বড় বেদনার মতো প্রাণে বাজল চৈতালী চট্টোপাধ্যায়ের ‘কানন জঙ্গল হয়ে গেছে’ নিবন্ধটি (১২-১)। তাঁর অভিজ্ঞতা, আমাদের জননী-জায়া-কন্যা, প্রতিটি প্রজন্মেই সত্য। সমাজে চাইল্ড-অ্যাবিউজ নির্মম বাস্তব। ছেলেদের ক্ষেত্রেও কিন্তু পিসিমা-বিভীষিকা গোছের কাণ্ড ঘটে। হাসির গল্পের খোরাক হয়ে যায় সে সব। প্রায় তিন দশক আগে একটা মারামারিতে জড়িয়ে ঠিক সেই উল্টো অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছিল। |
বধূনির্যাতনের অনেক মামলা মিথ্যা। অনেক ধর্ষণও তাই। এ সব কথার চাপানউতোর আর ভাল লাগে না। দুর্বলের রক্ষাকবচ রূপে রচিত আইনকানুন দুর্জনের দুষ্কর্মের অস্ত্র হয়ে যায়। যা ঘটে বলে রটে, আমরা তাকে অবিশ্বাস করতে শিখি। এর ফলে যে সাধারণ ঘরের অতি সাধারণ মেয়েদের অবস্থান আরও ঢিলে হয়ে যায়, এই কথাটা কেউ বলে না। মেয়েরাও না।
অভিমান এইখানেই। এই সময়ে চৈতালী চট্টোপাধ্যায় আমার প্রিয় কবিদের একজন। কুৎসিতের দায় শুধু পুরুষের? আমাদের বিচারবুদ্ধি ও দৃষ্টিভঙ্গি আবিল করে দেওয়া এত কথায় ভরা মিডিয়া আসলে কাদের সুতোর টানে নাচছে, কারা লাভবান এই ভয় ভয় সমাজব্যবস্থায়, সে সব ভুলভালের দিকে ঠিকঠাক আঙুল কবি-সাহিত্যিকরাও তুলবেন না? ভয় থেকে মানুষের মুক্তির কথা বলবে না কেউ? নারীরা এমন একদেশদর্শী অযৌক্তিক নারীবাদী? কেন?
নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়। রহড়া |