পুকুরপাড় থেকে নদীঘাট, ভোর থেকেই ভিড়ে ভিড়াক্কার। মকর সংক্রান্তির ভোর থেকেই টুসু পরবে মেতে উঠল বাঁকুড়া।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় দিনভর বসে ছিল মেলাও। টুসু পরব আর মেলার আনন্দে মাতোয়ারা হলেন কচিকাঁচা থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। এ দিন ভোর থেকেই শিলাবতী, কংসাবতী, দামোদর, দ্বারকেশ্বর, শালি, জয়পণ্ডা, গন্ধেশ্বরী নদীর ঘাটে ঘাটে টুসুর চৌডল বিসর্জন করে পূণ্যস্নানে নেমে পড়েন এলাকার মানুষজন। |
শিলাবতী নদী তীরবর্তী সিমলাপালের আনন্দপুরে শুরু হয়েছে গঙ্গা মেলা। মেলা চলবে সাত দিন। কংসাবতীর মুকুটমণিপুর জলাধারের পাড়ে, রানিবাঁধের পরেশনাথ মন্দিরে, খাতড়ার পরকুলে একদিনের মেলা বসেছিল। জেলার বিভিন্ন নদী তীরবর্তী এলাকায় চড়ুইভাতিও হয়। মিঠে রোদ মেখে মেলা দেখার আনন্দের পাশাপাশি চড়ুইভাতির মজাও উপভোগ করেন অনেকে।
এক সময় মাওবাদী সন্ত্রাসে অশান্ত ছিল দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল। গত কয়েক বছরে ছবিটা অবশ্য অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এ দিন টুসু বিসর্জনের জমকালো সেই দিনগুলি ফিরে আসার ছবিই দেখা গিয়েছে জঙ্গলমহলে। গ্রাম লাগোয়া পুকুরে বা নদীঘাটে ভোরে স্নান সেরেই মেলায় হাজির হন অনেকেই। দিনভর বিকিকিনির হাটের মাঝেই পিকনিকও করলেন তাঁরা। পরকুল বা গঙ্গামেলা দেখতে আসা রানিবাঁধের চুনারাম বাস্কে, রোহিত সর্দাররা বললেন, “মকর স্নান করতে এসে সপরিবারে ‘পিকনিক’ও করলাম। মেলা দেখে তবেই বাড়ি ফিরব।” |