কুকুর মারতে বিষ দাগছে সোচি! আগামী শুক্রবারই রাশিয়ার এই শহরটিতে শুরু হতে চলেছে শীতকালীন অলিম্পিক। তার আগে শহর সাফাইয়ে নেমেছে প্রশাসন। সেই কর্মযজ্ঞেরই অংশ সোচির পথঘাট কুকুরমুক্ত করা। বরাত মিলেছে ‘বাসিয়া সার্ভিসেস’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার। সংস্থা-প্রধান অ্যালেক্সি সোরোকিনের কথায়, রাস্তার কুকুরেরা নিছক ‘জৈব জঞ্জাল’ ছাড়া আর কিছু নয়।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, অলিম্পিক উপলক্ষে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হওয়ার আগেই রাস্তার সব কুকুর মারার নির্দেশ পেয়েছে তারা। তাই জাল পেতে কুকুর ধরে বিষ খাইয়ে মারা হচ্ছে। অ্যালেক্সি জানান, শহরে এত বড় একটা অনুষ্ঠান হতে চলেছে, সেখানে পথেঘাটে কুকুরের উপস্থিতি ভীষণ বেমানান। তা ছাড়া জলাতঙ্কের মতো মারণ রোগ রুখতেও এটা একটা ভাল পদক্ষেপ। তাঁর কথায়, “কুকুরের উপদ্রবহীন রাস্তায় হাঁটা সাধারণ মানুষের অধিকার।”
স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিবাদে সরব পশুপ্রমী সংগঠনগুলি। রাশিয়ায় রাস্তার কুকুর মেরে ফেলার ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। নতুন নয় পশুপ্রেমী সংগঠনগুলির অসন্তোষও। রাজধানী মস্কোয় নিয়মিতই চলে কুকুর-নিধন। বিষ মাখানো মাংসের টুকরো ফেলে রাখা হয় রাস্তায়-মাঠে-পার্কে। উদ্দেশ্য, কুকুরমুক্ত রাশিয়া। আর এই উদ্দেশ্য পূরণে দেশ জুড়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ‘বাসিয়া সার্ভিসেস’। নিষ্ঠুরতার বিষয়টি অবশ্য মানতে রাজি নয় তারা। অ্যালেক্সির কথায়, “নৃশংস ভাবে নয়, মূলত বিষ খাইয়েই মারা হয় রাস্তার কুকুরগুলিকে। এগুলো আসলে জৈব জঞ্জাল ছাড়া আর কিছুই নয়।”
অবশ্য রাশিয়ায় রাস্তার কুকুরের সমস্যার সূত্রপাত বেশ কয়েক দশক আগেই। মন্দার সময়ে বহু মানুষ খাওয়াতে না পেরে তাঁদের পোষা কুকুরদের রাস্তায় বার করে দিয়েছিলেন। সেই কুকুরগুলির অনিয়ন্ত্রিত বংশবৃদ্ধিই বর্তমান সমস্যার কারণ।
|
ফের গন্ডার চোরাশিকার কাজিরাঙায়। এ নিয়ে চলতি বছর রাজ্যে শিকারির গুলিতে পাঁচটি গন্ডারের মৃত্যু হল। বনবিভাগ সূত্রে খবর, আজ ভোরে অগরাতলি রেঞ্জের মোয়ামারি বন শিবিরের কাছে গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। সকাল ৯টা নাগাদ একটি পুরুষ গন্ডারের খড়্গহীন দেহ দেখতে পান বনরক্ষীরা। রেঞ্জার সেলিম আহমেদ জানান, গন্ডারটির মাথা থেকে একটি গুলি বের করা হয়েছে। |