ইলাহাবাদে অনুষ্ঠিত ‘৮৬ তম নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের সূচনা’ (বিপ্লবকুমার ঘোষ, এক নজরে, ২৬-১২) সম্পর্কিত সংবাদটি পড়লাম। আমি ওই সম্মেলনের এক জন প্রতিনিধি। ইলাহাবাদে অনুষ্ঠানটি হয়েছিল ২৫-২৭ ডিসেম্বর। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় সাহিত্য সম্মেলনের ৮৬ তম অধিবেশনের (‘সম্মেলন’ নয়) সূচনা করেন। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ছিলেন ওই অধিবেশনের মূল সভাপতি (‘প্রধান সভাপতি’ নয়)। |
প্রসঙ্গত, নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন হয়েছিল ১৯২৩ সালের ৩-৪ মার্চ বারাণসীতে। উদ্যোক্তা ছিলেন অতুলপ্রসাদ সেন, সুরেন্দ্রনাথ সেন, কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। দ্বিতীয় অধিবেশন হয় ইলাহাবাদে ওই বছরের শেষে, ২৬-২৭ ডিসেম্বর। তার সভাপতি ছিলেন প্রমথনাথ তর্কভূষণ। প্রথম দুটি অধিবেশনের সময় সংস্থার নাম ছিল ‘উত্তর ভারতীয় বঙ্গ সাহিত্য সম্মিলন’। এর পর তৃতীয় থেকে অষ্টবিংশতি অধিবেশন (১৯২৫’৫২) পর্যন্ত সংস্থার নাম ছিল ‘প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য সম্মিলন’। ‘প্রবাসী’ শব্দে অনেকের আপত্তি থাকায় জয়পুরে অনুষ্ঠিত ঊনত্রিংশ অধিবেশনে এর নতুন নাম হয় ‘নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন’। এই নামেই সংস্থাটি ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে শাখা স্থাপন ও বার্ষিক অধিবেশন করে আসছে। মূল উদ্দেশ্য বহির্বঙ্গে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রসারে সহায়তা।
প্রতি বছর অধিবেশনে এই উদ্দেশ্যে নানা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সম্প্রতি ইলাহাবাদে অনুষ্ঠিত ৮৬ তম অধিবেশনেও দু’টি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এক, বহির্বঙ্গের যে রাজ্যে ১০ শতাংশ বাঙালি বসবাস করেন সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে বাংলা বিষয় পঠনপাঠন ও শিক্ষক নিয়োগ করা। দুই, ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ে গবেষণা ও পঠনপাঠনের প্রচলন করা। এ বারের অধিবেশন সূচনা করেছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। আশা, এ বার প্রস্তাবগুলি বাস্তবরূপ পাবে।
অমরনাথ করণ। কলকাতা-৬০ |