কেবল চ্যানেল নয়, জিটিএ-কে চিঠি দেবে জেলা প্রশাসন
নিজস্ব সংবাদদাতা • দার্জিলিং |
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) পক্ষ থেকে ৩টি বন্ধ স্থানীয় কেবল চ্যানেল চালুর অনুমতি দেওয়ার কথা ঘোষণা বাতিল করাতে চিঠি দেবে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। বুধবার দার্জিলিঙের জেলাশাসক পুনিত যাদব জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিটিএ-কে চিঠি দিয়ে ওই তিনটি চ্যানেলকে সম্প্রচারের অনুমতি বাতিলের জন্য বলা হবে। জেলাশাসক বলেন, “গত অগস্টে স্পষ্ট কিছু অভিযোগে ৩টি চ্যানেলের সম্প্রচার সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী দিনে পাহাড়ে অশান্তি হতে পারে, এমন কোনও কিছু সম্প্রচার হবে না বলে আমরা নিশ্চিত হব। তার পরেই ফের ওই তিনটি স্থানীয় চ্যালেকে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যাপারে অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবা হবে।” প্রশাসনের দাবি, জিটিএ ওই অনুমতি দিতে পারে না। যিনি ওই অনুমতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন, জিটিএ-এর সেই তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক কাউন্সিলর বিনয় তামাঙ্গ-এর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তাঁর ফোন সারাদিনই বেজে গিয়েছে। জিটিএ-এর সদস্য তথা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “এ ব্যাপারে বিশদে কিছু জানি না। তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক কাউন্সিলরই বলবেন।”
|
অধ্যক্ষকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিল হাইকোর্ট
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
এমএড পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র বিএড কলেজের অধ্যক্ষ শুভেন্দুভূষণ মোদককে দু’বছর পরীক্ষায় বসতে না-পারার শাস্তি দেয় ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি (ইগনু)। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শাহিদুল্লা মুন্সি রায় দিয়ে জানালেন, শুভেন্দুবাবু নির্দোষ, তাঁকে অবিলম্বে ওই পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। আবেদনকারীর আইনজীবী সুমন স্নেহানবিশ জানান, ২০১২ সালে ওই অধ্যক্ষ ইগনু-র এমএড পরীক্ষায় বসেন। পরীক্ষার পরে ইগনু তাঁকে চিঠি দিয়ে জানায়, তিনি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করেছেন, তাই তিনি দু’বছর পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। এ ব্যাপারে শুভেন্দুবাবু বলেন, “শুনেছি আমার পক্ষে রায় বেরিয়েছে। সার্টিফায়েড কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ওই বিষয়ে কিছু বলব না। এতটুকু জানাচ্ছি আমি যে নির্দোষ, চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছিল সেটাই আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।” তিনি আগে কেন এমএড পরীক্ষা দেননি তা জিজ্ঞাসা করা হলে শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমি সমস্ত নিয়ম মেনে ১৯৯৮ সালে কলেজে যোগ দিই। ১৯৯৯ সালে অধ্যক্ষ হই। এর বেশি কিছু বলতে চাইনা।”
|
কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে গোলমালের আশঙ্কা করে কড়া পুলিশি ব্যবস্থার দাবিতে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হল এসএফআই। বুধবার দুপুরে সংগঠনের সদস্যরা মাল্লাগুড়ির কমিশনারেটে গিয়ে ওই দাবিতে একটি স্মারকলিপিও দেন। পাশাপাশি, এখন থেকেই বিভিন্ন কলেজে সংগঠনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরা হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ২৭ এবং ২৮ জানুয়ারি কমিশনারেট এলাকার ৬টি কলেজে ছাত্র সংসদ নিবার্চন হবে। ৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি অবধি মনোনয়নপত্র তোলা, জমা এবং প্রত্যাহার করার দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। এসএফআই-র জেলা সম্পাদক সৌরভ দাস বলেন, “রাজ্যের পাশাপাশি আমরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কলেজে দেখছি, বিরোধীদের শাসক দলের তরফে ভোটে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়িতেও তাই শুরু হয়ে গিয়েছে।” যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি নির্নয় রায় বলেন, “এসএফআই-র আর ছাত্রছাত্রীদের সমর্থন নেই। ভোট আসলেই আমাদের বিরুদ্ধে মনগড়া, ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলে ওঁরা প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা করছেন।” পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর, নিরাপত্তা এবং পুলিশি বন্দোবস্তের জন্য শিলিগুড়ির ওই ছয়টি কলেজে দুই দিনে ভোট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি কর্মাস কলেজ, শিলিগুড়ি কলেজ, সূর্যসেন কলেজ, মহিলা কলেজ, পলিটেকনিক কলেজ এবং বাগডোগরা কলেজে ভোট হবে। প্রতিটি কলেজে একজন করে ডেপুটি পুলিশ কমিশার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তার নেতৃত্বেই ভোট প্রক্রিয়ায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। মনোনয়নপত্র তোলা এবং জমা নেওয়ার পরিস্থিতি দেখেই কলেজে ভোটের সময় ১৪৪ ধারা জারি করা হবে কি না তা ঠিক হবে। এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগ মোহন বলেন, “কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনোর যায়। সেখানে যাতে ভোটকে ঘিরে শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট না হয় তারজন্য যা যা করণীয় করা হচ্ছে।”
|
এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বাসিন্দারা। বুধবার গোয়ালপোখর থানার পামোলে। বাসিন্দাদের বক্তব্য, এলাকায় ট্রান্সফর্মার বিকলের কারণে ৫ দিন ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ২ ঘন্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বাসিন্দারা। পরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
|
কামাখ্যাগুড়ি লালপুলের পারোকাটা সিপিএম পার্টি অফিসের তালা ভেঙে টিভি চুরি করে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। কাগজপত্র তছনছ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |