টুকরো খবর
লোকসভায় নতুন মুখ নিয়ে ভাবনায় সিপিআইও
লোকসভা ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছে সিপিএম। সেখানে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও নতুন মুখকেই গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। বাম শরিক সিপিআইয়েও এ বার নতুন মুখ আনার দাবি জোরালো হচ্ছে। সিপিআই এ রাজ্যে তিনটি লোকসভা আসনে লড়ে। তার মধ্যে দু’টি আসন এখন তাদের দখলে রয়েছে। পঞ্চায়েত ও সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলির ফলাফলের প্রেক্ষিতে তিন আসনের মধ্যে কেবল বসিরহাটই অপেক্ষাকৃত ‘ইতিবাচক’। এই অবস্থায় ঘাটালের সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্তকে বসিরহাটে প্রার্থী করার পক্ষপাতী সিপিআইয়ের একাংশ। তবে দলেরই অন্য অংশের মতে, সঙ্কটের সময়ে এ বারের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা। তাই দলের সব আসনেই এ বার নতুন প্রার্থী দেওয়া উচিত। তার মধ্যে অন্তত একটি আসনে মহিলা প্রার্থী দেওয়া হোক, এমনই চাইছে দলের একাংশ। প্রসঙ্গত, পাঁশকুড়ার প্রাক্তন সাংসদ গীতা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে এ রাজ্য থেকে লোকসভার ময়দানে সিপিআইয়ের আর কোনও মহিলা মুখ দেখা যায়নি। সিপিএমের কাছে এ বার একটি বাড়তি আসনও দাবি করতে চাইছে সিপিআই। প্রার্থী বাছাইয়ের সম্ভাব্য সূত্র নিয়ে শনিবার কলকাতায় সিপিআইয়ের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আলোচনায় বসার কথা। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে আজ, শুক্রবার সিপিআইয়ের সমাবেশের জন্য কলকাতায় আসছেন এ বি বর্ধন, সুধাকর রেড্ডি-সহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

ডিগ্রি মেনে শিক্ষিকার বেতন মেটাতে নির্দেশ
২০১০ সালে খড়দহের প্রিয়নাথ বালিকা বিদ্যালয়ে নিউট্রিশনের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন শম্পা দাস নামে এক মহিলা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ফর্ম জমা দেওয়ার সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি (বেসু) থেকে তিনি নিউট্রিশনে এমএসসি পাশ করেছেন। অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে তিনি চাকরি পেলেও তাঁকে এমএসসি ডিগ্রি অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয় না। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়ে দেয়, বেসু-র নিউট্রিশনে এমএসসি-র ডিগ্রি তারা মানে না। ফলে ওই শিক্ষিকা এমএসসি-র বেতন কাঠামো থেকে বঞ্চিত হন। বাধ্য হয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। আবেদনকারীর আইনজীবী এক্রামুল বারি বলেন, বেসু-র মতো একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এমএসসি ডিগ্রি করার পরে স্কুল শিক্ষা দফতর কী ভাবে সেই ডিগ্রিকে অস্বীকার করে, তা বোঝা যাচ্ছে না। বেসুর মতো প্রতিষ্ঠানের যদি এই ডিগ্রি দেওয়ার অধিকার না থাকত, তারা কখনওই নিউট্রিশনে এমএসসি ডিগ্রি দিত না। সওয়াল শুনে বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত বলেন, স্কুল শিক্ষা দফতরের এই গাফিলতি এবং প্রকৃত তথ্য না জানা অমার্জনীয় অপরাধ। ২০১০ সাল থেকে ওই শিক্ষিকার সমস্ত বকেয়া বেতন ৯ শতাংশ সুদ-সহ ফেরত দিতে হবে। এবং তা দিতে হবে এক মাসের মধ্যেই। স্কুল শিক্ষা দফতরের যে কর্তৃপক্ষ এই জাতীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, রাজ্যকে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।

কর্মীকে কাজে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ আদালতের
ইনস্টিটিউট অব সাইকিয়াট্রির কর্মী রমাপ্রসাদ ঘোষকে রাজ্য সরকার হঠাৎ মেখলিগঞ্জে বদলি করেছিল। তাঁর বদলির উপরে স্থগিতাদেশ দেয় রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (স্যাট)। কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, রমাবাবু জোর করে হাজিরা খাতা কেড়ে নেন এবং সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। পুলিশ ওই কর্মীকে গ্রেফতার করে। পরে তিনি জামিন পান। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা হাজতবাসের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। তিনি ফের স্যাটে যান। তাঁর আইনজীবী রাজর্ষি হালদার বলেন, তাঁর মক্কেলকে হাজিরা খাতায় সই করতে দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক কারণে তাঁকে গ্রেফতার করানো হয়। বিচারক জানিয়ে দেন, ওই কর্মী যাতে কাজে যোগ দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সাসপেনশনের সময়কার বকেয়া বেতন দিতে হবে অবিলম্বে। যে-সব কর্মকর্তা তাঁকে সাসপেন্ড করেছিলেন, চিহ্নিত করতে হবে তাঁদেরও।

কংগ্রেস-ত্যাগ মৈত্রেয়ী সাহার
আবার কংগ্রেস-ত্যাগ। এ বার মহিলা কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সভানেত্রী মৈত্রেয়ী সাহা দল ছাড়লেন। এআইসিসি-র সদস্যা মৈত্রেয়ী বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। দু’ এক দিনের মধ্যেই তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। মৈত্রেয়ী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে যে উন্নয়নের জোয়ার চলছে, তাতে সামিল না হয়ে কংগ্রেস রাজ্য রাজনীতিতে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে বলে আমার মনে হয়েছে। সেই উন্নয়নের শরিক হতেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি।”

ভোটকর্মী নিয়ে
যে-সব সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে, তাঁদের লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা যাবে না। ভোটের দিন ঘোষণা না-হলেও সম্প্রতি এই নির্দেশ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, যে-সব সরকারি অফিসার বা কর্মীর বিরুদ্ধে আগের কোনও নির্বাচন কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তাঁদেরও এ বারের ভোটের কাজে যুক্ত করা যাবে না। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত সরকারি কর্মীদের মধ্যে যাঁরা নিজের জেলাতেই কর্মরত অথবা অন্য জেলার বাসিন্দা হলেও যাঁরা একই জেলায় টানা তিন বছর কাজ করছেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁদের বদলি করতে হবে।

পদোন্নতি
বন দফতরের সর্বোচ্চ পদের অন্যতম দাবিদার ছিলেন তিনি। তা-ও সরকার তাঁর পদোন্নতি না করায় সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যালে মামলা করেছিলেন বন কর্তা রাকেশ সিংহ। সেই বিবাদ মিটিয়ে নিয়ে শেষ পর্যন্ত রাকেশবাবুকে বন দফতরের অন্যতম প্রধান মুখ্য বনপাল পদে ফিরিয়ে আনল রাজ্য।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.