নীল আর সবুজের মিশেলে চোখ ধাঁধানো ক্যারিবিয়ান দ্বীপ মাস্টিক। রয়েছে বিলাসবহুল ভবন আর রাজকীয় ব্যবস্থাপনা। জীবনের প্রথম বিদেশ ভ্রমণে সেখানেই গিয়েছে ব্রিটিশ রাজকুমার জর্জ। মাত্র ছ’মাস বয়সে।
সঙ্গে গিয়েছেন মা আর মামার বাড়ির সবাই। বাবা উইলিয়াম পড়ার চাপে যেতে পারেননি। কৃষি নিয়ে ১০ সপ্তাহের একটি পাঠ্যক্রমে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন তিনি। তাই দাদু-দিদা-মাসি পিপা ও মামা জেমসের সঙ্গেই ছুটি কাটাবে জর্জ। দিদা ক্যারোল মিডলটনের ৫৯তম জন্মদিনটাও পড়ছে ছুটির মধ্যেই। সে ভাবেই বেড়াতে যাওয়ার দিন ক্ষণ স্থির করা হয়েছিল।
খুদের প্রথম বিদেশ সফর নিয়ে উত্তেজিত কেট। যদিও এ বারের মতো সে আনন্দে বঞ্চিত উইলিয়াম। পরিবারের সঙ্গে দেখা হবে দু’সপ্তাহ পর, কেটরা যখন ব্রিটেন ফিরবেন। তবে এপ্রিলেই তিনি ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন রাজপরিবারের সরকারি সফরে। গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। |
রানির বোন রাজকুমারী মার্গারেটের পছন্দের জায়গা ছিল মাস্টিক। ৭৪৭ জাম্বো জেট-এ রওনা দিয়েছে জর্জরা। ৪৫০০ মাইলের যাত্রাপথ। সঙ্গে যাচ্ছেন রাজবাড়ির তিন নিরাপত্তারক্ষী। এ ছাড়া মাস্টিকেও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা রয়েছে। রাজ-অতিথি আসছেন বলে কথা! তবে সেই আঁটোসাটো প্রহরা কতটা কাজে দেবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। কারণ এই মাস্টিক দ্বীপেই কেট-উইলিয়ামের ঘনিষ্ঠ ছবি তুলেছিলেন এক পাপারাৎজি। প্রাসাদের আধিকারিকরা প্রথমটা অস্বীকার করেছিলেন। বলেছিলেন, সৈকত একেবারে ফাঁকা ছিল। এমন কিছু ঘটতেই পারে না। কিন্তু যুক্তি-পাল্টা যুক্তির জট ভেঙে ছবিটি বেরিয়ে যায় ইতালীয় পত্রিকায়। পরের অংশ সবারই জানা। বিতর্ক-সমালোচনা-ক্ষোভ প্রকাশ।
জর্জকে শেষ বার প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত করার সময়। তার পর আর দেখা মেলেনি। সুতরাং এ বারও যে ছবি-শিকারিরা মাস্টিক পর্যন্ত ধাওয়া করবে, এমন আশঙ্কা থাকছেই। |