এলাকার একটি জলাভূমি ভরাটকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে রামপুরহাট পুরসভা এলাকায়। ডিওয়াইএফআই-এর রামপুরহাট শহর লোক্যাল কমিটির দাবি, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত পল্লিতে একটি জায়গা ‘কলাবাগান পুকুর’ নামে পরিচিত। এই জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে। এর জন্য তারা পোস্টারিং করে ভরাট বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। এর জন্য তারা পুরসভাকে দায়ী করেছে।
ওই জায়গাটির মালিক স্বর্ণকালী হালদারের ছেলে আনন্দ হালদার বলেন, “জমির খতিয়ান, দাগ নম্বর বা জমি সংক্রান্ত অন্য যে সব কাগজপত্র রয়েছে বা এলাকার মানচিত্রে ওই জায়গাটি কোথাও কলাবাগান পুকুর বলে উল্লেখ নেই। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের রিপোর্টেও জায়গাটি বাস্তুভিটে বলে উল্লেখ করা আছে।” তাঁর দাবি, “এলাকাটি ঝোপ জঙ্গলে পরিণত ছিল। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বলে, বাসিন্দারা আমার কাছে অভিযোগ করেছিল। সে জন্য জায়গাটি পরিষ্কার করছিলাম। এতে স্থানীয় কাউন্সিলর পুরসভায় মাস পাঁচেক আগে পুকুর ভরাটের অভিযোগ দায়ের করেন। পুরসভার নির্দেশ মতো আমি কাজ বন্ধ রাখি। পরে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর থেকে তদন্ত করে জানিয়ে দেওয়া হয়, নথিতে ওই জায়গাটি পুকুর বলে উল্লেখ নেই। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে আমি নিজের জায়গায় মাটি ভরাট করছি।” |
এই জলাভূমি ভরাট করা নিয়ে বিতর্ক।—নিজস্ব চিত্র। |
সিপিএম কাউন্সিলর সঞ্জীব মল্লিকের দাবি, “অসৎ উপায় অবলম্বন করে ওই পুকুরকে এখন বাস্তুজমি বলে দেখানো হচ্ছে। শহর তৃণমূলের নেতৃত্বে হচ্ছে। সব স্তরে অভিযোগ জানিয়েছি।” তবে বহু বাসিন্দা জানাচ্ছেন, এলাকায় পুকুর বলতে ‘কলাবাগান পুকুর’ ছিল। সেখানে মাছ চাষও হত। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে আবর্জনা ফেলা শুরু হয়। পরে কচুরিপানায় ভরে যায়। ফলে আর কেউ ওই ‘পুকুরে’র জল ব্যবহার করেন না। তৃণমূলের রামপুরহাট শহর সভাপতি সুশান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “একটা অভিযোগ আমার কাছে এসেছিল। তদন্তে দেখা যাচ্ছে, এলাকাবাসী যেটাকে পুকুর বলছেন, সেটি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাগজপত্রে বাস্তুভিটে বলে উল্লেখ আছে। তাই কাজে বাধা দিইনি।” সংশ্লিষ্ট ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক মহম্মদ মনিরুদ্দিন বলেন, “রেকর্ডে ওই জায়গাটি পুকুর বলে কোথাও উল্লেখ নেই। তদন্তে জানা গিয়েছে, এলাকায় বাড়ি করতে গিয়ে ওই জায়গা থেকে মাটি কাটা হয়েছিল। ফলে জায়গাটি নিচু হয়ে যায়। সব রিপোর্ট পুরসভা এবং জলাভূমি রক্ষাকমিটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।” |