার সঙ্গিনী এই মহিলা। গভীর চুম্বন। তার পর বিচ্ছেদ। লাবণির দিকে তাকিয়ে শাশ্বত বলেন, “এ এক অদ্ভুত সম্পর্ক দেখলাম এ দেশে এসে। চলে যাওয়ার পরেও ছেলেটি কিন্তু দু’বার পেছনে ফিরে তাকাল। মেয়েটা আর ঘুরেও দেখল না। হয়তো ইচ্ছে করছিল খুব। কিন্তু ওকে তো এই সম্পর্কটা ঝেড়ে ফেলে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।” উত্তরে লাবণি বলেন, “শুধু মাত্র পয়সা দিলেই কিন্তু এই বন্ডটা তৈরি হতে পারে না, অপু। সম্পূর্ণ অপরিচিত একটা মানুষের সঙ্গে কী গভীর একটা প্রেম! যেখানে এরা দু’জনেই জানে যে আর কোনও দিন দেখা হবে না... নিবিড় এবং নিষ্পাপ সে সম্পর্ক। যৌন আবেদনেই এখানে শেষ কথা নয়।”
ততক্ষণে বোর্ডিং পাস নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। বঙ্কুবাবুর এ বার কলকাতায় ফেরার তাড়া।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.