সাধনায় সিদ্ধিলাভ, পুরস্কার
ইষ্টসাধনার দুষ্কর ব্রতের সিদ্ধিলাভ ঘটল স্বীকৃতিলাভের মধ্য দিয়ে। ‘নির্মল প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৩’ পুরস্কার পেল হলদিবাড়ি চক্রসম্পদ কেন্দ্রভুক্ত বানাচাঁদ নিম্নবুনিয়াদি প্রাথমিক স্কুল। ইট, কাঠ, পাথরের গৌরব ছাড়িয়ে বিদ্যালয়ের প্রসন্ন, নির্মল পরিবেশই যে শিশুমনের প্রসাধন ও প্রসাদনের মুখ্য ব্যাপারএ রকম একটা দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই উঠে এসেছে নির্মল বিদ্যালয়ের পুরস্কার প্রদানের ভাবনা। সুচারু পরিবেশ, পারিপাট্য, শিশুমনস্তত্ত্বের প্রতি নজর এবং তদনুযায়ী শিক্ষণ প্রক্রিয়ার মৌলিক ও সৃজনশীল সযত্ন প্রয়াস ঋদ্ধ এই শিশু শিক্ষাঙ্গনটি প্রকৃত অর্থেই শিশুমঙ্গল প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠছে বললে অত্যুক্তি হয় না। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার সীমান্ত ঘেঁষা প্রান্তিক ক্ষুদ্র শহর হলদিবাড়ি। অনেক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমন একটি প্রত্যন্ত এলাকায় এ রকম সৌষ্ঠবমণ্ডিত শিশুতোষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক পা এক পা করে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে আজকের জায়গায় দাঁড়িয়েছে।
১৯৫৮ সালে এর যাত্রা শুরু। স্কুল তৈরিতে প্রয়াত মালচাঁদ ঝাওরের আর্থিক অনুদান ও শহরে শিশুশিক্ষণের অপ্রতুল ব্যবস্থা দূরীকরণে তাঁর অক্লান্ত নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টার নিরিখে বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা সমিতি ‘হলদিবাড়ি টাউন প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নাম বদলে প্রয়াত মালচাঁদ ঝাওরের স্বর্গীয় পিতা বানাচাঁদ ঝাওরের স্মৃতি রক্ষার্থে বানাচাঁদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নামকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। শহরের বিশিষ্ট বিদ্যোৎসাহীদের উদ্যোগে ও অবদানে বিদ্যালয়টির পথ চলা শুরু হলেও মাঝে দীর্ঘ দিন সুস্থ পরিচালন ও মনস্কতার অভাবে গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। মলিন পরিবেশ হতশ্রী অবস্থায় কোনও রকমে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার এক দায়সারা মনোভাবই প্রকট হয়ে দাঁড়ায়। বিদ্যালয়ে বর্তমান প্রধানশিক্ষক অমিত রক্ষিত হাল ধরার পরই বলতে গেলে বিদ্যালয়ের খোলনলচে পাল্টে যায়। অমিতবাবু, সহযোগী শিক্ষক-শিক্ষিকা, পরিচালন সমিতির সুসংহত কর্মযোগে বিদ্যালয়টির বলতে জন্মান্তর ঘটে। বিদ্যালয় চত্বরে ঢোকা মাত্রই চোখে পড়ে অভিনব শিশুবান্ধব পরিবেশ।
রবীন্দ্রনাথের শিশুশিক্ষার ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে বিদ্যালয়ের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে। মুক্তমঞ্চের সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই শেখা যাবে বাংলা, ইংরেজিতে সাতটি বারের নাম। কক্ষে ঢোকার পথে চোখে পড়বে মনীষীর বাণী, মেঝেয় জ্যামিতিক চিত্র। দেওয়ালে জাতীয় প্রতীক আর স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করার সচিত্র নির্দেশ। জানলার গ্রিলে ইংরেজিতে আর বাংলায় বর্ণমালা।
‘আমাদের যেমন খেলা তেমনই পড়া’পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তুলতে সাপ লুডো খেলা কেন্দ্র করে তৈরি চার্টখেলার ছলে শেখার এক অনবদ্য উদাহরণ। ওঠা, বসা, চলা, দেখা আর খেলার মধ্য দিয়ে অজ্ঞাতসারেই ঘটে চলেছে শিশু মনের বিকাশ ও বোধোদয়। ছাত্রছাত্রীর জন্য পৃথক শৌচাগার, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা। মেডিক্যাল কর্নার ও সর্বোপরি প্রশান্ত পরিচ্ছন্ন পরিবেশতাই সব মিলিয়ে বানাচাঁদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘নির্মল প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৩’ পুরস্কার যোগ্য পাত্রে যোগ্য সম্মান।

জন্মোৎসব
সারা দিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস পালন করল জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন। সকালবেলা মিশনের সম্পাদক অমায়ানন্দ আশ্রম প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলন করেন। সমবেত হয় শহরের সতেরোটি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। ছিল পুলিশ ব্যান্ড। আশ্রম প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন স্থান পরিক্রমা করে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ছাত্র ও পুলিশ ব্যান্ডের সঙ্গে শোভাযাত্রায় ছিল সারদা সঙ্ঘের মহিলাদের সঙ্গীত। সারদা শিশুতীর্থের ছাত্রছাত্রীরা উপহার দিল দুটি ট্যাবলো। স্বামীজি, ঠাকুর ও মা-এর কথাবার্তর কিছু অংশ অভিনয় করে দেখাল তারা।
লেখা এবং ছবি সুদীপ দত্ত।
অন্য ট্যাবলোটিতে দেখা গেল পঞ্চবটীর নীচে ঠাকুর বসে। পালকি আরোহী বিবেকানন্দকে দেখা গেল শোভাযাত্রায়। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল স্বামীজির বাণী সংবলিত প্ল্যাকার্ড, গেরুয়া পতাকা। শোভাযাত্রা আশ্রমে ফিরে আসার পর প্রত্যেককে দেওয়া হয় স্বামীজির ছবি সংবলিত ব্যাচ ও ‘অমৃতবাণী’। ছিল জলযোগের ব্যবস্থাও। এর পর সমস্বরে উচ্চারিত হয় স্বামীজির স্বদেশমন্ত্র। সম্পাদকের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পর স্বামীজি সম্পর্কে বক্তব্য রাখে পড়ুয়ারা। যুব দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন অক্ষয়ানন্দ।

যতীন্দ্রনাথ
তুফানগঞ্জের রূপকার যতীন্দ্রনাথ সিংহ সরকারের ৯৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে একটি আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তুফানগঞ্জ শহরে কমিউনিটি হলে। স্থানীয় ডজন খানেক বিদ্যালয়ের স্থাপয়িতা আর গোটা তুফানগঞ্জ জুড়ে সমবায় আন্দোলনের পথিকৃৎ ছাড়াও দেওচড়াই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রাক্তন বিধায়ক (১৯৫২-৬২) যতীন্দ্রনাথের অবদান ছড়িয়ে রয়েছে মহকুমা জুড়ে। তাই ওই আলোচনাচক্রে আলোচকদের বক্তব্যে তাঁকে খোঁজার চেষ্টা লক্ষ করা গিয়েছে। তাঁর জন্মদিনে সুদৃশ্য একটি স্মরণিকা প্রকাশ করলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক আনন্দগোপাল ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ওই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন রাজবংশী আকাদেমির চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ বর্মন, রামঅবতার শর্মা, আবদুর গফুর মিঞা, উমাপদ রক্ষিত প্রমুখ বিদগ্ধ ব্যাক্তিত্ব। আলোচনাচক্রের আয়োজক যতীন্দ্রনাথ সিংহ সরকার স্মৃতি রক্ষা কমিটি।

লেখা ও ছবি: অনিতা দত্ত

ক্যালেন্ডার
কোচবিহার দিনহাটা বয়েজ রিক্রিয়েশন ক্লাব সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন করছে। বছরভর কর্মসূচি পালন করবে সংস্থা। এ উপলক্ষে সংস্থার তরফে প্রকাশিত হয় ‘কর্মসূচি ক্যালেন্ডার’। জানুয়ারি ২০১৪-ফেব্রুয়ারি ২০১৫ প্রতি মাসে কর্মসূচির উল্লেখ রয়েছে ক্যালেন্ডারে। আছে প্রস্তাবিত স্থায়ী প্রকল্পের উল্লেখ। ক্যালেন্ডার মাধ্যমে কর্মসূচি প্রকাশের এই অভিনব উদ্যোগ সাধুবাদযোগ্য।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.