লোকসভা ভোটে কোনও ভাবেই যে তৃণমূলের সঙ্গে জোট তারা চায় না, তা আগেও হাইকম্যান্ডকে জানিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে প্রদেশ কংগ্রেস স্পষ্ট ভাবে জানাতে চায়, তারা জোটের বিরুদ্ধে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে শেষ মুহূর্তে কোনও ভাবে জোট হলে রাজ্যে কংগ্রেস যে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে, সেই আশঙ্কার কথা দিল্লিকে জানাচ্ছেন প্রদেশ নেতারা। প্রদেশ নেতৃত্ব চান, হাইকম্যান্ডের দিক থেকে দ্রুত ‘একলা চলা’র বার্তাই আসুক। দলের কর্মসমিতির বৈঠকে বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা সর্বসম্মত ভাবে প্রস্তাব নিয়েছেন, শীঘ্রই দিল্লিকে জানানো হোক যে, তারা জোটের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে একলা চলারই প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচিতে পথে নেমে কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জোটের নির্দেশ আসা মানে দলের অস্তিত্ব আরও বিপন্ন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের। বৈঠকে অধিকাংশ নেতার কাছ থেকেই জোট-বিরোধিতার প্রস্তাব পেয়ে প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “দিল্লিকে জানানো হবে, লোকসভায় একক ভাবে লড়তে ৪২টি কেন্দ্রেই কংগ্রেস প্রার্থী দেবে। তৃণমূলের সঙ্গে বন্ধন মানব না!” দিল্লিতে ১৭ জানুয়ারি এআইসিসি-র সম্মেলন। সেখানে প্রদেশ নেতৃত্বের পাশাপাশি জেলা সভাপতিরাও থাকবেন। সেখানে রাজ্যের তরফে জোট-বিরোধিতার প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে প্রদীপবাবু জানান।
|
দোকানের শাটার ভেঙে চুরি করে পালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হল চার জন। মঙ্গলবার রাতে, হাওড়া থেকে। ধৃত সঞ্জয় সিংহ, প্রদীপ রায়, তুফান দাস ও মিঠুন চক্রবর্তীর কাছে শাবল ও ১০ হাজার টাকা মিলেছে। পুলিশ জানায়, সম্প্রতি কসবা, গড়িয়াহাট, হাওড়ার সাঁতরাগাছিতেও দুষ্কৃতী দল এ ভাবে লুঠ করে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ জানান, কিছু দিন আগে তিলজলায় এক মদের দোকানে একই কায়দায় লুঠ হয়। দলটিকে চিহ্নিত করে নজরদারি চলছিল। মঙ্গলবার দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করে হাওড়ার একটি গাড়ির শো-রুমে পৌঁছন গোয়েন্দারা। শাটার ভাঙার শব্দে এক কর্মীর ঘুম ভাঙলে তিনি দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করেন। গাড়িতে উঠে পালাতে গেলে তাদের ধরা হয়। পল্লববাবু জানান, ধৃতেরা আদতে পুরুলিয়ার বাসিন্দা। গাড়িতে চেপে কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় মূলত মদের দোকান ও গাড়ির শো-রুমে হানা দিত তারা। ধৃতদের পুলিশ হেফাজত হয়। |