বিদায়ী টেস্টের ঠিক আগে কলকাতায় সচিনের সঙ্গে কথা হচ্ছে।
সচিন: কলকাতা এয়ারপোর্টে নামা থেকেই বরাবর ছবিটা একই রকম উষ্ণ।... তাই এ বার কলকাতার আবেগ বাড়তি ছিল বোধহয় বলা যায় না।
আমি: তবু ব্যাট করতে নামার সময় যে স্ট্যান্ডিং ওভেশন ইডেন দিল, সেটা তো অন্য বার হয় না।
সচিন: তাই বুঝি? আমি নামবার সময় সবাই উঠে দাঁড়িয়েছিল?
আমি: কী বলছেন! গোটা মাঠ উঠে দাঁড়াল আর আপনি খেয়াল করেননি?
সচিন: না। ব্যাট করতে নামব, তখন আমি নিজের জোন-এ চলে গিয়েছি। কিছু খেয়ালই করিনি।
মানুষ হিসেবে ভীষণ প্রাইভেট সচিন। অথচ অভ্যুদয় থেকে অস্ত এমন হাজার হাজার ওয়াটের আলো তাঁর গতিবিধির ওপর, কোথাও এক মিনিট নিভৃতে জিরোবার সুযোগ নেই। আর সামান্য বিচ্যুতি ঘটেছে কী ক্রিকেটবিশ্বময় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সচিন শেষ। শততম সেঞ্চুরি যখন পাচ্ছিলেন না তখন চারিদিকে এমন ক্যাকোফোনি তৈরি থেকেছে যেন আগের নিরানব্বইটা সেঞ্চুরি অন্য কেউ করেছে। শেষ দিকটা যখন রান পাচ্ছিলেন না তখন এমন আওয়াজ তোলা হয়েছে: আর খেলছে কেন? এখুনি অবসর নিয়ে নেওয়া উচিত। কেউ ভাবারও প্রয়োজন মনে করেনি এত বছর ধরে এই মানুষটা সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিনোদন দিয়ে এসেছে। একে একটু সহানুভূতির সঙ্গে মাপা উচিত। নিজের ওপর দুঃসহ চাপ কাটাতে পরিবার নিয়ে মুসৌরি গিয়েছেন। সেখানেও চায়ের দোকানে জনতা এসে জিজ্ঞেস করে গিয়েছে, ‘অবসর কি খুব শিগগির? না কি আরও টানবেন?’
সেনসিটিভ কোনও মানুষ আরও সেনসিটিভ দর্শকের কাছে কী ব্যবহার আশা করে থাকে, সে সব ভেবে লাভ নেই। এমন অবস্থা ছিল যে সিডনিতে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী নিজের বাড়িতে দেওয়া স্বাগত ভাষণেও বলছেন, ‘সচিন, প্লিজ আমাদের দেশে করে যান শততম সেঞ্চুরি।’ ঠিক সে দিনই আবার হোটেলে খাবার দিতে গিয়ে রুম সার্ভিসের অস্ট্রেলীয় কর্মীটি বলে গেল, ‘স্যর, অল দ্য বেস্ট ফর ইয়োর হান্ড্রেড্থ হান্ড্রেড, অ্যাট দ্য এসসিজি।’ বিভীষিকার মধ্যে পড়ে গেলেন সচিন। দূর থেকে অপরিচিত কেউ এগিয়ে আসছে মানেই তখন তাঁর ভয় হত, আবার নির্ঘাত শুভেচ্ছা জানাবে। আবার নতুন চাপ।
সুচিত্রা সেন মারা যাওয়ার পরের দিন সন্ধেবেলা বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের শোকার্ত বাড়িতে বসে মুনমুন সেন বলছিলেন, ‘এত দুঃখের মধ্যেও নিজের অন্তত ভেবে তৃপ্ত লাগছে যে মা-কে দেওয়া কথাটা রাখতে পারলাম। মুখাগ্নির সময়টুকু কিছু ক্ষণের জন্য মুখটা খোলা ছিল। সেই সময়েও অন্তত কেউ ছবি তুলতে পারেনি।’
|
কিন্তু কলকাতায় তিন দশকে সুচিত্রার প্রাইভেসির ওপর যে পরিমাণ নিম্নচাপ আবির্ভূত হয়েছে, তা সচিনের ওপর গত পঁচিশ বছরের উঁকিঝুঁকির পাশে নস্যি। সেই ষোলো বছর বয়সেই আত্মরক্ষার প্রথম অস্ত্র বেছে নিতে হয়েছিল সচিনকেওয়াকম্যান। যখন পাবলিক প্লেসে আসতেন, টিম বাস থেকে নামতেন, খেলার পর দু’পাশে ভিড়ের মধ্যে দিয়ে ড্রেসিং রুম থেকে বার হতেন, সব সময় তাঁর সঙ্গী থাকত ওয়াকম্যান। হোটেলে চেক-ইন করামাত্র অপারেটরকে প্রথম নির্দেশ দেওয়া থাকত ‘ডু নট ডিসটার্ব’ চালু করে দিন, কী ঘরের বাইরের ঝোলানো বোর্ডে, কী ফোনে। রুম সার্ভিস নিতেন। দেশে সেই সময় কখনও দেখিনি টিমমেটদের মতো নীচে নেমে ব্রেকফাস্ট খাচ্ছেন।
সচিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মুখে শুনেছি, ক্রাউড ম্যানেজমেন্টে ওঁর কিছু টেকনিক রয়েছে। সর্বপ্রথম তো মনটাকে অন্য জোনে নিয়ে ফেলা। কিন্তু তাতে একশো ভাগ সাফল্য সব সময় পাওয়া যায় না। তাই প্ল্যান ‘বি’ হল, একটু দেরি করে নামা। তার পর মাঠে ঢুকে প্রথম বলটা খেলার আগে যথাসম্ভব সময় নেওয়া। তবু চিত্কার না কমলে আরও সময় নিয়ে উইকেটটা ট্যাপ করা। স্কোয়ার লেগের দিকে সরে যাওয়া। শেষ টেস্টে অবশ্য এ সব টেকনিক কাজ দেয়নি। চিত্কার এক সেকেন্ডের জন্যও কমেনি। সেটা মেনে নিয়েই ব্যাট করেছেন। এক বার, কলকাতায় তাঁকে ঘিরে এক অনুষ্ঠান। উপলক্ষ, তাঁর ক্রিকেটজীবনের ২০ বছর পূর্তি উদ্যাপন। তাজ বেঙ্গল থেকে সচিনকে নিয়ে আসার দায়িত্ব পড়েছে আমার ওপর। সঙ্গে পুলিশের পাইলট গাড়ি। যে গাড়িতে আমরা অনুষ্ঠানে পৌঁছব তাতেও কালো কাচ। গ্র্যান্ড হোটেলের স্বাভাবিক এনট্রান্স দিয়ে ঢুকলে কোনও সমস্যাই নেই। কিন্তু সংগঠকরা চেয়েছেন চমক। তাঁরা সচিনকে অতিথি অভ্যাগতদের সামনে আগাম দেখাবেন না। এমন ব্যবস্থা হয়েছে যে ঘোষিকার অ্যানাউন্সমেন্ট শেষ হতে না হতে রিভল্ভিং স্টেজটা ঘুরতে শুরু করবে। ঘুরতে ঘুরতে দেখা যাবে শেষ ভাঁজটায় দাঁড়িয়ে আছেন সচিন। চরম নাটকীয় অ্যারাইভাল!
এই চমক অব্যাহত রাখতে হলে তাঁকে লিফ্ট-এ গ্র্যান্ডের ব্যাংকোয়েট হলের দিক দিয়ে তোলা যাবে না। আর পাঁচ জন ভিভিআইপি-র মতো দোতলার বেলভেডিয়ার লাউঞ্জ-এও বসানো যাবে না। ঢোকাতে হবে হোটেলের পিছনে নিউ মার্কেটের দিককার গেটটা দিয়ে। তার পর স্টেজের পিছনে ব্যাক রুমে ঢুকিয়ে দিতে হবে। সেখান থেকে সোজা স্টেজে।
প্রস্তাব হিসেবে খাসা। রূপান্তর করতে গিয়ে দেখা গেল ততটাই কঠিন। কারণ গাড়িটা ঢোকাতে হচ্ছে গ্র্যান্ড হোটেলের পাশের রাস্তা দিয়ে। যার ওপরে লাইটহাউস আর নিউ এম্পায়ার। কে জানত গাড়ির কালো কাচও ছদ্মবেশের এত নির্বিষ পদ্ধতি হতে পারে। পাইলট গাড়িটাই বোধ হয় সন্দেহের উদ্রেক করে থাকবে যে পিছনের গাড়িটায় গণ্যমান্য কেউ আছে। বা কোথা থেকে এদের কাছে আগাম কোনও খবর ছিল। নিউ মার্কেটের সব দোকানদার এসে ঝাঁপিয়ে পড়ল গাড়ির ওপর। আমার তখন তীব্র আতঙ্কিত লাগছে। উদ্যোক্তার গাড়িটা সার্ভিস সেন্টারে অবধারিত পাঠাতে হবে। কিন্তু সেটা তো ছোট ক্ষতি। যেটা বড়, এ তো সিরিজের মধ্যে সচিনের চোট লেগে যাবে। নিউ মার্কেটের অফিস টাইমের সন্ধ্যায় তিনি পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়লেন। জনতা চার দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে। কেউ কেউ গাড়ির ছাদের ওপর উঠে পড়েছে। সচিনকেও কিংকর্তব্যবিমূঢ় দেখাচ্ছে। এমন জনবহুল সরু রাস্তায় অফিস টাইমে কেউ তাঁকে ঢোকাবার ঝঁুকি নেয় না কি?
সে যাত্রা বাঁচিয়ে ছিলেন পুলিশের পাইলট ভ্যানের লোকজন। তাঁরা ধাক্কাধাক্কি করে রাস্তাটা ক্লিয়ার করলেন। সচিন তার মধ্যে দিয়ে দৌড়তে দৌড়তে কোনও রকমে হোটেলে ঢুকে গেলেন।
ফেরার সময় গাড়িতে অন্য রুট। তখন কিন্তু মনেই হল না সচিনের কোনও হ্যাংওভার রয়েছে বলে। ভিড় আসলে তাঁর ক্রিকেটজীবনের নিত্যসঙ্গী। তাই নিউ মার্কেটে সন্ধের অভিজ্ঞতার কথা তুললেনও না।আম্পায়ারকে ‘ওয়ান লেগ’ বলে স্টান্স নেওয়াটা যথেষ্ট কমন। কিন্তু সচিন পরিস্থিতি অনুযায়ী স্টান্সের অদলবদল করেছেন। কখনও মিড্ল স্টাম্প। কখনও লেগ মিড্ল। ইনিংসের মধ্যে এত বেশি স্টান্স বদলে বিশ্বের আর কোনও ব্যাটসম্যান খেলেননি। এক বার হ্যামিলটন টেস্টে শটের টাইমিং হচ্ছে না। দ্রুত লেগ স্টাম্প স্টান্স বদলে তিনি লেগ মিড্ল-এ চলে গেলেন। ২০১০ সালের কথা। এর পর তিনি করেন ১৬০। ড্রিংক্স ব্রেক-এ আম্পায়ার সাইমন টফেল তাঁর কাছ থেকে জানতে চান, ‘ব্যাপার কী! খেলাটা আমূল বদলে গেল তো!’
ক্রাউড ম্যানেজমেন্টেও তেমনই অভিনবত্বের আমদানি করেছিলেন। একটা পৃথক অনুশীলনই ছিল তাঁর। যেখানে প্র্যাকটিসে-প্র্যাকটিসে পারিপার্শ্বিক কোলাহল থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে তিনি নিজের মনকে একটা টানেলে ঢুকিয়ে ফেলতে পারতেন। লম্বা একটা সুড়ঙ্গ যেখানে বল দেখা আছে, বোলার আছে, বাইশ গজ আছে, অপোনেন্ট টিম আছে। কিন্তু গণহিস্টিরিয়া নেই। চাহিদা নেই।
অসামান্য ভাগ্য নিয়ে জন্মেছেন সচিন। কোনও সন্দেহ নেই। প্রথম, ঈশ্বরদত্ত ক্রিকেটীয় দক্ষতা। দুই, প্রগতিশীল মানসিকতাসম্পন্ন বাবা, যিনি মাত্র ১১ বছর বয়সে ছেলেকে বলে দেন, ক্রিকেটার হতে চাইলে সেটাই মনপ্রাণ দিয়ে হও। তিন, ওই রকম দাদা। একই মায়ের পেটের সন্তান না হয়েও যে জীবনটাই ভাইকে বড় করার পিছনে দিয়ে দিল। চার, এমন স্ত্রী। নিজের চমত্কার পেশাগত অবস্থান আর শিক্ষাগত যোগ্যতা যে কেবল স্বামীর মহাতারকাসুলভ অবস্থান সুদৃঢ় করার পিছনে এক কথায় বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে। পাঁচ, ওই রকম স্নেহশীল কোচ। যিনি পাখির চোখ হিসেবে দেখেছেন প্রিয় ছাত্রের মঙ্গল কামনা। এমনও হয়েছে, তাঁর জিমখানায় গোবর্ধন দাস ট্রফির ফাইনালে ১২ বছরের সচিনকে ইচ্ছাকৃত রান আউট করিয়ে দিয়েছে টিমের অধিনায়ক মঙ্গেশ আধাতরাও। এই আশঙ্কায় যে, লিকলিকে ছেলেটা ধুকধুক করে খেললে ২০০-র ওপর রান তাড়া করা যাবে না। তাঁর কপালে জোটে কোচের বিশাল থাপ্পড়। ‘লজ্জা করে না! বাচ্চাটাকে ইচ্ছাকৃত রান আউট করিয়ে দিয়েছ!’
এক এক সময় মনে হয়েছে, কী হত, যদি ঈশ্বরদত্ত প্রতিভা বয়ে এনেও শেষ চারটে ফ্যাক্টর না পেতেন সচিন? ওঁর ঔজ্জ্বল্য অবধারিত কমত। তবু সচিন একটা কোনও কিছু হয়ে থাকতেনই। তাঁর পুরুষকারও যে অসাধারণ। রাহুল দ্রাবিড় এক বার চূড়ান্ত বিস্মিত হয়ে বলেছিলেন, ‘সচিন যে বয়সে শুরু করেছে তখন আমি বেঙ্গালুরুতে গোটা সপ্তাহে যা প্র্যাকটিস করতাম, এক দিনে ও তাই করত। দিনে তিনটে করে ম্যাচ খেলত। আমি সেখানে খেলতাম সপ্তাহে একটা।’ সচিনের মতো ক্রিকেট বলকে কোটি কোটি বার হিট ব্র্যাডম্যানও করেননি। ইয়ান চ্যাপেল তো এক বার বিরক্ত ভাবে বলেছিলেন, ‘এটা কোনও মডেল হতে পারে না। এত প্র্যাকটিস করার কোনও দরকারও নেই। কেউ করেনি ক্রিকেট ইতিহাসে।’
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা, বিপক্ষ বোলারের নিত্যনতুন স্ট্র্যাটেজি আবিষ্কার, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে রোজ টুকরো টুকরো করে বিশ্লেষিত হওয়া তাঁর খেলার ধাঁচ এতগুলো নতুন প্রতিপক্ষের সঙ্গেও যুঝতে হয়েছে তেন্ডুলকরকে। সঙ্গে থেকেছে কোটি কোটি দেশবাসীর বদলে যেতে থাকা উইশ লিস্ট। কোচ যা শিখিয়েছিলেন তা যদি কলেজ কোর্স পর্যন্ত চলে থাকে, তা হলে এগুলো স্নাতকোত্তর উচ্চতর শিক্ষা। সেগুলো নিজেকেই সামলাতে হয়েছে। একা থেকে। মুম্বইতে বছর দুই আগে বিখ্যাত পপ গায়কের অনুষ্ঠান শুনতে গিয়েছিলেন সচিন। উদ্যোক্তা স্পনসর আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। গ্রিনরুমে গায়কের সঙ্গে দেখা করার পর কোথায় যাবেন ঠিক বুঝতে না পেরে স্টেজের ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। সঙ্গে বন্ধু ফোটোগ্রাফার অতুল কাসবেকর। গায়কের ম্যানেজার তখন নাকি সামান্য বিরক্ত ভাবে এগিয়ে আসেন, ‘এই জায়গাটা ভিড় না করে খালি করে দিলে ভাল হয়।’ গায়কের নাম ব্রায়ান অ্যাডাম্স। অতুল তখন উত্তেজিত ভাবে বলেন, ‘ভাই, এই লোকটা যদি স্টেজের সাইড থেকে সরে একটু মুখটা দেখায় তা হলে আপনার প্রোগ্রাম শুরু হওয়াটা অন্তত এক ঘণ্টা পিছিয়ে যাবে। সেটা কি চাইছেন?’ ম্যানেজার চুপ করে যান।
রমেশ তেন্ডুলকর অনেক আগে ছেলের ওপর একটা কবিতা লিখেছিলেন।
...হয়তো তোমার জড়িয়ে থাকার জন্য
প্রিয় সচিন, ক্রিকেটটা আর আমার কাছে খেলা নেই
একটা পদ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে
একটা ছন্দোময় পদ্য
...মুড টেনশন আর ফর্ম
ছন্দ, মুভমেন্ট আর সুর তৈরি
টুকরো টুকরো কল্পনার ছন্দ আর প্রতিভা
যখন স্ট্রোকগুলো ছিটকে ছিটকে যায় বাউন্ডারিতে
যখন সব কিছুই পদ্যময় চলতে থাকে
...প্রত্যেকটা মুভমেন্টই তো এক একটা মুহূর্ত
... প্রত্যেকটা চ্যালেঞ্জ
তো খেলার মাঠে কবিতা...
আজ মনে হচ্ছে ১৯৯৯-তে অকালমৃত্যু না হলে রমেশ তেন্ডুলকর কবিতাটা নতুন করে লিখতেন। আর তাতে জনতার অ্যাঙ্গলটা অবধারিত থাকত। সচিন মানে ক্রিকেট ব্যাট, স্টাম্প আর প্রতিদ্বন্দ্বী বোলার তো নিশ্চয়ই। তারই সঙ্গে কালো কালো সব মাথা।
এই মাথাগুলোর হাসি হাসি মুখ ছাড়া পদ্যের রোমান্স সম্পূর্ণ হয় নাকি! |
সূত্র: সচিন অমনিবাস, দীপ প্রকাশন। |