মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ফলক উদ্বোধন করলেন যখন, তখন ১২০ কিলোমিটার দূরে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালেও আনুষ্ঠানিক ভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল। সরকারি ভাবেই এ দিন ঝাড়গ্রামের অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল জায়ান্ট স্ক্রিনে। মুখ্যমন্ত্রী ঘাটালের কথা ঘোষণার পর ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে নার্সদের আবাসনের উল্টো দিকে ইট-সিমেন্ট দিয়ে (যে জমির উপর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ভবন হবে) ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করলেন পরিষদীয় সচিব (সেচ) তথা ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই। শঙ্করবাবু বলেন, “ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়ে গিয়ে গিয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করাই এখন লক্ষ্য। এই মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু হলে মহকুমার বাসিন্দাদের আর কলকাতায় ছুটতে হবে না।” এ দিন সকাল থেকেই হাসপাতাল চত্বরে ভিড় উপচে পড়ে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথমে একটি ছোট অনুষ্ঠান হয়। তারপর জায়ান্ট স্ক্রিনে লোকজন ঝাড়গ্রামের অনুষ্ঠান দেখছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ‘ঘাটাল’ শব্দটা শোনার পরই উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক শঙ্কর দোলই, চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ, ঘাটালের মহকুমাশাসক অদীপ রায়, বিডিও সঞ্জয় পণ্ডিত, সহ-সভাপতি দিলীপ মাঝি, হাসপাতালের সুপার অনুরাধা দেব, পঞ্চানন মণ্ডল, সুদীপ মণ্ডল-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
|
তমলুক জেলা হাসপাতালের বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস। |