বিশ্ব রেকর্ড ভেনেজুয়েলার। এতে তাদের অবশ্য কোনও কৃতিত্ব নেই। মিনিটে ১৮ বার বজ্রপাত। সংখ্যাটা কখনও সখনও ছুঁয়ে ফেলে ঘন্টায় প্রায় ২০ হাজার। ঘটনাস্থল সে দেশের জুলিয়া প্রদেশ। আর তাতেই ভেনেজুয়েলার নাম উঠে গিয়েছে গিনেস বুকে! গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের প্রতিনিধি জোহানা হেসলিং গত কাল শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্টের হাতে। উচ্ছ্বসিত ভেনেজুয়েলা। শিরোপা নয়া। তবে এত ঘন ঘন বজ্রপাত একেবারেই নতুন কিছু নয় জুলিয়াবাসীর কাছে। তাঁরা বলেন ‘কাটাটুম্বো লাইটেনিং’। বিদ্যুতের ঝড় ওঠে আকাশ জুড়ে। এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মাঝেমধ্যেই এ দৃশ্য দেখা যায় ক্যাটাটুম্বো নদীর মোহনায়। বছরে হিসেবটা ছুঁয়ে ফেলে ১২ লক্ষের কোঠা। এক এক বার বিদ্যুৎ চমকে যেন এক সঙ্গে জ্বলে ওঠে ১০ কোটি বাল্ব। গত ১৭ বছর ধরে এই বিদ্যুৎ চমক নিয়ে গবেষণা-পর্যালোচনা করছিলেন ভেনেজুয়েলার পরিবেশবিদ এরিক কুইরোগা। তিনি গত বছর গিনেস বুকের কাছে প্রস্তাবটা রাখেন। শিকে ছিঁড়ল এক বছরেই। তাতেই বাজ-এ রেকর্ড!
|
ঠান্ডার কোপ থেকে রেহাই মিলছে না কিছুতেই। তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত মার্কিন মুলুকের দক্ষিণ প্রান্ত। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে লুইজিয়ানা, মিসিসিপি এবং নর্থ ক্যারোলাইনায়। পরিবেশবিদরা বলছেন, “বিরল ঘটনা। দক্ষিণের প্রদেশগুলোতে তুষারঝড় হয় না বললেই চলে। এক দশকে দেখা মেলে এক বার।” তাপমাত্রা কোথাও কোথাও শূন্যের ৩৪ ডিগ্রি নীচে। ঝাঁপ বন্ধ নিউ অর্লিয়্যান্স বিমানবন্দরের। গত কয়েক দিনে বাতিল হয়েছে হাজার তিনেক উড়ান। যানজট চরমে। তাতে অবশ্য মাথাব্যথা নেই মানুষের। উচ্ছ্বসিত এই অঞ্চলের বাসিন্দারা। ছবি তুলতেই ব্যস্ত সাধারণ মানুষ। বড়দিন চলে গিয়েছে কবে। তবু বরফ-উৎসবে মেতে লুইজিয়ানা-মিসিসিপি-নর্থ ক্যারোলাইনা। প্রশাসন অবশ্য বারবার সতর্ক করে দিচ্ছে স্থানীয়দের। দু’জনের মৃত্যুর খবরও মিলেছে। প্রশাসনের আশঙ্কা, এই ঠান্ডা আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। তাই সতর্কবার্তা, “তৈরি থাকুন।” |