প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস পড়তেই পশ্চিমবঙ্গের পিকনিক স্পটগুলিতে বহু মানুষ ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে পিকনিক করতে যান। পিকনিকের মরসুম চলে পুরো জানুয়ারি মাস। বিগত কয়েক বছরে পিকনিক স্পটগুলিতে অশ্লীল আচার-আচরণ ক্রমশ বাড়ছে। বেশ কিছু দল ছোটগাড়িতে তিন-চারটে সাউন্ডবক্স লাগিয়ে উচ্চস্বরে গান চালিয়ে অশ্লীল ভাবে নাচানাচি, সঙ্গে মদ্যপানও প্রকাশ্যে চলছে। |
তদুপরি পিকনিকের পর জায়গাটা জঞ্জালে ভরে যায়। মহিলাদের কটূক্তি করতেও শোনা যায়। ফলে, পরিবার নিয়ে যাঁরা বনভোজনে যান তাঁরা চরম অস্বস্তিতে পড়েন। এই নিয়ে নানা অশান্তিও হয়। অনেক সময় সম্মানহানির ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পান না। বেশির ভাগ পিকনিক স্পটে কোনও পুলিশকর্মী দেখা যায় না। পিকনিক স্পটগুলিতে জোরে গান বাজানো, অশ্লীল নাচ ও মদ্যপান নিষিদ্ধ হোক। পিকনিকের পর যাতে জায়গাটা জঞ্জালমুক্ত থাকে, তারও ব্যবস্থা হোক। এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রচার চাই। পিকনিক স্পটগুলিতেও বড় বোর্ড লাগিয়ে নিষেধাজ্ঞাগুলি জানানো হোক। জনগণকেও সচেতন হতে হবে, যাতে এক জনের আনন্দ অন্যের নিরানন্দের কারণ না-হয়। পুলিশ প্রশাসনকেও অশ্লীলতা রোধে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।
বিকাশ রায়। কৃষ্ণনগর, নদিয়া |