টুকরো খবর
বক্রেশ্বরের জন্য ৫৯ লক্ষ টাকা
পর্যটক টানতে বক্রেশ্বর উষ্ণপ্রস্রবণকে ঘিরে গড়ে ওঠা পর্যটনকেন্দ্রে ১০টি অত্যাধুনিক কটেজ গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পর্যটন দফতর। কটেজ গড়ে তোলা-সহ নানা কাজের জন্য ওই পর্যটনকেন্দ্রের জন্য প্রায় ৫৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করেছে রাজ্য সরকার। এ কথা জানিয়েছেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে বক্রেশ্বর উষ্ণপ্রস্রবণকে বিশেষ ভাবে জায়গা করে দিতে বাম আমলেও প্রয়াস শুরু হয়েছিল। বহু দিন অবহেলায় পড়ে থাকার পরে ওই লক্ষ্যে বছর তিনেক আগে শুরু হয়েছিল উষ্ণপ্রস্রবণকে ঢেলে সাজার কাজ। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে অবশ্য সেই কাজ শেষ হয়। কিন্তু তার পরেও বীরভূমের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্রকে ঘিরে নানা অভিযোগ ছিলই। গাড়ি পার্কিংয়ের অসুবিধা থেকে পর্যটনকেন্দ্রের সমস্ত জায়গায় বিদ্যুৎ না পৌঁছনো, টোল আদায়, উষ্ণপ্রস্রবণের রক্ষণাবেক্ষণ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ক্ষোভ ছিল বক্রেশ্বরে আগত পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দা উভয় পক্ষেই। এ বার সেই অবস্থারই আমূল পরিবর্তন আনতে একযোগে কাজে নামছে রাজ্য পর্যটন দফতর ও বীরভূম জেলাপরিষদ। বিকাশবাবু বলেন, “পর্যটনকেন্দ্রটিকে সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে সাজাতে এবং উষ্ণপ্রস্রবণটির পয়ঃপ্রণালী ঠিক করে নিয়মিত আকারে তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ৫৯ লক্ষ টাকা দিচ্ছে। খুব শীঘ্রই নতুন পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হতে চলেছে।”

আরএসপি-র জোনাল অফিসে ‘ভাঙচুর’
ভাঙচুর চালিয়ে আরএসপি-র জোনাল কার্যালয় দখল করার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। আজ, শুক্রবার আরএসপি এ নিয়ে বোলপুরের মহকুমাশাসক এবং এসডিপিও-কে লিখিত অভিযোগ জানাবে। স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, কর্মী-সমর্থকদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় তাঁরা পুলিশের কাছে যেতেও ভয় পাচ্ছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলামবাজার থানার ঘুড়িষায় রয়েছে আরএসপি-র জোনাল কার্যালয়। দলের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন মণ্ডলের অভিযোগ, “এ দিন সকালে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঘুড়িষায় আমাদের জোনাল কার্যালয় দখলে করে ভাঙচুর করেছে। দফতরের আসবাব নষ্ট করেছে। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের কেউ থানায় অভিযোগও জানাতে পারেননি।” কয়েক মাস আগে পাড়ুই থানার সাত্তোরে সিপিএমের একটি লোকাল কমিটির অফিস তালা ভেঙে দখলের ঘটনাতেও শাসক দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার প্রতিবাদে বামেরা বোলপুরে প্রতিবাদ মিছিলও করে। একই অভিযোগ উঠেছিল বোলপুর শহর লাগোয়া সিপিএমের সিয়ান কার্যালয়ের ক্ষেত্রেও। তৃণমূল অবশ্য কোনও অভিযোগ মানেনি। এ দিন দলের ইলামবাজার ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ জাফারুল ইসলাম বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ যুক্ত নন। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।”

এ বার ‘শ্যামলী’র সংস্কার নিয়েও ভাবনা
বিশ্বভারতীর শিল্পকর্ম সংরক্ষণের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ফের শান্তিনিকেতনে পরিদর্শনে এলো ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের এক প্রতিনিধিদল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁরা শুধু মনীষী শিল্পীদের শিল্পকর্মই নয়, রবীন্দ্রনাথের ঐতিহ্যবাহী ‘শ্যামলী’ বাড়ির সংরক্ষণ নিয়েও বিশ্বভারতীর উপাচার্য এবং কলাভবনের অধ্যক্ষের সঙ্গে রবীন্দ্রভবনে বৈঠকও করেন। সম্প্রতি বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে থাকা বিশিষ্ট শিল্পীদের শিল্পকর্ম সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়েছে বিশ্বভারতী। এ ব্যাপারে তাঁরা ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের সাহায্যও নিচ্ছেন। মাসখানেক আগে উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের উদ্যোগে এ নিয়ে কলাভবনের অধ্যক্ষ শিশির সাহানা এবং ভাস্কর্য বিভাগের কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়। ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণের বিশেষজ্ঞ-সহ আধিকারিকেরা এলাকা ঘুরে দেখেন। এ বার রবীন্দ্রনাথের শ্যামলী বাড়ির সংস্কার ও সংরক্ষণেও উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এ দিন শিশিরবাবু বলেন, “ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ থেকে একটি প্রতিনিধি দল এসেছিলেন। শ্যামলী বাড়ির সংস্কার এবং সংরক্ষণ নিয়ে উপাচার্য উদ্যোগী হয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ সংস্থার আধিকারিক এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উপাচার্যের নির্দেশে গঠিত কমিটির সুপারিশ মেনে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং সংরক্ষণ কাজ শুরু করা হবে।” প্রাথমিক ভাবে বেশ কিছু সুপারিশও করেছে ওই কমিটি। বিশ্বভারতীর একটি সূত্রের দাবি, ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় বিশ্বভারতীর নাম তোলা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্বভারতী।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.