বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া দুই জেলায় রবিবার একাধিক পথ দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এ দিন দুপুর তিনটে নাগাদ বান্দোয়ান-কুইলাপাল রাস্তায় চিরুডি গ্রামের কাছে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক মহিলার। মৃতের নাম সনকা মাহাতো (৩৪)। বান্দোয়ান থানার চিরুডি গ্রামে তাঁর বাড়ি। তিনি ধান ভাঙার জন্য বস্তা নিয়ে রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। গাড়ির ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়েন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। উত্তেজিত বাসিন্দারা আধ ঘণ্টা ধরে রাস্তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়েছে। |
এ দিন সকালে বড়জোড়ায় বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে এক সাইকেল আরোহী ট্রাকের ধাক্কায় মারা যান। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ভূপতি কর্মকার (৮১) বড়জোড়ার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি বড়জোড়া বাজার থেকে সব্জি কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি রাস্তায় পড়ে মারা যান। ঘটনার পরেই ট্রাক ছেড়ে চালক চম্পট দেয়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ট্রাকটি আটক করা হয়েছে।
এ দিনই সকালে বিষ্ণুপুর-আরামবাগ রাজ্য সড়কে জয়পুর থানার তাঁতিপুকুর ও দশরা গ্রামের মাঝে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে যায়। আহত হন ১০ জন যাত্রী। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিত্সার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, বাসটি হেতিয়া থেকে সোনামুখী যাচ্ছিল। হঠাত্ বাসের স্প্রিং-পাতি ভেঙে যায়। বেসামাল হয়ে বাসটি ডান দিকে উল্টে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কারও আঘাত গুরুতর নয়। দুই মহিলা ও এক কিশোরকে ভর্তি রেখে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মায়া বাউরি, ইতু বাউরি এবং ১৩ বছরের কিশোর কৃষ্ণপদ ওরাং। কৃষ্ণপদর বাবা বিদ্যাধর জানান, তাঁরা ইটভাটায় কাজ সেরে মকর পরবের উত্সবে যোগ দিতে পুরুলিয়ায় যাচ্ছিলেন। বাসটি হঠাত্ ডানদিকে কাত হয়ে উল্টে যায়। তাঁর ছেলের ডানহাতের আঙুলের আঘাত লেগেছে। অন্য দুই আহত মহিলা যাত্রীও তাঁদের সঙ্গী।
শনিবার পুঞ্চার পায়রাচালি গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে বেসামাল হয়ে একটি ট্রাক উল্টে যায়। জখম হন আট জন। তাঁরা সকলেই বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা। তাঁদের মানবাজার গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। |