সদাইপুরে পাঁচ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও তাদের উত্যক্ত করার অভিযোগে ধৃত তিন জনকে সোমবার সিউড়ি আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক দু’জনকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল-হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আর এক জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে একই তারিখ পর্যন্ত বহরমপুরে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সদাইপুর থানার মধ্যে থাকা পারুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকার নবম ও একাদশ শ্রেণির পাঁচ ছাত্রী টিউশন পড়তে রাজনগরের তাঁতিপাড়ায় গিয়েছিল। অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে বীরনারায়ণপুর জঙ্গেলে তাদের পথ আটকায় আতার আলি, তাজ মহম্মদ ও ঘোলো বছরের তরুণ সাকিম খান। তারা ছাত্রীদের কুরুচিকর মন্তব্য করে এমনকী হাত ধরে টানাটানি করে বলে অভিযোগ। চিৎকারে দু’ চার জন লোক ছুটে আসায় অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। তবে ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই লোকজন ধাওয়া করে অভিযুক্তদের ধরে ফেলে। মারধরও করা হয়। পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের বাড়ি দুবরাজপুর থানার ঘাটগোপালপুরে। ধৃতদের টিআই প্যরেডের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। বাসিন্দারা বলছেন, এমনিতেই দুবরাজপুর ব্লকের মধ্যে থাকা পারুলিয়া পঞ্চায়েতের রাস্তাঘাট ভাল। তবে খুব ফাঁকা ফাঁকা। পঞ্চায়েত এলাকায় মাধ্যমিক স্কুল থাকলেও উচ্চমাধ্যমিক পড়তে বেশ কয়েক কিলোমিটার যেতে হয়। ফাঁকা রাস্তা ও জঙ্গলের মধ্য দিয়েই, এমনকী পঞ্চায়েত এলাকার মাধ্যমিক স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে একই ভাবে জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। অভিভাবকদের আশঙ্কা, এ ভাবে পড়াশোনা করতে যাওয়ার পথে মেয়েরা আক্রান্ত হলে স্কুলে পাঠাব কী করে? দুবরাজপুরের বিডিও কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সদাইপুর থানা, স্কুল, অভিভাবক সকলের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।” |