টাটকা খবর
ধর্না প্রত্যাহার করলেন কেজরিওয়াল
সোমবার থেকে লাগাতার টানাপোড়েনের পরে অবশেষে মঙ্গবার সন্ধ্যায় রেল ভবনের সামনে থেকে ধর্না প্রত্যাহার করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ধর্নাস্থল থেকে কেজরিওয়াল জানান, তাঁদের দাবি আংশিক মেনে নেওয়ায় তিনি ধর্না প্রত্যাহার করলেন। লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জং-এর আর্জি মেনেই এই ধর্না বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ধর্নাস্থলের কাছে ‘আপ’ সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িত পুলিশ আধিকারিকদের সাসপেন্ডের দাবিও জানান তিনি। রেল ভবনের কাছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেজরিওয়াল ঘোষণা করেন, ওই অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। সূত্রের খবর, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই অভিযুক্ত আধিকারিকদের ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে ‘শান্তিপূর্ণ ধর্না’ বদলে যায় বিশৃঙ্খলায়। মঙ্গলবার রেল ভবনের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আম আদমি পার্টির সমর্থকেরা এগোতে গেলে দিল্লি পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করে পুলিশের পাল্টা অভিযোগ ছিল, কেজরিওয়ালের ধর্নাস্থলে এগোনোর সময় ‘আপ’ সমর্থকেরা তাঁদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। পরিস্থিতি সামলাতেই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হন তাঁরা। মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পুলিশ ও ‘আপ’ কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি এবং মারপিটেরও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় এক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। অন্য দিকে ‘আপ’-এর অভিযোগ, এই বিক্ষোভ ‘সৃষ্টি’-তে জড়িত অন্য রাজনৈতিক দল। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ‘আপ’ সমর্থকেরাও।
খোলা আকাশ, প্রচন্ড ঠান্ডা এবং তার সঙ্গে বৃষ্টি— এ সব উপেক্ষা করেই সোমবার থেকে রাতভর রেল ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মঙ্গলবার সকালেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন তিনি। আলোচনার সমস্ত পথকে দূরে সরিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, “মহিলাদের সুরক্ষার বিষয়টি কোনও ভাবেই আলোচনার মাধ্যমে মেটানো সম্ভব নয়। দিল্লিতে মহিলাদের নিরাপত্তার কথা না ভেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী ভাবে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন?” সোমবারের মতো এ দিনও প্রচুর সমর্থক রেল ভবনের সামনে হাজির হন। কেজরিওয়াল এ দিন বলেন, “আমাদের দাবি না মানলে রাজপথে সমর্থকদের বন্যা বইয়ে দেব।” ধর্নাস্থল যন্তর-মন্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ধর্নাস্থল উনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ঠিক করার কে?”
রাতভর দিল্লির রেল ভবনের সামনে অবস্থান আপ নেতা-সমর্থকদের। ছবি: পিটিআই।
‘টিম কেজরিওয়াল’-এর অনড় সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব কংগ্রেস। ধর্নায় বসার জন্য কেজরিওয়ালকে ভর্ত্সনাও করে কংগ্রেস নেতৃত্ব। কেগ্রেসের মুখপাত্র মিম আফজল বলেন, “কেজরিওয়ালের এই সিদ্ধান্তে জনগণের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছচ্ছে। তারা এটা মেনে নেবে না।” তিনি আরও জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে য ধরনের কাজ করছে আম আদমি পার্টি, তাতে তাদের সরকার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। আবার জয়রাম রমেশ এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “আপ যদি এই কার্যকলাপ বজায় রাখে তা হলে দিল্লিতে তাদের সমর্থনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হবে।”

দীর্ঘ বিলম্ব, ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড মকুব করল সুপ্রিম কোর্ট
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় দীর্ঘ বিলম্বের কারণ দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার ১৫ জন আসামীর মৃত্যুদণ্ড মকুব করল। তাঁদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়েছে। চন্দনদস্যু বীরাপ্পনের চার সঙ্গী এই মামলা করেন। এই চার জন ২০০৪-এ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। ন’বছর পরে, ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি তাঁদের আবেদন প্রত্যাখান করেন। সুপ্রিম কোর্টের মতে, কোনও আসামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় এই ধরনের বিলম্ব আসলে নিষ্ঠুরতা। পাশাপাশি, এই বিলম্ব সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ২১ নম্বর ধারার পরিপন্থী। এই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখানের ১৪ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত আরও জানিয়েছে, মানসিক রোগ এবং দীর্ঘ দিন পৃথক সেলে বন্দি থাকার কারণে কারও মৃত্যুদণ্ড মকুব করা যেতে পারে। রাজীব গাঁধী হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন অভিযুক্তও প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন। ১১ বছর পরে, ২০১১-এ রাষ্ট্রপতি তাঁদের আবেদন প্রত্যাখান করেন। তাঁরাও এ নিয়ে মামলা করেছেন। এই রায় সেই মামলাতেও প্রভাব ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

পঞ্জাব সীমান্তে ১৮০ কোটি টাকার মাদক-সহ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার
দু’টি পৃথক ঘটনায় পাকিস্তানের গা-ঘেঁষা পঞ্জাব সীমান্ত এলাকা থেকে ১৮০ কোটি টাকা মূল্যের মাদক-সহ প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, ওই সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র ও মাদক পাকিস্তান থেকে এ দেশে চোরাচালান করা হয়েছে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে, মঙ্গলবার ভোরে অমৃতসরের নৌশেরা ঢালা গ্রামে। কাকভোরে পঞ্জাব সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ও পাশে অস্বাভাবিক ভাবে নড়াচড়া হওয়ায় বিএসএফ আধিকারিকদের সন্দেহ হয়, চোরাচালনকারীরা বেড়ার ও পাশ থেকে এ পারে কিছু পাচারের চেষ্টা করছে। সে সময় চোরাচালানকারীদের বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় চোরাচালানকারীরা। এর পর ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ২০ প্যাকেট হেরোইন, ১টি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন-সহ ১২ রাউন্ড গুলি এবং পাকিস্তানের সিম কার্ড ভরা ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। অন্য একটি ঘটনায় ফিরোজপুর সেক্টর থেকে ১৬ প্যাকেট হেরোইন, ১টি পিস্তল-ম্যগাজিন এবং ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

অস্ট্রেলীয় ওপেনের ডাবলসে হার সানিয়ার
অস্ট্রেলীয় ওপেনের ডাবলস থেকে ছিটকে গেলেন সানিয়া মির্জা-কারা ব্ল্যাক জুটি। মঙ্গলবার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে সারা ইরানি-রবের্তা ভিঞ্চির কাছে সানিয়ারা হারলেন ২-৬, ৬-৩, ৪-৬ সেটে। বিশ্বের এক নম্বর ইতালীয় জুড়ির বিরুদ্ধে তৃতীয় ও নির্ণায়ক সেটে ম্যাচ জেতার সুবর্ণ সুযোগ ছিল। কিন্তু ৪-১-এ এগিয়ে থেকেও টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ বাছাইরা তা কাজে লাগাতে পারেননি। ১ ঘণ্টা ৪৮ মিনিটের লড়াইয়ের পর তাঁরা টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাইয়ের কাছে পরাজিত হন।
মেলবোর্নে পয়েন্ট জেতার পর সানিয়া-ব্ল্যাক জুটি। ছবি এএফপি।
এ দিনের ম্যাচে ইরানি-ভিঞ্চি জুটির ৮৯ পয়েন্টের পাশাপাশি সানিয়া-কারা জুটিও জেতেন ৮১ পয়েন্ট। কিন্তু পুরো ম্যাচে ২৪টি ‘আনফোর্সড এরর’-এর জন্য শেষ পর্যন্ত সুবিধা করতে পারেননি তাঁরা। ৫টির মধ্যে ৩টি ব্রেক পয়েন্ট জিতে প্রথম সেট সহজেই জিতে নেন ইরানি-ভিঞ্চি জুটি। ১১টি উইনার দিয়ে দ্বিতীয় সেটে দুর্দান্ত ভাবে ফিরে আসেন সানিয়ারা। এই সেটে মাত্র ৮টি উইনার মারতে পারেন ইতালীয় জুটি। কিন্তু শেষ সেটে ৪-১ থেকে গেম ৪-৪ করেন ইরানি-ভিঞ্চি জুটি। এই সেটে ৮টির মধ্যে ৬টি ব্রেক পয়েন্ট বাঁচিয়ে ম্যাচ বের করেন নেন তাঁরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.