নারী-নিগ্রহ রোধে পথ মনীষীদের আদর্শ: শুভেন্দু
কামদুনি থেকে লাভপুর, সাম্প্রতিক কালে একের পর এক নারী নিগ্রহের ঘটনায় আলোড়ন পড়েছে রাজ্যে। এই প্রবণতা ঠেকাতে বিদ্যাসাগর ও বিবেকানন্দের আদর্শ আঁকড়ে ধরার পরামর্শ দিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একগুচ্ছ প্রকল্প উদ্বোধনে এসেছিলেন শুভেন্দু এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানেই বিদ্যাসাগর ও বিবেকানন্দের মতাদর্শ ব্যাখ্যা শুভেন্দু বলেন, “ এঁদের দেখানো পথে চললেই, কামদুনি বা অন্যত্র যে কলঙ্কিত ঘটনা ঘটছে, তার থেকে সমাজ মুক্ত হতে পারবে। নারীর অধিকার, সম্ভ্রম নিয়ে নানা জায়গায় নানা কথা হচ্ছে। এই আলোচনারও প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করি।”
ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতন থেকে মুক্তির পথ খুঁজে বের করার উপর জোর দেন ব্রাত্যও। সেই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিমুক্ত করার আহ্বান জানান। তাঁর কথায়, “আমাদের সরকার শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি মুক্ত করতে তৎপর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যেখানে ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, সকলে সমান জায়গা পাবেন। কেউ কারও বিরোধী হলে তাঁকেও উপযুক্ত জায়গা করে দিতে হবে।”

উদ্বোধনের পরে। মেদিনীপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তোলা নিজস্ব চিত্র।
এ দিন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিবেকানন্দের একটি মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন শুভেন্দু। একটি ছাত্রাবাস, বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পত্রিকা, ‘গল্পগুচ্ছ’ নামে বইয়ের স্টল এবং একটি জেনারেটরেরও উদ্বোধন করা হয়। রাজ্য জুড়ে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক নানা কাজকর্ম হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তবে তাকে খুব একটা বড় করে দেখতে নারাজ তিনি। বিদ্যাসাগরের উদাহরণ টেনে ব্রাত্য জানান, কাজ করে আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে আরও অনেক কাজ করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “বিধবা বিবাহ প্রচলনের সময় বিদ্যাসাগর দু’টি বই লিখেছিলেন। প্রথমটি ‘অতি অল্প হইল’। দ্বিতীয়টি ‘আবার অতি অল্প হইল’। তেমনই এ দিন যা কিছুর উদ্বোধন হল তা অতি অল্প। পরে যদি আরও কিছু হয়, তখনও বলতে হবে অতি অল্প হইল। এ ভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।”
এ দিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, সাংসদ ছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আর এল হাঙলু উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, যে সব উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তার জন্য প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় ৯৫ লক্ষ টাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে ৩৪ লক্ষ টাকা পেয়েছে। বাকি টাকা খরচ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে। রাজ্য সরকার যাতে এই টাকা দেয় সে জন্য এ দিন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী। শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস, “ওই টাকা যাতে দেওয়া যায় সে জন্য চেষ্টা করব।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.