বাড়ির উঠোনে মরাই ভেঙে ধান খাচ্ছিল দলমার এক দাঁতাল। শব্দ শুনে তিন বছরের শিশুকে কোলে নিয়ে দরমা দেওয়া বাড়ির বাঁশের দরজার সামনে দাঁড়ান মা। বিশাল চেহারার হাতিটিকে দেখে কেঁদে ওঠে শিশুটি। সেই শব্দেই দরজা ভেঙে শিশু কোলে থাকা মাকে শুঁড়ে আছড়ে পা দিয়ে থেঁতলে মেরে ফেলল সেই দাঁতাল। কোল থেকে ছিটকে
ছবি বাউরি। |
পড়ে মারাত্মক জখম শিশুটিকে ভর্তি করানো হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যালে। মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার কামারডাঙা গ্রামে। মৃতার নাম ছবি বাউরি (২৭)।
এর পরেই ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা দ্রুত হাতির দলকে তাড়ানোর দাবিতে সকালে রামপুর গ্রামের কাছে বাঁকুড়া-বর্ধমান রাস্তা অবরোধ করেন। সকাল ১০টা নাগাদ পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়। গ্রামবাসীর ক্ষোভ, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রায় দেড়শো হাতির একটি দল এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। বন দফতরের কোনও হেলদোল নেই। যার জন্য প্রাণ গেল ওই মহিলার। শিশুটিও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। মৃতার স্বামী গোরাচাঁদ বাউরি বলেন, “বড় ছেলেকে নিয়ে আমি ঘুমোচ্ছিলাম। ছোট ছেলে ও স্ত্রীর বিকট চিৎকার শুনে উঠে দেখি সব শেষ। বাড়ির দরজার কাছে কাতরাচ্ছে ছেলে। |
কিছুটা দূরে স্ত্রীকে টেনে নিয়ে গিয়ে থেঁতলে মেরে চলে যায় হাতিটি।” ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) সুধীরচন্দ্র দাস বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে ওখান থেকে হাতির দলটিকে তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু ফসল বাঁচানোর জন্য গ্রামে গ্রামে ব্যারিকেড তৈরি হওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে দলটি। সে কারণেই মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে গেল। আমরা ওই পরিবারকে সরকারি নিয়ম মতো ক্ষতিপূরণ দেব। শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।” বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “শিশুটির শরীরে চোট রয়েছে। চিকিৎসা চলছে।”
|
হনুমানকে গুলি, গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
পাখি মারার বন্দুকের গুলিতে হনুমানকে মেরে ফেলার পরে গ্রেফতার করা হল এক ব্যক্তিকে। রতন বসাক (সাধক) নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি কাঞ্চননগর ডিভিসি পাড়ায়। উদ্ধার হয়েছে একটি .২২ বোর এয়ার রাইফেল, ১২৫টি ছররা গুলি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বাড়িতে আসা একটি বীর হনুমানকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে তা হনুমানটির মাথায় লাগে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সেটি। কাজটি ভাল হয়নি বুঝতে পেরে রতনবাবু গর্ত খুঁড়ে হনুমানের দেহটি পুঁতে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বর্ধমান বনবিভাগ ও বর্ধমান থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে বনকর্মী এবং পুলিশ পৌঁছলেও রতনবাবুকে পাওয়া যায়নি। পরে বর্ধমানের বন বিভাগের রেঞ্জার নীরদ চট্টোপাধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, রতনবাবু হনুমানটিকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ডিভিসি পাড়া থেকে রতনবাবুকে গ্রেফতার করে। |