বালিতে ফাঁকা বাড়িতে চুরি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ফাঁকা বাড়িতে চুরি হল বালির সরখেলপাড়ায়। রবিবার চুরির বিষয়টি টের পান পড়শিরা। পুলিশ জানিয়েছে, রথীন্দ্রনাথ গোস্বামী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে কয়েকটি আলমারি খুলে বেশ কয়েক ভরি সোনা, ঠাকুরের পিতল-কাঁসার বাসনপত্র ও কয়েক হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। শুধু আলমারিই নয়, খাট, ড্রেসিং টেবিল সবই লন্ডভন্ড অবস্থায় ছিল। পরিবারের দাবি, টাকা ও সোনাদানা মিলিয়ে ১০ লক্ষ টাকার জিনিস চুরি গিয়েছে। পুলিশ জানায়, রথীন্দ্রনাথবাবু গত ৭ তারিখ থেকে হাসপাতালে ভর্তি। সে কারণে তাঁর স্ত্রী দেবা গোস্বামী বালিগঞ্জে মেয়ের কাছে থাকছেন। এ দিন অনিমেষ দাস নামে এক প্রতিবেশী দেখেন রথীন্দ্রনাথবাবুর বাড়ির পিছনের দরজা খোলা। ভিতরে ঢুকে দেখেন সামনের কোল্যাপসিবল গেট ও কাচের দরজার তালা ভেঙে নর্দমায় পড়ে রয়েছে। রথীন্দ্রনাথবাবুর এক ভাইকে খবর দেন তিনি। তাঁরাই রথীন্দ্রনাথবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, মোট সাতটি আলমারি খোলে চোরেরা। বাড়ির সব আলমারির চাবি একটি কৌটোয় রাখা ছিল। সেখান থেকেই চাবি নেওয়া হয়। ঠাকুরঘরে ঢুকে বাসনপত্র নেওয়ার পাশাপাশি খাবারও খায় চোরেরা। ঠাকুরঘরে একটি খৈনির কৌটো ও গেঞ্জি পেয়েছে পুলিশ। তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরিচিত কেউই এতে যুক্ত। রথীন্দ্রনাথবাবুরা যে বেশ কিছু দিন বাড়িতে নেই, তা-ও জানা ছিল চোরেদের। রথীন্দ্রনাথবাবুর এক মেয়ে বলেন, “সব আলমারিই চাবি দিয়ে খোলা হয়েছে। পরিচিত লোক ছাড়া কী ভাবে জানবে চাবি কোথায় আছে?” হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, “ওই বাড়িতে রোজ যাঁরা নানা কাজে আসতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
|
দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন পাণ্ডুয়া ব্লকের সিপিএমের বেশ কিছু নেতা-কর্মী। রবিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে নতুন দলে যোগদান করেন। তাঁদের নিয়ে একটি মিছিলও করা হয় ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে। মিছিলে ছিলেন রাজ্যের পরিষদীয় সচিব তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তপন দাশগুপ্ত এবং দলের পাণ্ডুয়া ব্লক সভাপতি আনিসুল ইসলাম। তপনবাবুর দাবি, “আমাদের সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে যোগ দিতেই দুই শতাধিক মানুষ সিপিএম ছেড়ে আমাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।” জেলা সিপিএম সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী অবশ্য বলেন, “দল ছেড়ে কেউ বেরোননি। অপপ্রচার হচ্ছে।” |