কোর্টের নির্দেশে ভোটের ফল স্থগিত
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
বীরভূমের মুরারই কবি নজরুল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের ফলাফল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত হয়ে গেল। মঙ্গলবারই ওই কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিমাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “সোমবার কয়েক জন ছাত্র আমাকে হাইকোর্টের একটি নোটিস ধরিয়ে দেয়। ওই নোটিসে কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সদস্যদের জয়ের সার্টিফিকেট দেওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনে এ দিন কোনও ফল ঘোষণা করিনি।”
কলেজের ছাত্রপরিষদ নেতা মাসিকুল ইসলাম বলেন, “তৃণমুল ছাত্রপরিষদের বাধায় আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা গত ২১ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র তুলতে পারেননি। তার জেরে কলেজের ১৪ জন ছাত্রপরিষদ সমর্থক গত ২৪ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় হাইকোর্টের ৭ নম্বর কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের মহামান্য বিচারক ওই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।” ছাত্রপরিষদের পক্ষে মামলার আইনজীবী প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “মাননীয় বিচারক অশোককুমার দাস অধিকারী সোমবার ওই নির্দেশ দেন।” তাঁর দাবি, “২১ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র তোলার দিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত তৃণমূল ছাত্রপরিষদের কর্মী-সমর্থকেরা কলেজের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। কলেজের অধ্যক্ষ, থানার ওসি, বিডিও সকলেই কলেজে উপস্থিত থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ-ই তালা খোলার চেষ্টা করেননি। যার জন্য ছাত্রপরিষদের কর্মী-সমর্থকেরা মনোনয়নপত্র তুলতে পারেননি। এর জন্য আমার মক্কেলরা সংশ্লিষ্ট বিডিও, কলেজের অধ্যক্ষ, সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আধিকারিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় ইনচার্জকে দায়ী করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।”
মুরারই ১ বিডিও আবুল কালাম বলেন, “ছাত্র সংসদের নির্বাচন কলেজের নিজস্ব ব্যাপার। আইন শৃঙ্খলার অবনতি যাতে না ঘটে, তা আমরা দেখি। কলেজ গেটে তার বিষয়ে আমি যা বলার অধ্যক্ষকে দেওয়া রিপোর্টেই বলেছি। এর বেশি আমি কিছু বলব না।” টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি সুরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু রেখেছিলাম। ছাত্রপরিষদ যদি আইনের দ্বারস্থ হয়ে থাকে, তাহলে আমরাও হব।” |