বাসস্টপে দাঁড়িয়ে লোক তোলার সময়ে একটি মিনিবাসের পিছনে সরকারি বাস ধাক্কা মারায় জখম হলেন মিনিবাসটির ১৩ জন যাত্রী। বৃহস্পতিবার সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে তারাতলা টাঁকশালের সামনে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জখম যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। চালক-সহ দু’টি বাসই আটক হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারাতলা টাঁকশালের সামনে ডায়মন্ড পার্ক-হাওড়া রুটের ওই মিনিবাসটিতে যখন যাত্রীরা উঠছিলেন, সে সময়ে আচমকাই ঠাকুরপুকুর-হাওড়া রুটের সরকারি বাসটি এসে তাতে ধাক্কা মারে। জখম হন সরকারি বাসের চালক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সরকারি বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলাতেই এই দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশের সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। দুর্ঘটনার জেরে তারাতলা উড়ালপুলে ঘণ্টাখানেক যানজট হয়। |
সেই দুর্ঘটনাস্থল। —নিজস্ব চিত্র। |
ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ প্রথমে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করতে পারেনি। ফাঁকা ট্যাক্সি ধরে তাঁরাই আহতদের হাসপাতালে পাঠান। পরে অ্যাম্বুল্যান্স এলে বাকি যাত্রীদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। জখম যাত্রীদের অধিকাংশই ডায়মন্ড পার্ক এলাকার বাসিন্দা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সারা রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে কাচের টুকরো। সরকারি বাসটির সামনের কাচ ভাঙা। ভেঙে হেলে গিয়েছে সব সিট। মিনিবাসের চালক তাপস মণ্ডল বলেন, “আমার বাসের সব যাত্রীই কমবেশি জখম হয়েছেন। আমারও পায়ে লেগেছে।”
|
সাসপেন্ড, কোর্টে দারোয়ান |
স্কুল কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড করেছেন। তাই আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক দারোয়ান। বৌবাজার লোরেটো স্কুলের দারোয়ান অর্জুন পাসোয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ছাত্রীরা স্কুলে ঢোকার সময়ে হেসে গুড মর্নিং বলেন। তাই তাঁকে প্রথমে শো-কজ ও পরে সাসপেন্ড করেন কর্তৃপক্ষ। বেতনও দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কুড়ি বছর ধরে কর্মরত অর্জুনবাবু। বৃহস্পতিবার আদালতে তাঁর আইনজীবী সৌমিত্র মুখোপাধ্যায় বলেন, কোনও অভিভাবক অভিযোগ করেননি। তবু অর্জুনবাবুকে সাসপেন্ড করেছে স্কুল, যা করা যায় না। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের স্কুল সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত নয়। ফলে হাইকোর্টে এর বিচার হতে পারে না। সৌমিত্রবাবু বলেন, স্কুল সরকারি মহার্ঘভাতা পায়। তাই সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। শেষে বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত বলেন, হেসে গুডমর্নিং বলাটা সৌজন্য। এর জন্য কী করে শাস্তি হয়, তা খতিয়ে দেখে ২০ জানুয়ারি চূড়ান্ত রায় দেবেন তিনি। |