মেডিক্যাল থেকে নিখোঁজ দুই রোগী
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ঘনঘন রোগী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুই রোগী নিখোঁজ রয়েছেন। নাম আজিনা বেগম এবং টগরি মণ্ডল। রাতে ওয়ার্ডে থাকলেও এ দিন সকাল থেকে এঁদের খোঁজ মেলেনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পুরো বিষয়টি লিখিত ভাবে পুলিশকে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি, আরও কয়েকজন রোগী ওয়ার্ড থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। হাসপাতালে রক্ষী রয়েছে। ওয়ার্ডে সব সময়ে নার্স-হাসপাতাল কর্মীরা থাকেন। তার মধ্যেই কী ভাবে রোগী নিখোঁজ হচ্ছেন, ইতিমধ্যে সেই প্রশ্ন উঠেছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন বহু মানুষ আসেন। হাসপাতালে ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। ৫৬০টি শয্যা রয়েছে। গড়ে রোগী ভর্তি থাকেন ৭০০-৭৫০ জন। ১৭টি বহির্বিভাগ রয়েছে। দিন পিছু গড়ে রোগী আসেন ৫৩০ জন। জরুরি বিভাগে দিনপিছু গড়ে রোগী আসেন ২২০ জন। ঘনঘন রোগী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন অনান্য রোগীর পরিবারের লোকেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, নজরদারি থাকে। তবে, সবদিকে তো সমান নজর রাখা সম্ভব নয়। তাই এমন ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল সুপার যুগল কর বলেন, “দু’জন রোগী নিখোঁজ রয়েছেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। হাসপাতাল চত্ত্বরে সব সময়ই নজরদারি থাকে। প্রয়োজনে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।”
|
পালস পোলিও নিয়ে বৈঠক
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আগামী রবিবার পালস পেলিও কর্মসূচি রয়েছে। তা সফল করতে বুধবার মেদিনীপুরে এক প্রশাসনিক বৈঠক হয়। ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) বাসব বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা। পশ্চিম মেদিনীপুরে সব মিলিয়ে ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৪ জনের টিকা নেওয়ার কথা রয়েছে। কেন্দ্র রয়েছে ২, ৫৭৫টি। এ জন্য স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবেন ১০, ৩০০ জন। সুপারভাইজার রয়েছেন ৮৯৮ জন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যরাই স্থানীয় কেন্দ্রে গিয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেবন। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ছিলেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুড়, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) কবিতা মাইতি।
|
প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে ‘জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি’ করতে পারবেন বাসিন্দারা। কলকাতা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অধীনে টিম থাকবে ওই চিকিৎসার জন্য। তা ছাড়া খেলাধুলো করতে গিয়ে চোট পেয়ে জখম হলে এখানে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পেতে পারবেন রোগীরা। এ দিন ওই নার্সিংহোমে বিশেষজ্ঞরা অনেককে ওই চিকিৎসা পরিষেবা দেন। প্রত্যেক মাসের মাঝামাঝি এই ধরনের চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তাতে উত্তরবঙ্গ এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে ওই চিকিৎসা পরিষেবা পেতে দূরে কোথায়ও যেতে হবে না বলে তারা দাবি করেন। |