আজ দ্বিতীয় ওয়ান ডে-র আগে ধোনিদের রোগ বেশি, ওষুধ কম
এই টিমটায় ‘কর্মখালি’
নোটিস পড়ল বলে
কিছু ভারতীয় ক্রিকেটার বারবার ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকাচ্ছে। দেখতে পাচ্ছে চকচকে চোখ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক জনকে। অপেক্ষারত এই কয়েক জন কিন্তু ভারতীয় টিম থেকে কিছু ক্রিকেটারকে ছিটকে দেওয়ার খুব কাছে চলে এসেছে। ভারতীয় শিবিরের দেওয়ালে হয়তো শিগগিরই ‘কর্মখালি’ বোর্ডটা ঝুলতে দেখা যাবে।
এক জন ব্যাটসম্যান আর এক জন পেসার বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। এরা সুরেশ রায়না আর ইশান্ত শর্মা। আর এদের জায়গা নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে অম্বাতি রায়ডু, বরুণ অ্যারন আর উমেশ যাদব।
রায়নাকে নিয়মিত ভাবে পেসাররা টার্গেট করছে। ওকে ক্রিজে দেখলে পেসাররা স্টাম্প ভুলে ওর পাঁজর বা তারও উপরে তাক করে বল করছে। অনসাইডের বাউন্ডারি লাইনের ধারে থাকা ফিল্ডাররা ঘোরাফেরা করে ওর ক্যাচ লোফার জন্য। প্রতিভাবান এই বাঁ-হাতি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে, ওর সময় শেষ হয়ে আসছে।
ইশান্তও নিজের জায়গায় নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। ওয়ান ডে-তে ওর ভাল দিনের চেয়ে খারাপ দিনের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। ওর ফিল্ডিং আর ব্যাটিংও ইশান্তকে কোনও স্বস্তি দিতে পারছে না। ওর ইকনমি আর স্ট্রাইক রেট, দুটো নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। মনে হয় ভারতীয় টিম খুব তাড়াতাড়িই ইশান্তের বিকল্প খুঁজতে নামবে।
জাডেজা আর অশ্বিনের জায়গাও কিন্তু পাথরে খোদাই হয়ে যায়নি। ওরা দু’জনেই অনিশ্চিত জায়গায় রয়েছে। মানছি, ওয়ান ডে-তে ওদের ইকনমি রেট পাঁচের কম, কিন্তু সেটাও স্বস্তির ব্যাপার নয়। মাঝের ওভারগুলোয় টিমের দরকার বেশ কয়েকটা উইকেট। যেটা ওরা দিতে পারছে না। বুধবারের ম্যাচ হ্যামিল্টনে, যেখানকার ছোট বাউন্ডারির মাঠ ওদের জন্য আবার অগ্নিপরীক্ষা নিয়ে হাজির হবে।
শিখর ধবন আর রোহিত শর্মাকে নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। ধবন মাঝে মধ্যেই ভুল বলে পুল শট মারার চেষ্টা করছে। আর রোহিত খুব তাড়াতাড়ি খেই হারিয়ে ফেলছে। এই দু’জনই কী অসাধারণ প্রতিভাবান! কিন্তু ওদের আরও ধারাবাহিক হতে হবে। বিশেষ করে বিদেশ সফরে।
সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে, এই টিমটা এখন বিপজ্জনক সমুদ্রে বেহাল হয়ে খাবি খাচ্ছে। মাত্র দু’এক জন ব্যাটসম্যান রান তুলছে। টপ আর লোয়ার অর্ডার বারবার বিধ্বস্ত হচ্ছে। বোলাররা এত রান দিয়ে ফেলছে যে, ওদের দিয়ে কোনও কাজই হচ্ছে না। ঈশ্বর না করেন, কোহলি আর শামিও এই ভাইরাসের শিকার হয়ে পড়ুক!

নিউজিল্যান্ডে এত পাটা পিচ দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। নেপিয়ারের মতো হ্যামিল্টনেও যদি এ রকম পাটা পিচ হয়, ভারতের জেতার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.