দু’দলের সংঘর্ষে মঙ্গলবার দুপুরে উত্তপ্ত হল আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকা। পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে ওই সংঘর্ষ বাধে। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন সোমেন মিত্র। আমহার্স্ট স্ট্রিট কার্যত তাঁর ‘দুর্গ’ বলে পরিচিত। কংগ্রেসের তরফে দাবি, সোমেন মিত্র তৃণমূল ছেড়ে আসার পর থেকেই ওই এলাকায় নানা কারণে ঝামেলা বাধাচ্ছে তৃণমূল। এ দিনের ঘটনাও তারই জেরে। তৃণমূল হামলার দায় চাপায় কংগ্রেসের উপরে।
|
দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, বোমাবাজিতে তপ্ত আমহার্স্ট স্ট্রিট। |
পুলিশ জানায়, দুপুর আড়াইটে নাগাদ প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিট ও নবীনচাঁদ বড়াল স্ট্রিটে ওই সংঘর্ষে জখম হন মিঠুন মণ্ডল নামে এক বাসিন্দা। আহত হন কয়েক জন মহিলাও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “ওই এলাকা সোমেন মিত্রের দুর্গ। কিছু দিন ধরেই ওখানে তৃণমূল গোলমালের চেষ্টা করছে। পুলিশকে কাজে লাগিয়ে আমাদের কর্মীদের উপর চড়াও হচ্ছে। মিথ্যা মামলা করছে। সোমেনের শক্তিশালী দুর্গ ভাঙতেই আজ ওরা বোমাবাজি করে। মিঠুন তারই শিকার।”
পাল্টা অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “আমাদের ছেলেরা পতাকা লাগাচ্ছিল। বোমা মেরে তাদের উপরে হামলা করে সোমেনবাবুর আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই।” তিনি আরও বলেন, “পুলিশ কমিশনার কমিশনার, ডিসি (সেন্ট্রাল) এবং মুচিপাড়া থানার ওসিকে ফোন করে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।”
এ দিন ঘটনাস্থলে যান ডিসি (সেন্ট্রাল) দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ। ঘণ্টাখানেক পরেও এলাকায় পুলিশি টহল ছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে প্রায় চারটি বোমা ফেটেছে। যুগ্ম কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্র বলেন, “দু’টি রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় টহলদারির জোরদার করা হয়।”
অন্য দিকে, মানিকতলায় সিটু ও ডিওয়াইএফের জোনাল অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় বাম যুব সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়, সোমবার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় কেউ সুরেন সরকার রোডে তাদের অফিসে আগুন লাগিয়েছে। এর জেরে এ দিন স্থানীয় বাম কর্মীরা পথ অবরোধ করেন। পুলিশি তদন্তের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ওঠে। |