টুকরো খবর
জমি দখলের অভিযোগ
জোর করে জমি দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই মর্মে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন জমির মালিক। ঘটনাটি বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের সাত্তোরের। ওই ব্লকের শ্রীচন্দ্রপুরের বাসিন্দা সুনীল দাসের অভিযোগ, “বাবা প্রায় তিন দসেক আগে শ্রীচন্দ্রপুর মৌজায় তিন বিঘে জমি পাট্টা পেয়েছিলেন। নির্দলকে (বিক্ষুব্ধ তৃণমূল) সমর্থন করার অবরাধে আমাদেরকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। বহু মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। সাত্তোর বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া শ্রীচন্দ্রপুর মৌজায় থাকা তিন বিঘে জমির ধান তৃণমূলের ওই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লোকজন কেটে নিয়েছে। সাত্তোর অঞ্চল সভাপতি শেখ মুস্তফা এবং তার লোকজন ওই জমিতে মাটি ফেলে দখলের চেষ্টা করছে। আমরা বিষয়টি লিখিত ভাবে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক, পুলিশ সুপার, সিউড়ি মহকুমাশাসক, স্থানীয় বিডিও এবং ব্লক ভূমি ও ভুমি সংস্কার আধিকারিকের দফতরে জানিয়েছি।” অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ মুস্তফা দাবি করেন, “উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার দলের কোনও লোক যুক্ত নয়। পুলিশ-প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক।” পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “এই বিষয়ে আমি কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।”

শেষ হল কেঁদুলি মেলা
সরকারি ভাবে বৃহস্পতিবারই শেষ হয়ে গেল জয়দেব-কেঁদুলি মেলা। তবে এই ভাঙা মেলে এখনও দিন কয়েক থাকাবে। প্রথম দু’দিনের তুলনায় ভিড় কিছুটা কমলেও, শেষ বেলায় মেলা অভিমুখে মানুষের মিছিল অব্যাহত ছিল। সকলেই চেয়েছেন এ দিনটা মেলা ঘুরে বাউল কীর্তনের আসরের শেষ আনন্দটুকু উপভোগ করতে। তবে মঙ্গল ও বুধবার যেমন দিনভর আখড়ায় আখড়ায় বাউল কীর্তনের আসর ছিল বৃহস্পতিবার একবেলা তাতে কিছুটা ছেদ পড়েছিল। দু’ রাত জেগে অনুষ্ঠান করে শিল্পী ও উদ্যোক্তারা কিছুটা ক্লান্ত। অধিকাংশ আখড়াতেই বেজেছে রেকর্ডিং। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে অনুষ্ঠান করার জন্য যে যাঁর মতো কিছুটা জিরিয়ে নিয়েছেন। দুপুরের দিকে অজয়ে স্নান সেরে মেলায় থেকে যাওয়া মানুষজন ভিড় করেছেন অখড়াগুলিতে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই ফের স্বমহিমায় জয়দেব-কেঁদুলি। অজয় পেরিয়ে কাঁকসা থেকে, ইলামবাজার থেকে এবং জয়দেবমোড় থেকে যে রাস্তাগুলি জয়দেব-কেঁন্দুলিতে এসেছে, সেই রাস্তা ধরে মেলা অভিমুখে আসতে শুরু করছেন মানুষজন। কেউ আবার মেলায় পছন্দমতো কেনাকাটা করে বাড়ির পথ ধরেছেন। সন্ধ্যায় আলো জ্বলে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই আবার কানে আসতে লাগল বাউল কীর্তনের সুর। রাত পেরিয়ে শুক্রবার সকালে নগর কীর্তন করে ভেঙে যাবে আখড়াগুলিও। আবার এক বছরের অপেক্ষা।

সর্বধর্ম সম্মেলন
‘নিরাকার এক বহ্মের উপাসনা ব্যাতীত কোনও সম্প্রদায়ের অভীষ্ট দেবতা বা পশু, পাখি, মনুষ্যের কী মূর্তির বা চিত্রের বা কোনও চিহ্নের বা হোম যজ্ঞাদি এই শান্তিনিকেতনে হইবে না’ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই ট্রাস্ট ডিড-এ উল্লেখ রয়েছে। ওই ট্রাস্টের ১২৫ বছর উপলক্ষে ২০ জানুয়ারি বিশ্বভারতীতে হবে সর্বধর্ম সম্মেলন। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানান শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সাম্মানিক সম্পাদক অনিল কোনার। অনিলবাবু জানান, উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের উদ্যোগে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট আয়োজন করছে এই সর্বধর্ম সম্মেলন। শান্তিনিকেতনের উপাসনা মন্দিরের সামনে পুরনো মেলার মাঠে দু’দিনের এই সম্মেলন হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.