মহিলা চিকিৎসকের চেম্বারে রোগ সারাতে এসে নতুন আর এক রোগে ধরেছিল বছর তিরিশের যুবকটিকে।
বয়সে বছর তিনেকের ছোট ওই চিকিৎসকের প্রেমে পড়ে যান তিনি। বার কয়েক প্রেমের প্রস্তাব পেড়েও অবশ্য লাভ হয়নি। অভিযোগ, তখন থেকে শুরু হয় হুমকি। শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে ওই চিকিৎসকেরা বাড়িতে ভোজালি নিয়ে হাজির হন বাঁকুড়ার সোনামুখী শহরের বাসিন্দা সুজয় দত্ত। তরুণী সে সময়ে বাড়ি ছিলেন না। তাঁর বাবা-মাকে ভোজালির কোপে জখম করে বেপাত্তা সুজয়। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ ওই চিকিৎসকের বাড়িতে হাজির হন সুজয়। তরুণীর বাবা তাঁকে চলে যেতে বলেন। তিনি বলেন, “ছেলেটি মদ্যপ অবস্থায় ছিল। আমি ওকে চলে যেতে বলাতে হঠাৎই খেপে উঠল। কোথা থেকে একটা ভোজালি বের করে কোপ মারে আমাকে। চিৎকার শুনে ছুটে এসেছিলেন স্ত্রী। তাঁকে কোপায়। তারপরে মোটর বাইক নিয়ে পালায়।”
আতঙ্কিত বৃদ্ধের অনুমান, মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেতেই এসেছিল সুজয়।
খবর পেয়ে ওই তরুণী বাড়ি ফেরেন। জখম বাবা-মাকে সোনামুখী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া মেডিক্যালে। পুলিশ জানায়, সুজয়ের মোটর বাইকটি বাড়ির কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে। ডিকি থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি মোবাইল ফোন।
ওই চিকিৎসকের পরিবারের দাবি, মাস খানেক আগে চিকিৎসার জন্যই চেম্বারে এসেছিলেন সুজয়। তাঁর রোগ কত দূর সেরেছিল, তা বলতে পারেননি পরিবারের লোকজন। তবে তাঁদের দাবি, মেয়ের প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করেছিলেন পেশায় সার কোম্পানির কর্মী সুজয়।
অভিযুক্তের দাদা মলয় দত্তের অবশ্য দাবি, “ওই চিকিৎসকের সঙ্গে ভাইয়ের সম্পর্ক ছিল। পরে তা ভেঙে যায়। মঙ্গলবার বিকেলে ভাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে আর ফেরেনি। ওর সঙ্গে যোগাযোগও হয়নি। পরে ঘটনার কথা শুনি।” তাঁদের মধ্যে কখনও কোনও সম্পর্ক ছিল দাবি মানতে চাননি ওই চিকিৎসক। তিনি বলেন, “ছেলেটির বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হুমকি দিয়েছিল। কয়েক বার চেম্বারে এসে আমার সঙ্গে অশালীন আচরণও করে। কিন্তু জল এত দূর গড়াবে, বুঝতে পারিনি।” |