ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর হাইকমিশনার আসছেন। তাই সদ্য ঢালাই করা হয়েছিল হেলিপ্যাড। তবে শান্তিনিকেতনের পারুলডাঙার সেই হেলিপ্যাডে নেমেই আটকে গেল কপ্টারের পিছনের দু’টি চাকা।
জেলা শহরের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ বাড়াতে স্বল্প খরচে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করেছে পরিবহণ দফতর। এ দিন কলকাতা-শান্তিনিকেতন রুটের কপ্টারে সপরিবারে শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর হাইকমিশনার চন্দ্রনাথ সিংহ। বেলা ১২টা নাগাদ নির্বিঘ্নেই পারুলডাঙার মাঠে নেমে পনে কপ্টারটি। হাইকমিশনারের কনভয় শান্তিনিকেতনের পথে রওনা দিয়ে দেয়। পবনহংসের কপ্টারটি কলকাতা ফেরার তোড়জোড় শুরু করে। আর তখনই বোঝা যায়, বিপত্তি ঘটে গিয়েছে। দেখা যায়, উড়ানের পিছনের দু’টি চাকা সদ্য তৈরি কংক্রিটের হেলিপ্যাডের মধ্যে গেঁথে গিয়েছে।
কেন এমন হল? বীরভূমের জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা বলেন, “ঠিক বুঝতে পারছি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” কলকাতা-শান্তিনিকেতন রুটের প্রথম উড়ানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল বোলপুর স্টেডিয়ামকেই। পরীক্ষামূলক উড়ানের সময়ে সেখান থেকেই উড়েছিল কপ্টার। তাহলে এই রাতারাতি তৈরি করা হেলিপ্যাডে হাইকমিশনারকে নামানো হল কেন? |
জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ পর্ষদের সদস্য দেবব্রত সরকার বলেন, “ওই হেলিপ্যাডটি এখনও কপ্টার ওঠা-নামা করার মতো অবস্থায় এসে পৌঁছয়নি। কিন্তু পবনহংস সংস্থা আমাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই ওই হেলিপ্যাডে কপ্টারটি নামিয়েছেন। ফলে যা হওয়ার, তাই হয়েছে।”
পবনহংস কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ কথা মানতে চাননি। পবনহংসের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার বলেন, “ওই কপ্টার পরিষেবার দায়িত্ব রাজ্যের। হেলিপ্যাড তৈরির দায়িত্বও তাদেরই। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশেই কপ্টার নেমেছিল পারুলডাঙায়। সেখানে হেলিপ্যাডে বিপত্তির দায় রাজ্য সরকারের।”
রাজ্যের পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কপ্টার আটকে যাওয়ার খবর পেয়েই পবনহংসের ইঞ্জিনিয়র এবং বেস ম্যানেজার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। রাতের দিকে কপ্টারের বসে যাওয়া চাকা দু’টি ঠিক ভাবে তোলা গিয়েছে। পুলিশি প্রহরায় কপ্টারটি হেলিপ্যাডেই রয়েছে।
পুলিশের এক কর্তা জানান, এ দিন, পবনহংসের কপ্টারটি বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ প্রথমে বোলপুরের স্টেডিয়ামেই নেমেছিল। কিন্তু সেখানে হাই কমিশনারকে স্বাগত জানানোর মতো কেউ ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় পুলিশ কর্মীদের পরামর্শেই সে’টি উড়ে গিয়েছিল পারুলডাঙায়। আর সেখানে নামতেই সদ্য ঢালাই করা কংক্রিটে গেঁথে যায় তার চাকা। |