কলকাতার শর্ট স্ট্রিট কাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সঞ্জয় সুরেখার বিরুদ্ধে বাঁকুড়াতেও এক ব্যক্তির জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের সুরাহা চেয়ে সরব হয়েছেন সুনন্দ সান্যাল, সমীর আইচ, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, কুণাল গুহ রায় প্রমুখ বিশিষ্টজন। যদিও সুরেখা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কলকাতার কসবার বাসিন্দা শান্তনু দে চাকরি ছেড়ে বাঁকুড়ার মসলিয়া মৌজায় সাড়ে ১৯ বিঘা জমি কিনে ফল ও সব্জি চাষ শুরু করেছিলেন। এর জন্য তিনি বিনিয়োগ করেন পৌনে দু’কোটি টাকা। তাঁকে ৯৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে হয়েছিল। জীবিকার জন্য স্থানীয় ১৬টি পরিবার ওই প্রকল্পের উপর নির্ভরশীল ছিল। শান্তনুবাবুর অভিযোগ, ২০০২ সালে সুরেখার সংস্থার তরফে কিছু লোক নানা অস্ত্র নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে। তারা কোনও দলিল বা আইনি নথি ছাড়াই শুধু বলপ্রয়োগ করে তাঁকে উৎখাত করে জমির দখল নেয়। সুরেখার সংস্থা সেখানে গড়ে তোলে রোলিং মিল। পাশের জমিতে পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র ছাড়া স্পঞ্জ আয়রন কারখানাও গড়ে ওই সংস্থা। শান্তনুবাবুর আরও অভিযোগ, গত ১১ বছর ধরে বারবার পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। তিনি বলেন, “বিএলএলআরও-সহ স্থানীয় প্রশাসন মেনেছে, ওই জমি আমার। অন্যায় ভাবে আমাকে উৎখাত করা হয়েছে। এর বেশি কিছু তারা করতে পারেনি।” শান্তনুবাবুর দাবি, বাম ও তৃণমূলদুই জমানাতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
সুনন্দবাবু মঙ্গলবার প্রশ্ন তোলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেও কেন শান্তনুবাবু সুবিচার পাচ্ছেন না?” বোলান বলেন, “সরকার বলছে, অনিচ্ছুক ব্যক্তির জমিতে কারখানা হবে না। অথচ বাস্তবে তার উল্টো ঘটনা ঘটছে।” সঞ্জয় সুরেখা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, “বেআইনি ভাবে গায়ের জোরে কারখানা চলতে পারে না। এ বিষয়ে আমার কাছে আদালতের কাগজ আছে। আমার দিক থেকে কোনও অন্যায় নেই।”
|
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ় পথচারীর। সোমবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ইঁদপুর থানার চাকলতোড় গ্রামের কাছে ইঁদপুর-শালডিহা রাস্তায়। মৃতের নাম সাগর বাগদি (৫০)। |