শেষ অভিযান হয়েছিল দু’বছর আগে। ‘রাজার শহর’ কোচবিহারের ফুটপাথ ও রাস্তা জবরদখল মুক্ত করতে তার পরে অভিযান তো দূর অস্ৎ, নিয়মিত নজরদারিও হচ্ছে না বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। আর সেই সুযোগেই ফের শহরের নানা ব্যস্ত রাস্তার ফুটপাথ দখল হয়ে গিয়েছে। রীতিমতো শেড করে তৈরি হয়েছে দোকান। ঘিঞ্জি রাস্তার একাংশ দখল করে হরেক ব্যবসার পসরা বসছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যানজট সমস্যা। যদিও পুরসভা বা পুলিশ-প্রশাসন কারও তরফে সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা।
গত বছর দুর্গাপুজোর আগে শহরে জবরদখল সরানোর জন্য পুরসভা উদ্যোগী হয়েছিল। যদিও, পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে পুর কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবিত বৈঠক হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তারপর থেকে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। সম্প্রতি জানুয়ারি মাসে অভিযান চালানর পরিকল্পনা নিতে পুরসভার তরফে সদর মহকুমা শাসককে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। |
মহকুমা শাসক বিকাশ সাহা বলেন, “পুরসভা এ মাসেই অভিযান চালাতে পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। আলোচনার পরেই পদক্ষেপ করা হবে।” পুরসভার চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডু বলেন, “পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। তবে উচ্ছেদের অভিযান নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।” সুনীতি রোড, বিশ্ব সিংহ রোড, সিলভার জুবিলি রোড, কেশব রোডের মতো শহরের ব্যস্ততম রাস্তার ফুটপাথ দখল করে রমরমিয়ে ব্যবসা চলছে। রাস্তার পাশে ব্যবসায়ীদের একাংশ সাইনবোর্ড থেকে বিক্রির জন্য নানা সরঞ্জাম রাখছেন। ফলে ফুটপাথগুলি চলাচলের উপযুক্ত না থাকায় যানজট যেমন বাড়ছে, মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটছে। শহরের গুঞ্জবাড়ি, মিনি স্ট্যান্ড, এনবিএসটিসি টার্মিনাস, হরিশ পাল চৌপথি, এনএন রোড, সাগরদিঘি এলাকায় দিনের ব্যস্ত সময়ে যানজট সমস্যা এতটাই মারাত্মক হয়ে পড়ছে যে হেঁটে চলা মুশকিল বলে অভিযোগ করেছেন কোচবিহার নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চ সভাপতি রাজু রায়। তাঁর কথায়, “দুর্ঘটনা এড়াতে শহর জুড়েই অভিযান চালানো দরকার।’’ ব্যবসায়ী সমিতি সম্পাদক সুব্রত সাহা বলেন, “জবরদখল হঠাতে প্রশাসন উদ্যোগী হলে আপত্তি নেই।” পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল সমস্যা মেটাতে জরুরি পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। |