তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ, ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। সিপিএম অবশ্য ঘটনাটিকে ‘সাজানো’ বলে দাবি করে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মঙ্গলবার সকালে ময়ূরেশ্বরের গোপালনগর মোড়ের কাছের ঘটনা। পুলিশ জানায়, পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই ঘটনায় কালু শেখ নামে এক অভিযুক্ত সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কুনুটিয়া গ্রাম থেকে দুই বোনকে নিয়ে মোটর বাইকে বানাসপুর গ্রামের বাড়ির দিকে ফিরছিলেন তৃণমূল কর্মী রেবিল শেখ। গোপালনগর মোড়ের কাছে এলাকার পঞ্চায়েতে পরাজিত সিপিএম প্রার্থী জমির শেখের নেতৃত্বে আরও চার জন বোমা-বন্দুক নিয়ে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, বিপদ বুঝে রেবিল কোনও রকমে তাঁদের খপ্পর থেকে পালিয়ে যান। একটু এগিয়ে তিনি চিৎকারও শুরু করেন। তাঁদের চিৎকার শুনে বানাসপুর গ্রামের কিছু বাসিন্দা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ লাগোয়া ছোট তুড়িগ্রাম সেচ খালের কাছে কালু শেখ নামে এক সিপিএম কর্মীকে মোটর বাইক-সহ ধরে ফেলে। তাঁরাই কালুকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। স্থানীয় তৃণমূল যুব কর্মী কালীসাধন মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “রেবিল শেখের নেতৃত্বে ওই এলাকায় আমাদের প্রার্থী জিতেছে। সেই আক্রোশেই এ দিন ওরা রেবিলকে খুনের চেষ্টা করে।”
যদিও ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সিপিএমের ময়ূরেশ্বর জোনাল সম্পাদক অরূপ বাগ। তাঁর পাল্টা দাবি, “ওই এলাকায় তৃণমূলই সন্ত্রাস করে এক তরফা ভোট করেছে। ভোটের আগে থেকেই ওই এলাকা থেকে আমাদের কর্মী-সমর্থক গ্রাম ছাড়া। তাঁদেরই এক জন এ দিন কুনুটিয়া গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। বানাসপুর থেকে তৃণমূল কর্মীরাই তাঁকে আক্রমণের চেষ্টা করেন। তারপর সাজানো নাটক করছে।” এ দিকে, পুলিশের দাবি, ধৃতের কাছ থেকে দু’ রাউন্ড গুলি, কিছু বারুদ-সহ বোমা তৈরির সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। |