সেই প্রথম বছর থেকে বইমেলার মাঠে আসছেন নিয়মিত। গত ৩৩ বছর এক বারের জন্যও এমনটা হয়নি যে তিনি মেলার মাঠে আসেননি। আসানসোলের গড়াই রোড এলাকার বাসিন্দা আভা গড়াই জানান, ছেলে যখন ছোট ছিল, তাকে নিয়ে এসেছেন। সে এখন অনেক বড়। এ বার এসেছেন ২ বছরের নাতি দেবজ্যোতিকে নিয়ে। প্রতিদিন তাঁর একমাত্র কাজ, নাতির হাতে একটা বই গুঁজে দিয়ে মেলার মাঠে বসে থাকা। কেন এ রকম করেন? নিছকই সময় কাটানো না কি অন্য কিছু? আভাদেবী জানালেন, তাঁর বিশ্বাস, বইয়ের মধ্যে থাকলে পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে। তিনি চান, নাতি দেবজ্যোতি ভাল করে বাংলা শিখুক। তাই এ ভাবে বসে থাকা রোজ সন্ধ্যায়। |
দূষণ এখন বড় সমস্যা। সেটা ভুলে গেলে চলবে কেন? কিন্তু শহরের সচেতন নাগরিকও যে বইমেলার মাঠে এসে সে সব ভুলে যাচ্ছেন, এটাই উদ্বেগের বলে মনে করছেন অনেকেই। আবর্জনা ফেলার জন্য মেলার মাঠে একাধিক জায়গা নির্দিষ্ট করেছেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও মাঠের মধ্যেই যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আবর্জনার স্তূপ। এ সব দেখেশুনে ক্ষুব্ধ এক পরিবেশ কর্মী উদ্যোক্তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “কী হচ্ছে এ সব? দেখতে পাচ্ছেন না?” প্রশ্নের মুখে পড়ে উদ্যোক্তাদের এক জন ছুটলেন লাউডস্পিকারের কাছে। তড়িঘড়ি ঘোষণা করা হল, দয়া করে মেলার মাঠে কেউ আবর্জনা ফেলবেন না। |
সংকলন: সুশান্ত বণিক।
ছবি: শৈলেন সরকার। |