|
|
|
|
আশার গান, শর্মিলার প্রদীপ |
চার দিনের বিনোদন উৎসব। কবে? কোথায়? খোঁজ নিল আনন্দplus |
দুই নারী। একসঙ্গে। এক মঞ্চে। বৃহস্পতিবার রাতে।
তাঁরা কেউই কলকাতার বাসিন্দা নন। তবু এ শহরের সঙ্গে অন্তরের যোগ ওতপ্রোত।
এক জন শচীন দেব বর্মনের পুত্রবধূ। মোহময়ী গায়িকা। অন্য জন ঠাকুর পরিবারের মেয়ে। সত্যজিৎ রায়ের ছবির নায়িকা।
আশা ভোঁশলে ও শর্মিলা ঠাকুর।
কী কারণে তাঁরা একসঙ্গে, এক মঞ্চে? উদ্দেশ্য এক বড়সড় জলসায় অংশগ্রহণ। প্রথম দিনে শর্মিলা ঠাকুর উদ্বোধনী প্রদীপ জ্বালাবার পর গুণিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। আর তার পরেই থাকবে আশার গান। |
|
|
আশা ভোঁশলে |
শর্মিলা ঠাকুর |
|
আশা ভোঁশলে কলকাতায় অনুষ্ঠান বহু দিন ধরেই করেছেন। কিন্তু এই জলসায় তাঁর গানের একটা স্বাতন্ত্র্য আছে। তিনি গাইবেন শুধুমাত্র রাহুল দেব বর্মনের গান। হঠাৎ শুধু রাহুলের গান কেন? উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক সুজিত বসু বললেন, “প্রত্যেক বছর আমাদের এই সময় অনুষ্ঠান হয়। তবে এ বার আমরা চেয়েছিলাম আর ডি বর্মনকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাব। সেখানে গান গাইবেন আশাজি। দেখা হতে কিন্তু উনি বললেন, ‘রাহুলকে যদি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতেই হয়, তো অনুষ্ঠানের নাম থাকুক ‘রাহুল কী আশা’।”’
আশার মেহফিলে হয়তো শোনা যাবে রাহুলের সুরের নস্টালজিয়ায় মাতানো ‘পিয়া তু অব তো আ যা’, ‘দম মারো দম’ থেকে ‘মেরা কুছ সামান’, কিংবা ‘ও মারিয়া’ এরকমই মাদকতাময় কিছু গান। আর বাংলা গানের তালিকায়? ‘সন্ধেবেলায় তুমি আমি’, ‘মহুয়ায় জমেছে মউ গো’, ‘চোখে চোখে কথা বল’ এমনই আরও কত গান যা বাঙালিকে আবারও ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সত্তর দশকের প্রেমের সুরে আর ভাষায়। আভাস দিচ্ছেন আয়োজক। আশার সঙ্গে কিশোরের কণ্ঠের দ্বৈত গানগুলি গাইবেন বাবুল সুপ্রিয়। বহুবছর বাদে আশা-বাবুল একমঞ্চে।
চার দিনের মাল্টিস্টারার জলসার দ্বিতীয় দিনের শিল্পী কুমার শানু, কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। তৃতীয় দিনে অরিজিৎ সিংহ। চতুর্থ দিনে শান। আর মমতা শর্মা।
অনুষ্ঠানের নাম ‘উৎসব ২০১৪’। শুরু ২৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে পাঁচ হাজার শ্রোতার জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠান কিন্তু সম্পূর্ণ আমন্ত্রণমূলক।
শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেট গ্রাউন্ড আপাতত রাহুলের আশার অপেক্ষায়.... |
|
|
|
|
|