বিজ্ঞান মেলায় সেরার শিরোপা বিশ্বভারতীর |
পূর্ব ভারতের বিজ্ঞান ও কারিগরী মেলায় ‘প্রযুক্তি প্রয়োগ প্রকল্প’ বিভাগে সেরার শিরোপা পেলেন বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার এই সাফল্যের কথা জানিয়ে বিজয়ী অর্কজিৎ মণ্ডল, অর্ঘ্যপ্রতিম ঘোষ এবং সুচরিতা সরকারকে নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করল বিশ্বভারতীর শিক্ষাভবন। গত ৭-১১ জানুয়ারি এ বছরের বিজ্ঞান ও কারিগরী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিকাল মিউজিয়ামে। সেখানে পূর্ব ভারতের ন’টি রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা যোগ দিয়েছিলেন। |
নতুন ভূমিকায়। বিশ্বভারতীতে চালু হল ১৪ আসনের ব্যাটারি চালিত গাড়ি।
বেঙ্গালুরু থেকে এই গাড়ি আনা হয়েছে। নিজেই চালিয়ে গাড়িটির উদ্বোধন করেন
উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
তিন পড়ুয়ার সাফল্যে বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত বলেন, “ওই তিন পড়ুয়ার এই সাফল্যে আমরা খুশি। আগামী দিনে রসায়ন বিভাগের পাশাপাশি নতুন চালু হওয়া ইন্টেগ্রেটেড সায়েন্স বিভাগের ক্ষেত্রেও আমরা সমান সাফল্য আশা করছি।” পরিবেশ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমানোর জন্য নানা ধরনের বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির ব্যবহার প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু ওই প্রযুক্তিতেও বায়ুমণ্ডলে নতুন করে কিছু পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড ঢুকে পড়ে। এই বিষয়টিই কীভাবে রোখা যায়, তা নিয়েই ভাবনা-চিন্তা শুরু করেন শিক্ষাভবনের রসায়নের ওই তিন স্নাতক স্তরের ছাত্রছাত্রী। তাঁরা বলেন, “আমরা এমন পদ্ধতি খুঁজছিলাম যাতে ওই গ্যাসটির পরিমাণ কমানোই শুধু নয়, পরিবেশে নতুন করে তার কোনও কুপ্রভাব থাকবে না।” তিন জনেই গত এক বছর ধরে এই প্রকল্পটি নিয়ে গবেষণা করছিলেন। কম খরচে প্রকৃতি থেকে চুনা পাথর, সমুদ্রের জল নিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁরা উদ্দীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছেও যান। তাঁদের সেই প্রযুক্তিকেএ বার সম্মান দিল বিজ্ঞান ও কারিগরি মেলা।
|
এখনও পর্যন্ত এটিই বিশ্বের বৃহত্তম রকেট। বিজ্ঞানীদের ভাষায় এর নাম ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম’(এসএলএস)। বানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সুবিশাল এই রকেট পৃথিবীর টান (অভিকর্ষ বল) কাটিয়ে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৩৪ কেজি ওজন বয়ে নিয়ে যেতে পারে কক্ষপথে। তাই কৃত্রিম উপগ্রহকে কক্ষপথে স্থাপন করা থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে নভশ্চরদের পাঠানো, সবেতেই দারুণ পারদর্শী হবে এসএলএস। এমনটাই আশা নাসার ইঞ্জিনিয়ারদের। শুধু তা-ই নয়, এসএলএস-এর হাত ধরেই মঙ্গলে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। স্বপ্ন দেখছেন ফের চাঁদে পাড়ি জমানোরও। |