ভোট গ্রহণ পর্বের শেষ মুহূর্তে চাপড়া বাঙ্গালঝি কলেজে রণে ভঙ্গ দিল এসএফআই।
শাসক দলের ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে ওই কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াল তারা। ফলে সেখানে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে টিএমসিপি, ৩১-০। অন্য দিকে, বেতাই বি আর অম্বেডকর কলেজেও ৩৯-০ ভোটে জয়ী হল টিএমসিপি। জেলার অন্য প্রান্তে হরিণঘাটা কলেজে টিএমসিপি’র গোষ্ঠী বিবাদ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেখানে ৪৬টি আসনের মধ্যে ৩৯টি আসনেই পাল্টা প্রার্থী দিয়েছিল টিএমসিপি’র ‘বিক্ষুব্ধ’ গোষ্ঠী। তবে ওই কলেজে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ফল ঘোষণা হয় নি। |
জেলার কলেজগুলিতে প্রাক-ভোট সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও এ দিন অবশ্য বড় কোনও গোলমাল হয়নি। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন, “কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্নেই হয়েছে।” নদিয়ার ১৬টি কলেজের মধ্যে ১৪টিতেই বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। ব্যতিক্রম ছিল চাপড়া ও বেতাই-এর ওই দুই কলেজ। প্রার্থী দিতে না পারায় টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল ছাত্র পরিষদ।
চাপড়ার কলেজে তেমন গণ্ডগোল না হলেও এ দিন সকাল থেকে চাপা উত্তেজনা ছিল। কলেজ সংলগ্ন স্কুলগুলিতেও ছুটি দেওয়া হয়েছিল। কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়ক থেকে কলেজ যাওয়ার রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছিল বহিরাগতদের জটলা। এসএফআইয়ের অভিযোগ, এই জটলা থেকেই বহিরাগতরা এসএফআই সমর্থকদের চিহ্নিত করে তাদের কাছ থেকে জোর করে কলেজের পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়েছে। তবে কলেজের বাইরে প্রচুর পুলিশে মোতায়েন করা হয়েছিল। নদিয়ার বেতাই বি আর অম্বেডকর কলেজে এসএফআইকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপির বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে বেতাই বাজারে প্রায় ঘণ্টা খানেক কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। |
এসএফআই-এর জেলা কমিটির সভাপতি কৌশিক দত্ত বলেন, “স্বচ্ছভাবে নির্বাচন হলে আমরা জিতব বুঝতে পেরেই তৃণমূল দুটি কলেজেই আমাদের ছেলেদের লাগাতার হুমকি দিয়েছে।” টিএমসিপির জেলা সভাপতি অয়ন দত্ত পাল্টা বলেন, “হার নিশ্চিত বুঝে ভোট বয়কটের নাটক করে ময়দান ছেড়ে পালিয়েছে এসএফআই।”
|
ছবি: কল্লোল প্রামাণিক ও সুদীপ ভট্টাচার্য। |