নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠন করছেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ আজ শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আজ সকালে রাষ্ট্রপতির বাড়ি বঙ্গভবনের সভাঘরে একটি অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করান আগের সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। এর পরে আওয়ামি লিগের সংসদীয় দল বৈঠকে বসে শেখ হাসিনাকে তাঁদের নেত্রী নির্বাচিত করেন। বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন হাসিনা। সেখানেই হাসিনাকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানান আব্দুল হামিদ।
আওয়ামি লিগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ হাসিনা সব দলকে নিয়ে ৪৫ সদস্যের মন্ত্রিসভা গড়ার পথে এগোচ্ছেন। দলের নেতৃত্বের কাছে হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ও তার জোটসঙ্গী জামাতে ইসলামি ভোট বয়কট করা সত্ত্বেও যে সব দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, তাদের সবাইকেই তিনি মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিতে চান। হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে সংবিধানের শাসন থেকে বিচ্যুত করতে একটি শক্তি এই নির্বাচন বানচাল করতে উঠেপড়ে লেগেছিল। কিছু ক্ষমতাধর দেশের সমর্থনও এর পেছনে ছিল। এই বিপুল চাপ অগ্রাহ্য করে যে সব দল নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রেখেছে, তাদের তিনি পুরস্কৃত করতে চান। হাসিনা বলেন, এদের কারওকেই তিনি বিরোধী বলে মনে করেন না।
জাতীয় পার্টির ৩১ জন নির্বাচিত সাংসদ এ দিন শপথ নিলেও সভাপতি হুসেইন মহম্মদ এরশাদ শপথ নিতে আসেননি। স্পিকার জানিয়েছেন, কবে তিনি শপথ নেবেন সে বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানোও হয়নি। প্রাক্তন সেনাশাসক কেন শপথ নিতে আসেননি, প্রশ্ন করা হলে বেগম রওশন এরশাদ জবাব দেন, “ওঁর কাছে গিয়েই জেনে নিন।” কালই বেগম রওশন বলেছিলেন, এরশাদের আশীর্বাদ নিয়েই জাতীয় পার্টি বিরোধী আসনে বসবে। নিজে এক সময়ে দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করায় তাঁকেই বিরোধী নেত্রী হতে বলেছেন এরশাদ। এ দিন শপথের পরে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা দাবি করেন, তাঁরা মন্ত্রিসভাতেও থাকছেন, আবার বিরোধীও থাকবেন। জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, “দল গঠনমূলক বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে।”
জাতীয় পার্টি (জেপি )-র একমাত্র সাংসদ আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও সরকার -বিরোধিতা করার কথা ঘোষণা করেছেন।
|