তলিয়ে গেলেন যুবক, ডুবুরির দাবিতে অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার সকালে উলুবেড়িয়ার এগারো ফটকের ঘটনা। থানায় জানানো সত্ত্বেও পুলিশ এবং ডুবুরি না আসায় প্রায় দেড় ঘণ্টা ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোড অবরোধ করেন বাসিন্দারা। পরে পুলিশ ডুবুরি আনার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে উলুবেড়িয়ার এগারো ফটকের খালে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যান সৈয়দ মহলদার (৪০)। পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই ব্যক্তি। তিনি মুশির্দাবাদের রঘুনাথগঞ্জের কৃষ্ণসাইল গ্রামের বাসিন্দা। মাস ছ’য়েক ধরে এগারো ফটকে কাজে এসেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সকাল ৭টায় এই ঘটনা উলুবেড়িয়া থানায় জানানো সত্ত্বেও পুলিশ ১০টা নাগাদ এসে একবার দেখা যাওয়া ছাড়া কিছুই করেনি। আনা হয়নি ডুবুরি। এরই প্রতিবাদে দুপুর দেড়টা থেকে প্রায় শ’দুয়েক স্থানীয় বাসিন্দা পথ অবরোধ শুরু করেন। টায়ার জ্বালিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিশ গিয়ে ডুবুরি আনার আশ্বাস দিলে দুপুর ৩টা ৩০ নাগাদ অবরোধ ওঠে। সাড়ে ৪টে নাগাদ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর লোকেরা এলাকায় পৌঁছন। দু’জন ডুবুরি নেমে তল্লাশিও করেন। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সৈয়দের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। তা পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তে।
|
নাবালিকার বিয়ে রুখলেন গ্রামবাসীরাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • আমতা |
নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে আটকালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে আমতার মেলাইচণ্ডী মন্দিরের ঘটনা। নাবালিকা ও তার সঙ্গী যুবকটিকে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে আমতার ওই মন্দিরে হাজির হয় ওই নাবালিকা এবং যুবক। নাবালিকার পরনে ছিল স্কুল ইউনিফর্ম। মেয়েটি পালিয়ে এসেছে বলে তখনই সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। মেয়েটিকে জেরা করলে সে বিয়ের কথা স্বীকার করে নেয়।
|
এরপরেই তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দু’জনকে উদ্ধার করে পরে বাড়িতে পাঠায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্কুলের পোশাকে ছিল মেয়েটি। সঙ্গে এক যুবক ছাড়া কেউ ঠিল না। ওদের দেখে মনে হচ্ছিল নির্ঘাত বাড়ি থেকে পালিয়েছে। |