শোলে-র থ্রি ডি সংস্করণ নিয়ে হইচই চলছে। কিন্তু বিষয়টি যে তাঁর বিশেষ পছন্দের নয়, ঠারেঠোরে তা জানিয়ে গেলেন শোলের পরিচালক রমেশ সিপ্পি। শনিবার দক্ষিণ কলকাতার কবরডাঙায় একটি ফিল্মসিটিতে এসে শোলে প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি।
চার দশক আগের শোলে নিয়ে আমজনতা যতই আচ্ছন্ন থাকুক, তিনি কিন্তু কখনওই একটা শোলে আঁকড়ে এত বছর কাটিয়ে দিতে চাননি। এমনই দাবি রমেশের। তাঁর কথায়, “শোলের পুনরাবৃত্তি কখনওই করতে চাইনি। এমনকী কখনও মনে হয়নি, কোনও শোলে-২ করব।” বলিউডে অবশ্য বারবারই অভিযোগ ওঠে, সিপ্পি পরিবারের কাছে শোলে সোনার হাঁস। ট্যাঁকে টান পড়লেই শোলে রিলিজ করা হয়। এ দিন থ্রি ডি শোলের প্রসঙ্গ উঠতেই রমেশের মন্তব্য, “এ বিষয়টা আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এ নিয়ে কিছু বলব না।” |
রমেশ সিপ্পির বাবা তথা প্রযোজক জি পি সিপ্পির মৃত্যুর পরে শোলে-র স্বত্ব এখন রমেশের ভাইপো সাসচা সিপ্পির হাতে। নতুন শোলে এক সপ্তাহেই ৮ কোটির ব্যবসা করেছে। তবে শোলে-র পরিচালক এই সাফল্যে গা ভাসাতে নারাজ।
“শুধু শোলে-র সাফল্যের ছায়া আঁকড়ে বসে থাকলে জীবনে এগোতাম কী ভাবে?” দুপুরে আনন্দবাজারকে বলছিলেন রমেশ। তিনি বলেন, “আমার কাছে প্রতিটি ছবিই আলাদা। অন্য রকম সৃষ্টিশীল প্রয়াস।” কবরডাঙার ফিল্ম স্টুডিওয় ইতিমধ্যেই সিনেমা নিয়ে আলোচনার একটি পরিসর গড়ে উঠেছে। কিছু দিন আগে ‘হাজার খোয়াইশে অ্যায়সি’ ছবিটি নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলেন পরিচালক সুধীর মিশ্র, প্রযোজক প্রীতীশ নন্দী এবং দুই কুশীলব চিত্রাঙ্গদা সিংহ ও কে কে মেনন। এ দিন আসেন রমেশ সিপ্পি ও তাঁর স্ত্রী কিরণ জুনেজা। তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতায় যোগ দিতে হাজির হন সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউট, কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। |