গত মঙ্গলবার শক্তিপুরে দলীয় সমাবেশে কান্দি মাস্টার প্ল্যান নিয়ে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। তার ঠিক তিন দিন পর শুক্রবার শক্তিপুরে সেই একই মাঠে কংগ্রেসের পাল্টা সমাবেশে অধীর চৌধুরী বলেন, “৪৩৯ কোটি টাকার মধ্যে রাজ্যকে ১০৯ কোটি টাকা দিতে বলেছে কেন্দ্র। কিন্তু প্রকল্পটি মুর্শিদাবাদ জেলায় হবে, সেই কারণে রাজ্য ওই টাকার ব্যাপারে উচ্চবাচ্য করছে না।”
শুক্রবার বাজারসৌ থেকে শক্তিপুর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় পদযাত্রা করেন অধীর চৌধুরী-সহ কংগ্রেস নেতারা। গত মঙ্গলবারের সভায় অধীর চৌধুরীকে ‘হাফপ্যান্ট’ মন্ত্রী বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দুবাবু। এ দিন তারই প্রত্যুত্তরে অধীর চৌধুরী বলেন, “কংগ্রেসের হাত ধরে কেন্দ্রে তৃণমূলের ৬ জন ‘হাফপ্যান্ট’ মন্ত্রী, এক জন ফুলশাড়ি পরা ও দু’ জন ফুলপ্যান্ট পরা মিলে মোট তিন জন পূর্ণ রেলমন্ত্রী ছিলেন।” তবে সেই সঙ্গে রেল প্রতিমন্ত্রীর অভিযোগ, সেই নেতারা মুর্শিদাবাদ জেলার জন্য কিছুই করেননি। |
নিজেকে বিপিএল মন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করে তাঁর সংযোজন, “এই সামান্য কয়েক মাসের মধ্যে পলাশি থেকে জিয়াগঞ্জ পর্যন্ত রেলের ডবল লাইন ও কাটোয়া থেকে ফরাক্কা পর্যন্ত রেল লাইনের বৈদ্যুতিকরণের কাজ শুরু করে দিয়েছি।”
তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর মঙ্গলবারের সভাতেই লোকসভা ভোটের পর অধীর চৌধুরীকে ‘মুরগির খাঁচা’-য় পোরার ‘সতর্কবার্তা’ দিয়েছিলেন। এ দিন রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী লোকসভা ভোটের পর হুমায়ুনকে ‘মুর্শিদাবাদ ছাড়া’ করার কথা শোনান।
তৃণমূলের সমাবেশের জমায়েত দেখে উচ্ছ্বসিত মন্ত্রী সুব্রত সাহা সে দিন বলেছিলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলার কংগ্রেস নেতারা বলেন তৃণমূলকে এ জেলায় দূরবীন দিয়ে দেখতে হবে। সেই দূরবীনওয়ালাদের বলছি, জেলার একটি কোণে শক্তিপুরের সমাবেশে আজ কত লোক! দেখে যান।’’ কংগ্রেসের এ দিনের মাঠ উপচানো ভিড়ের দিকে তাকিয়ে অধীর চৌধুরীর পাল্টা, “জনস্রোত দেখে মনে হচ্ছে শক্তিপুরে আজ যেন ঈদ, দুর্গোৎসব! ওঁরা ৪টে জেলা নিয়ে সমাবেশ করেছিল। আমাদের সমাবেশ ৪টি ব্লক নিয়ে। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত শক্তিপুরে এত বড় জমায়েত হয়নি।”
এ দিন তৃণমূল, আরএসপি এবং সিপিএম থেকে প্রায় ৩০০জন কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দেন। |